কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শিশুরা অশালীন ছবি তৈরি করছে এবং চরম নিগ্রহের শিকার হচ্ছে
ছবি তোলা হারাম- এ ফতওয়ার আমলই পারে সব ফেৎনা থেকে হেফাজত হতে
, ১৫ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
আজকাল অতিপরিচিত একটি শব্দ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব সূক্ষ¥ভাবে ভুয়া তথ্য প্রচারে সক্ষম। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আজকাল মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে বানোয়াট ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে।
সম্প্রতি দেশে এক নারীর একটি আপত্তিকর ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এআই-এর সহায়তায় ৯ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল ভুক্তভোগীর ছবি ব্যবহার করে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার ব্যক্তিজীবন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ইমেজ জেনারেটর ব্যবহার করে একে অপরের অশালীন ছবি তৈরি করছে শিশুরা।
বিবিসির তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা সেফার ইন্টারনেট সেন্টার (ইউকেএসআইসি) জানায়, তারা বিভিন্ন স্কুল থেকে এই বিষয় রিপোর্ট পেয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, এখন থেকেই শিশুদের সচেতন না করলে তারা কৌতূহল থেকে বিষয়টিতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে, যুক্তরাজ্যের আইনে এই ধরনের অশালীন ছবি তৈরি করা, সংগ্রহ করা বা বিতরণ করা সমস্ত পরিস্থিতিতে বেআইনি। এগুলো আসল হোক বা নকল। শিশুরা এর ফলাফল বুঝতে না পেরে এসব অনলাইনে প্রচার করতে পারে। ছবিগুলো ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
“অতীতে দেখা যেত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাই শিশুরাও সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি ব্যবহারে বেশি ঝুঁকে পড়ছে। এছাড়াও বাবা-মায়েরা তাদের শিশুর দৈনন্দিন অ্যাক্টিভিটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন। সেগুলো ভাইরাল হচ্ছে, অনলাইনে বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে। এতে শিশুদেরও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এআইয়ের অপব্যবহার ভবিষ্যতে এসব শিশুর জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।”
বিষয়টি নিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবকের জ্ঞান প্রায় শুন্যের কোঠায়।
শিশুদের ছবি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের এমন হয়রানির বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক। এতে শিশুদের জীবনব্যাপী একটি ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।
উল্লেখ্য, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা, দেখা, রাখা হারাম। এ হারাম থেকে বিরত হলেই সব ফেৎনা থেকে বাঁচা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












