কুরবানীর পশু নিয়ে মন্ত্রীর আশ্বাসের নিশ্চয়তা কি? দুধ এবং গরু আমদানীর ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ সেক্টরে আমদানী নয় বরং রফতানী করা সম্ভব।
, ১৩ মে, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ব্রাজিল বাংলাদেশে গরুর গোশত রপ্তানি করতে চায়। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য, কুরবানীর ঈদের আগে ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি। সম্প্রতি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার ঢাকা সফরে এসব বিষয় আলোচনায় আসে।
সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে গরুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৪৯ লাখ, ২০১৩-১৪ সালে যা ছিল ২ কোটি ৩৫ লাখ। সেই হিসাবে গত ১০ বছরে দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১৪ লাখ। সরকারের এই হিসাবে প্রতিবছরই গরুর সংখ্যা কিছু না কিছু বাড়তে দেখা গেছে। তবে দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে সরকারী হিসেবের চাইতে গরু-ছাগল বৃদ্ধির সংখ্যা অনেক বেশি।
উল্লেখ্য গত পরশু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আদ্বহা সামনে রেখে গরু বা অন্য কোনো পশু আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ, দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু লালন-পালন করছেন খামারিরা। মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী কুরবানীর ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কুরবানীর ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সেই আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি। ’
‘গতবারের তালিকার চেয়ে আমাদের তিন লাখ বাড়তি সরবরাহ আছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তবে কোনো গোষ্ঠী যাতে কুরবানীযোগ্য পশুর দাম নিয়ে কারসাজি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সরকার।
প্রসঙ্গত এই শেষোক্ত বাক্যটি নিয়েই আমাদের বিশেষ আশঙ্কার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
কারণ ইতোপূর্বে গত রমজানে আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী, বানিজ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাব অনেক আশ্বাসবানী দেয়ার পরও হম্বিতন্বি করার পরও ঠিকই দ্রব্যমূল্যের দাম বহুগুণ বেড়েছে।
সুতরাং কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? মন্ত্রী কারসাজি হবে না বললেও সিন্ডিকেটের কাছে মন্ত্রীদের অসহায়ত্ব এখন ওপেনসিক্রেট।
বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় গরুর উপর নির্ভরশীলতায় বিগত বছরগুলিতে কুরবানীতে বিপাকে পড়েছিল দেশ। শুধু তাই নয়, ভারতীয় গরুর উপর অতি নির্ভরশীলতার কারণে দেশ প্রয়োজনীয় গোশত ও দুগ্ধ উৎপাদন সক্ষমতা থেকেও অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সরকারী তেমন কোনো উদ্যোগও নেই। সে জন্য আমদানির মাধ্যমে গরুর গোশত এবং গরুর দুধের চাহিদা মেটাতে হয়।
যা দেশীয় যোগানের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানিকৃত গরু দিয়ে এ চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। অথচ দেশে পর্যাপ্ত গরুর খামার গড়ে তুলতে খামারীদের সরকারীভাবে যদি প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়, তাহলে গরু আমদানী করতে হবেনা বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গোশত রফতানীতে সক্ষম হবে দেশ। পাশাপাশি পরিবারভিত্তিক গাভী পালনে যদি উৎসাহিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক যোগান দেয় সরকার, তাহলে দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলি লিটার দুধ পান করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুধ পানের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিলিটার।
দেশে দুধ উৎপাদনে চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে দুগ্ধ উৎপাদনের তুলনায় বিপুল ঘাটতি মেটাতে গুঁড়াদুধ আমদানিতে প্রতি বছর দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। অথচ সরকার এ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা দিলে একদিকে দুধের উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে আমদানি বন্ধ হলে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আর এই আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের কারণে দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের বিকাশ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলোর দাবি, দেশীয় শিল্পকে নীতি সহায়তা দিলে দেশের খামারি ও কোম্পানিগুলোই গুঁড়াদুধ ও তরল দুধের পুরো চাহিদা মেটাতে পারে। এজন্য দেশে ডেইরী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গাভী পালনে পুনঃঅর্থায়ন কার্যক্রমে ২০০ কোটি টাকার স্কিম চালু করেছে। কিন্তু আমরা মনে করি, দুইশ কোটি টাকা খুবই সামান্য। বরং এ খাতে দুই হাজারেরও চেয়ে বেশি বরাদ্দ করা উচিত। কারণ বর্তমানে শুধু গুড়া দুধ আমদানীতেই ব্যয় হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকা।
কারণ ডেইরি শিল্প শুধু দুগ্ধ উৎপাদনেই সীমিত নয়। এর সঙ্গে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসংস্থান ও শিল্প সম্ভাবনা জড়িত। যেমন দেশব্যাপী ডেইরি ফার্মের মাধ্যমে গাভী পালন হলে বেকার যুবক-যুবতীরা বিদেশগামী হবে না বা চাকরির পেছনে ছুটবে না। স্থানীয়ভাবে ছোট-বড় ডেইরি ফার্ম গড়ে উঠলে গ্রামীণ উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। ডেইরি ফার্মের খাদ্য চাহিদাকে কেন্দ্র করে আরও ব্যবসা ও কর্মসংস্থান হবে। গাভী পালনের ফলে দেশে গরু উৎপাদন বাড়বে, এতে দেশে গোশতের চাহিদা পূরণ হবে। ভারতীয় গরু নির্ভরতা বন্ধ হবে। বিকশিত হবে আমাদের চামড়া শিল্প। তরল দুধের পাশাপাশি গুঁড়াদুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। আরও একটি বিরাট পরিবেশবান্ধব লাভ আছে। আর সেটি হলো ডেইরি ফার্ম বিকশিত হলে প্রচুর গোবর উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে প্রাকৃতিক সারের ব্যবহার সামগ্রিকভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে।
মূলত, সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সততা। এই সততা ও সদিচ্ছা আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলিম, চেতনা ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হিমাগারের ভাড়া বাড়ায় আলু এখন ‘গলার কাঁটা’ আসন্ন জুলাই-নভেম্বরে আলুর দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে- অন্তর্বর্তী সরকারের এ প্রতিশ্রুতি যেনো পতিত জালিম সরকারের মত কথার ফুল ঝুড়িতেই পর্যবসিত না হয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত পবিত্র ১৭ই শা’বান শরীফ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র লাইলাতুল বরাতে সংশয়বাদী ও নাসীকারীরা বালহুম আদ্বল। ওদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বিশ্বাসী হওয়া ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারে না। মহিমান্বিত লাইলাতুল বরাত উনাকে উপলব্ধি ও উদযাপনের সর্বোত্তম স্থান হলো রাজারবাগ শরীফ
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুবারক হো পবিত্র ১৩ই শা’বান শরীফ! সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই শাবান শরীফ আজ।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)