খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫)
গবেষণা কেন্দ্র : মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ
, ২৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
![খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫)](https://www.al-ihsan.net/uploads/1699819343_.jpg)
যেমন এ প্রসঙ্গে ‘ইবরিজ’ কিতাবের ১ম ভাগে শায়েখ ইবনুল মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি আমার শায়েখ আব্দুল আযীয দাব্বাগ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ-
إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ
(অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ সাত হরফের উপর নাযিল হয়েছে) এর প্রকৃত অর্থ ও তাৎপর্য জিজ্ঞাসা করলাম। এ পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্বন্ধে ক্বাযী বাকেল্লানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবুল ইনতেছার’ কিতাবে ইমাম ইবনুল জাযরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘কিতাবুন নাছার’ কিতাবে, হাফিজ ইবনে হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শরহুল বুখারী ফি কিতাবে ফাজায়েলুল কুরআন’ কিতাবে এবং হাফিজ আল্লামা সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ইতকান’ কিতাবে যা বলেছেন, তাও উনার নিকট বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করে আগামীকাল ইনশাআল্লাহু তায়ালা এর তাৎপর্য বর্ণনা করবো। ” পরদিন তিনি বলেন, “আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এর তাৎপর্য জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি এরূপই বলেছেন”। এরপর এ হাদীছ শরীফের যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন তা কল্পনাতীত, যা এ কিতাবে বর্ণনা করা অসম্ভব। কোন জাহেরী আলেম উহার নিকট দিয়েও যায়নি। শায়খে আকবর রহমতুল্লাহি আলাইহি ও আব্দুল আযীয দাব্বাগ রহমতুল্লাহি আলাইহি এরূপভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কত অচিন্তনীয় ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা শুনলে হৃদয় মন তৃপ্ত হয়ে যায়। শায়খে আকবর রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘ফুতুহাতে মক্কীয়া-এর মধ্যে এমনও বলেছেন, “ছহীহ্ ও জঈফ পবিত্র হাদীছ শরীফ নির্ধারণের জন্য রাবীদের সনদ আমার নিকট মাপকাঠি নয়। আমার মাপকাঠি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই। ” তিনি এটাও বলেছেন, “আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মুহাদ্দিছীনগণ
مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّه
(অর্থাৎ- যে নিজেকে চিনেছে সে মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতে সক্ষম হয়েছে) এ পবিত্র হাদীছ শরীফকে মাওজূ’ অর্থাৎ মিথ্যা পবিত্র হাদীছ বলে সাব্যস্ত করেছেন। তবে কি এ পবিত্র হাদীছ শরীফ মিথ্যা? আপনি কি ইহা বলেননি?” তিনি বললেন, “নিশ্চয়ই আমি বলেছি। এটা ছহীহ্ হাদীছ শরীফ। ” এরূপ আলোচনা অনেক হাদীছ শরীফ সম্বন্ধে তিনি করেছেন। যাঁদের হৃদয় দ্বার উন্মোচিত উনাদের সমঝের কাছে কোন সমঝই নাই, কারণ উনাদের সমঝ যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বারা সমর্থিত ও পরিমার্জিত। তাযকিরাতুল আউলিয়া দ্বিতীয় খ-ের ৫৮০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, একবার হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন মুরীদ ইলমে হাদীছ শিক্ষা করার জন্য ইরাক গমন করার অনুমতি চেয়েছিলেন। তখন হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তুমি কেন ইরাক যাবে, এখানে কি হাদীছ শরীফ শিক্ষা দেয়ার মত কোন লোক নেই? মুরীদ জবাব দিলেন, না, খারকান শহরে কোন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ নেই। তখন হযরত খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, কেন আমিই তো রয়েছি, আমি উম্মী (কোন মাদরাসায় না পড়া) হওয়া সত্ত্বেও মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহবশতঃ আমাকে সব রকম ইলিম মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ শাস্ত্র তো আমি খোদ সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে শিক্ষা করেছি। সুবহানাল্লাহ! মুরীদের কিন্তু হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ কথাটির প্রতি ইয়াক্বীন হলো না। রাত্রে মুরীদ স্বপ্নে দেখলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলছেন, হে ব্যক্তি! খাঁটি লোকগণ সত্য কথাই বলে থাকেন। এরূপ স্বপ্ন দেখে ভোর থেকেই তিনি হযরত খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে পবিত্র হাদীছ শরীফ পড়ার জন্য যেতে লাগলেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা দেয়ার কালে হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাঝে মাঝে বলতেন, এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিজের নয়, বরং এটা মাওজূ’ হাদীছ। মুরীদ প্রশ্ন করতেন, হুযূর! তা আপনি কি করে জানলেন? তিনি জবাব দিলেন, তুমি যখন পবিত্র হাদীছ শরীফ পড়তে থাক, আমি তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বচক্ষে দেখে থাকি, যদি পবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ হয় তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ললাট মুবারকে খুশীর রেখা ফুটে উঠে। আর যদি ছহীহ্ না হয়, তাহলে উনার মহাসম্মানিত নূরুর রহমত মুবারক অর্থাৎ চেহারা মুবারক বিষন্ন হয়ে পড়ে। এর দ্বারা আমার নিকট পরিষ্কার হয়ে যায়, কোনটি ছহীহ্ আর কোনটি গায়রে ছহীহ্ অর্থাৎ জঈফ হাদীছ। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সঙ্গে কখনই মুহব্বত করা ও সাদৃশ্য রাখা যাবে না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৪)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)