কাফির-মুশরিক, বিধর্মীদের অমানবিক ও বর্বরোচিত কর ব্যবস্থাপনার কিছু নমুনা
, ২০ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সমাজের গরিব শ্রেণী, শ্রমিক ও নারীদের সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার এবং সভ্যতা, ইনসাফ এসব সবকিছুই এসেছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে। অমুসলিমরা যতোটুকু সভ্য হতে শিখেছে তা মুসলমানদের থেকেই। বর্তমান সময়কালে কাফির তথা বিধর্মীদের অসামাজিক ও বর্বরোচিত বহু প্রথা আমরা দেখতে পাই। তবে তাদের ইতিহাস আরো বেশি অমানবিক ও ভয়ঙ্কর। এমন অসংখ্য ইতিহাস তুলে ধরা যাবে। তবে এখানে শুধু ট্যাক্স বা করপ্রথার কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো।
ভারতের কেরেলায় স্তনকর বা ব্রেস্টট্যাক্স:
আজ থেকে দুইশত বছর আগে ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যে হিন্দুদের মধ্যে এক বর্বরোচিত কর প্রথা প্রচলিত ছিলো, যার নাম- স্তনকর বা ব্রেস্টট্যাক্স। কেরেলার স্থানীয় ভাষায় এটিকে বলা হতো ‘মুলাককারাম’। প্রথা অনুযায়ী নিয়ম ছিলো শুধু ব্রাহ্মণ ব্যতীত অন্য কোনো হিন্দু নারী তার বুকের উপর কাপড় রাখতে পারবে না। যদি কোনো দলিত হিন্দু নারী তার বুক কাপড় দ্বারা আবৃত করতো তবে তার বুকের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ট্যাক্স বা কর দিতে হতো। ১৮০৩ সালে নাঙ্গেলী নামক এক নিম্নবর্ণের হিন্দু নারী তার বুক কাপড় দ্বারা আবৃত করে রাখে। খবর পেয়ে গ্রামের ট্যাক্স কালেকটর যখন স্তনকর চাইতে আসে, তখন নালেঙ্গী তা দিতে অস্বীকার করে। একপর্যায়ে না পেরে বাধ্য হয়ে নিজের স্তন ধারালো কাচি দিয়ে কেটে ট্যাক্স কালেকটরকে দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর শোকে নালেঙ্গীর স্বামীও সাথে সাথে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনার পর থেকেই হিন্দুদের বর্বরোচিত স্তনকর প্রথা রোহিত হয়। (তথ্যসূত্র: দ্যা হিন্দু, ২১ অক্টোবর, ২০১৩; ঘধহমবষর: উইকিপিডিয়া)
জাপানে শস্যের উপর ৬৭% ট্যাক্স:
১৫৯০ সালে জাপানের টাইকোর শাসক হিদেয়োশি তার দেশের কর পদ্ধতি পুনঃবিন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে কিছু কর বিলুপ্ত করে কিন্তু ধান শস্যের উপর ৬৭% কর আরোপ করে। শুধু তাই নয়, সে কৃষকদেরকে তাদের কষ্ট করে উৎপাদিত ফসলের ৩ ভাগের ২ ভাগ অর্থাৎ ৬৭% ধান কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে বাধ্য করে। তার অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে এই কর সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেয়া হতো জেলা প্রশাসকদের উপর।
সিয়াম রাজ্যে (বর্তমান থাইল্যান্ড) সময় ও শ্রমের উপর কর:
১৮৯৯ সাল পর্যন্ত সিয়াম রাষ্ট্র (বর্তমান থাইল্যান্ড) শ্রমিকদের নিকট থেকে কর আদায় করতো বেগার শ্রম ব্যবস্থার মাধ্যমে। প্রত্যেক কৃষককে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণের জন্য অর্থ উপার্জন বাদ দিয়ে বছরের তিন মাস রাজার জন্য কাজ করতে হতো।
গত শতাব্দীর শেষ প্রান্তে এসে সিয়ামের অভিজাত মহল উপলব্ধি করলো যে এই জোরপূর্বক শ্রম ব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দায়ী। তারা শ্রমিকদেরকে নিজেদের জন্য সারাবছরই কাজ করার অনুমতি দিলো এবং আয়কর হিসেবে অর্থ গ্রহণ করার ব্যবস্থা নিলো। (তথ্যসূত্র: আর্টিক্যাল- ‘দ্যা ওউর্স্ট ট্যাক্সেস এভার’, লেখক: কেলি শিজেপাংশি, এশিয়ান হিস্টোরি ডটকম)
-মুহম্মদ ইবরাহীম সোহেল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












