ক্লাস-৭ এ ট্রান্সজেন্ডার পাঠ, একজন জামিল সাহেবের গল্প (২)
, ২০ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত

এদিকে শুভ আরেক বিপদে ফেলেছে, তার মেয়েরূপী একটা ছবি ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামে আপলোড করে দিয়ে। এখন সব আত্মীয়-স্বজন ফোন করা শুরু করেছে, বলছে- “কিরে জামিল তোর একমাত্র ছেলে কি হিজরা হয়ে গেছে? তোর বংশ রক্ষা করবে কে এখন?” জামিল সাহেব কি করবেন বুঝতে পারছেন না। সন্তানকে অনেক বুঝিয়েছেন, কিন্তু সে বুঝতে চায় না। শুভ’র এক কথা, “আমি বইয়ে পড়েছি মনে মনে মেয়ে হওয়া আমার অধিকার। মাই বডি মাই চয়েজ। আমার বিষয়ে কথা বলার তোমরা কে?” সন্তানের এমন বেপরোয়া কথা শুনে আকাশ যেন মাথায় ভেঙ্গে পরে জামিল সাহেবের। আর তাছাড়া শুভ মেয়েদের মত পোশাক পরে রাস্তায় প্রতিদিন এমন সব উদ্ভট ও অশ্লীল আচরণ করে, যার কারণে তিনি এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারেন না। সবাই তাকে ছি ছি করে।
শুভ যত বড় হচ্ছে, সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে। সে এখন ক্লাস-৯ এ পড়ে। জামিল সাহেব শুভর এক বন্ধুর থেকে খবর পেয়েছেন, পাশের এলাকা থেকে কয়েকটা হিজরা ও ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটি নাকি শুভর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। কয়েকটা ছেলে নাকি শুভ’র সাথে কাপল বা জুটি বেধেছে। তাদের সাথে নাকি শুভ’র নাকি অনৈতিক সম্পর্ক। ট্রান্সজেন্ডার হলে নাকি এসব অনৈতিক কাজ করতে হয়।
একমাত্র পুত্রের এমন অধঃপতনের কথা শুনে জামিল সাহেবের স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করে তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করেন। জামিল সাহেবও অসুস্থ। বেঁচে থাকা তার কাছে এখন অর্থহীন মনে হয়। ভাবেন, কত শখ ছিলো একটা মাত্র ছেলে নিয়ে। কিন্তু তার এই অধঃপতন। মৃত্যুর পর সবার সন্তান বাবা-মার জন্য দোয়া পাঠাবে, আর আর আমার সন্তান আমার মৃত্যুর পর দোয়া নয়, পাপের বোঝা পাঠাবে, এই ভেবে তিনি কাঁদতে থাকেন। ভাবেন, স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব অনৈতিক ও কুৎসিত বিষয় শিক্ষা দেয়ায় আজ তার সন্তানের এ অবস্থা। সন্তানকে তিনি স্কুলে দিয়েছিলেন, মানুষের মত মানুষ করার জন্য, কিন্তু সেই স্কুলে পাঠ্যবই থেকে এমন জঘন্য বিষয় পড়ানো হয়েছে যে, তার সন্তান মানুষ না হয়ে অমানুষ ও পশু হয়ে গেছে। মনের অজান্তেই পাঠ্যবই প্রণেতাদের জন্য বদ দোয়া আসতে থাকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে অবিরাম অভিশাপ দিতে থাকেন তিনি।
উপরের গল্পটি কাল্পনিক। কিন্তু অবশ্যম্ভাবী। বর্তমান পাঠ্যবইয়ে কোমলমতি শিশুদের যেভাবে ট্রান্সজেন্ডার বা মানসিক জেন্ডার শেখানো হচ্ছে, তাতে শিশুদের বিভ্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। একটা কোমলমতি শিশু এসব আজগুবি কথা পড়ে যদি নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার বা বিপরীত লিঙ্গ ভাবা শুরু করে, তবে তার দায় নেবে কে? সে যদি মানসিক বিকৃত হয়ে সমকামী হয়ে যায়, তবে তার দায় নেবে কে? তাই অভিভাবকদের বলবো, সময় থাকতে সচেতন হোন, আপনার সন্তানকে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে কি পড়ানো হচ্ছে তার খবর নিন, পাঠ্যবইয়ে কুৎসিত পাঠের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, একত্র হয়ে দাবী তুলুন, আমাদের সন্তানের পাঠ্যবইয়ে এসব কুৎসিত পাঠ থাকতে পারবে না। অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
-রফিক বিন আজাদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আসন্ন রমাদ্বান শরীফ মাসে ব্যবসায়ী ভাইদের করণীয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শত্রুকে না চিনলে আপনার মুসলমানিত্ব নিরাপদ থাকবে না
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আফসুস! ওইসব ব্যক্তির জন্য, যারা ‘পবিত্র শবে বরাত’ পাওয়ার পরও গাফিল থাকে
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গান-বাজনা, খেলাধুলা, টিভি-সিনেমা এগুলো একেকটা ভয়ঙ্কর মাদক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বের বহু দেশের সবকিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতায় অথচ বাংলাদেশ এখনও ছবিযুক্ত ত্রুটিপূর্ণ হারাম পদ্ধতির শিকার
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেই ‘ভালো’ খারাপকে প্রতিহত করার ইচ্ছা রাখে না, সেই ‘ভালো’ কখনোই ভালো নয়
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকেই মুসলমানরা শুধু বাংলাদেশ নয়; সারা কায়িনাতের আদিবাসী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু তুরস্ক নয়, গাজা পুনর্গঠনে গোটা মুসলিম বিশ্বের এখনি ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিখলেই কী মুসলমানরা উদ্ধার হয়ে যেতো?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে সব হোটেল-রেঁস্তোরা-দোকানপাট” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা”
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সড়ক দুর্ঘটনার যে কারণটি নিয়ে কেউ কথা বলে না
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩০% বায়ুদূষণের কারণ ভারত এবং আরো ৩০% বায়ুদূষণের কারণ পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে পরিবেশ উপদেষ্টার কোনো কথা বা কার্যক্রম নেই। ২০২২ সালে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে রীটকারী ২০২৪ সালে পরিবেশ উপদেষ্টা হয়ে বলছেন বায়ুদূষণের দায় নিবো না। পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্যোগ- শুধু ইটভাটা আর পলিথিন বন্ধে- এ বৈষম্য আর জুলুম জনগণ বেশী বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ।
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)