কৃষিজমির জন্য আসছে কঠোর অধ্যাদেশ -কৃষিজমিতে আবাসন-রিসোর্ট করলে ৫০ লাখ ঢাকা জরিমানা -গঠন হবে 'বাংলাদেশ ভূমি জোনিং ও ভূমি সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ” -কৃষিজমির ৮০ শতাংশ কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ হবে -ভূমিকে ১৪টি শ্রেণিতে ভাগ করা হবে, হবে ভূমি জোনিং ম্যাপ
, ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৪ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্যোগে কৃষিজমির জন্য আসছে কঠোর একটি অধ্যাদেশ। এরই মধ্যে নানান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ‘ভূমি ব্যবহার ও কৃষিভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’র খসড়া করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন-২) মঈনুল হাসান বলেন, খসড়াটি এক দফা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ পর্যবেক্ষণ দিয়ে এটি ফেরত পাঠায়। পরিষদ কৃষিজমি সুরক্ষায় বিষয়টিকে জোর দিতে বলে। সেই অনুযায়ী আমরা খসড়াটি করছি।
উপসচিব আরও বলেন, খসড়ার বিষয়ে আমরা মতামত নিচ্ছি। এরপর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে খসড়াটি চূড়ান্ত করে শিগগির উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো।
খসড়া অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ভূমির উপরিভাগের ক্ষতিকর পরিবর্তন রোধে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মানলে ও কৃষিজমি বাদে অন্য শ্রেণির ভূমির ক্ষতিকর পরিবর্তন রোধে নির্দেশনা না মানলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এছাড়া কৃষিজমিতে নিয়ম মেনে বসতবাড়ি নির্মাণ ছাড়া অকৃষি কাজে ব্যবহার করলে শাস্তি পেতে হবে। কর্তৃপক্ষ জমিতে অননুমোদিতভাবে নির্মাণ করা স্থাপনা অপসারণ করে বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করতে পারবে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, কোনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বা কোনো হাউজিং সোসাইটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষিজমিতে অননুমোদিতভাবে হাউজিং এস্টেট তৈরি করলে বা হাউজিং এস্টেট তৈরির উদ্দেশ্যে অধিক পরিমাণ কৃষিজমি দখল করে রাখলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
একই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা কোম্পানি বা শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, পুঁজিপতি বা কোনো এনজিও বা কোনো ক্লাব কৃষিকাজ ছাড়া বাণিজ্যিক বা বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে অননুমোদিতভাবে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি কৃষিজমি দখল করে রাখলে এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা সোসাইটি বা এনজিও বা ক্লাব বা কোম্পানির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকেই কারাদ- বা জরিমানা করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ভূমি জোনিং ও ভূমি সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করবে। একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য নিয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। চেয়ারম্যান হবেন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। কমপক্ষে যুগ্ম-সচিব পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে দুজন সদস্য নিয়োগ করা হবে।
কর্তৃপক্ষ গঠন না হওয়া পর্যন্ত ভূমি সংস্কার বোর্ড ‘বাংলাদেশ ভূমি জোনিং ও ভূমি সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের সব ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করবে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন বলে খসড়া অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।
কৃষিজমি পরিমাপ করে মোট কৃষিভূমির কমপক্ষে ৮০ শতাংশ কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
ভূমি জোনিংয়ের উদ্দেশ্যে ভূমিকে ১৪টি শ্রেণিতে ভাগ করা যাবে বলে খসড়ায় জানানো হয়েছে। শ্রেণিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি অঞ্চল, কৃষি-মৎস্য চাষ অঞ্চল, নদী ও খাল, জলাশয়, পরিবহন ও যোগাযোগ অঞ্চল, শহুরে আবাসিক অঞ্চল, গ্রামীণ বসতি অঞ্চল, মিশ্র ব্যবহার অঞ্চল, বাণিজ্যিক অঞ্চল, শিল্প অঞ্চল, প্রাতিষ্ঠানিক ও নাগরিক সুবিধা অঞ্চল, বন ও বৃক্ষরোপণ অঞ্চল, সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য অঞ্চল এবং পাহাড় টিলা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে সব কৃষিভূমি সুরক্ষা করতে হবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কৃষিভূমি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না বা এমনভাবে ব্যবহার করা যাবে না যে কৃষিভূমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে অকৃষি বা অন্য কোনো শ্রেণির ভূমি কৃষিকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।
দুই বা এর বেশি ফসলি কৃষিভূমি কোনো অবস্থায়ই কৃষি ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। এক ফসলি ভূমিকেও কৃষিভূমি হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। তবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব, জনস্বার্থ বিবেচনায় ন্যূনতম প্রয়োজনীয় পরিমাণ এক ফসলি কৃষিভূমি সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা স্থাপন বা কৃষিসংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক কার্যক্রম বা অন্য কোনো বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে।
কোনো ব্যক্তি ন্যূনতম প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভূমি ব্যবহার করে নিজ কৃষিভূমিতে বসতবাড়ি, উপাসনালয়, কবরস্থান, সমাধি, গুদামঘর, পারিবারিক ব্যবহারের জন্য পুকুর, দোকানপাট, কুটির শিল্পসহ বসতবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কিত স্থাপনাদি নির্মাণ করতে পারবেন। ন্যূনতম প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমির অতিরিক্ত জমি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দুদিন পর ‘কোপা শামছু বাহিনী’ প্রধানের লাশ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৬
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আগামী সোমবার থেকে আমানতের অর্থ ফেরত পাবেন পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকরা
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঢাকায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘চাঁদাবাজির সময়’ সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃতকে পিটিয়ে হত্যা
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ সুরভী গ্রেপ্তার
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন’
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সংহত করবে’
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছুটির দিনেও রিটার্ন জমা নেবে এনবিআর
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে সহায়ক হবে’
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে’
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












