খাদ্যে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা নেই কেনো? মান যাচাইয়ের প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের মান শূন্য কেনো? সরকারের কর্তব্য কী?
, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
বিএসটিআইয়ের পরিচালক এ প্রসঙ্গে বলেছে, তৈরি পণ্যের গুণমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। খাবারে কেমিক্যাল ব্যবহারে বিএসটিআইয়ের স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে। ওই স্ট্যান্ডার্ডে ব্যবহারের মাত্রা রয়েছে। তবে সঠিক মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা ব্যবহারকারীরাই ভালো বলতে পারবে। তা দেখার দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের নয়। বলাবাহুল্য বিএসটিআইয়ের এ বক্তব্য গোটা জাতির জন্য গভীর হতাশাব্যাঞ্জক।
জানা গেছে, বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে খাদ্যে ব্যবহৃত ইস্ট, বেকিং পাউডার, হাইড্রোজ, ঘন চিনি, স্যাকারিন, ব্রেড ও কেক ইমপ্রুভার, বোরিক পাউডার, অ্যামোনিয়াম বাইকার্বোনেট, চেরি ফল, সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম পাইরোফসফেট, আম, কলা, আপেল, কমলা, ডিম, কাঁঠাল, ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও মরিচের রঙ। এসব কেমিক্যাল খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে।
জানা গেছে, পাউরুটি তৈরিতে ব্যবহার হয় ব্রেড ইমপ্রুভার, ঘন চিনি, স্যাকারিন, ইস্ট ও বেকিং পাউডার। বিস্কুটে বেকিং পাউডার, ফ্লেভার, ডিমের রঙ, ঘির ফ্লেভার, ডালডা ও তেলের পরিবর্তে মার্জারিন, অ্যামোনিয়াম বাইকার্বোনেট। কেক তৈরিতে ইমপ্রুভার, হপস পাউডার, চেরি ফল ও হাইড্রোজ। চানাচুরে সাইট্রিক এসিড, টেস্টিং সল্ট, সোডিয়াম বেনজয়েট, বেকিং পাউডার, রঙ ও সোডিয়াম পাইরোফসফেট। আইসক্রিমে ব্যবহার হচ্ছে রঙ, স্যাকারিন ও কোকো পাউডার। কিন্তু এসব কেমিক্যাল সঠিক মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে কিনা বা উৎপাদনকারীরা যে কেমিক্যালটি ব্যবহার করছে, তা মানসম্পন্ন কিনা, সেটাও জানে না ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ রয়েছে, খাবার তৈরিতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে এসব কেমিক্যাল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে টেক্সটাইল মিলে ব্যবহার করা রঙ। অসৎ ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের লাভের আশায় এসব কেমিক্যাল বিক্রি করছে। এগুলো খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে ঢুকছে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। স¦াস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিষিদ্ধ কেমিক্যালযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রিক, চর্মরোগ, হাঁপানি, পাকস্থলি প্রদাহ, লিভার ক্যান্সার ও কিডনির নানা রোগ হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারের যে প্রতিষ্ঠানটি খাদ্যদ্রব্যসহ সবধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের ক্ষেত্রে মাননিয়ন্ত্রণ করে সেই বিএসটিআইয়ের মান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যন্ত্রপাতির অভাব, জনবল সংকটসহ বহুবিধ সমস্যায় প্রতিষ্ঠানটি এখনো মানসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে পণ্যের দাম, মান ও ওজনে ঠকবাজি চলছেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিএসটিআইয়ের স¦ীকৃতি জোটেনি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া গুণগতমানের সনদ কোনো দেশেই গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডোর) পরিদর্শক দল বিএসটিআই পরিদর্শন শেষে বলেছে, এর সনদ ও মানের নিশ্চয়তা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নয়। ইউনিডো এ ব্যাপারে কিছু সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সনদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় রপ্তানিকারকরা দেশীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে নানা জটিলতায় পড়ে। বিভিন্ন পণ্যের নমুনা ভারতীয় ল্যাবরেটরির মান সনদ নিয়ে তবেই তা অন্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
বিএসটিআইর আঞ্চলিক দফতরগুলোর বেহাল অবস্থা। বিভাগীয় আঞ্চলিক দফতর নিম্নমানের ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতিতে সাজানো। বিএসটিআইর চট্টগ্রাম দফতরে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ পণ্যের পরীক্ষণ ব্যবস্থা নেই। ১৫৬টি পণ্যের মধ্যে মাত্র ৫৭টির মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অনেক ভেজাল পণ্যের নমুনার ‘পরীক্ষণ রিপোর্টের’ জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। ততদিনে ওই ভেজাল পণ্যের বাজারজাত সম্পন্ন হয়ে যায়।
বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স বাতিল করা শতাধিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যও বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। পণ্যের মোড়কে যথারীতি ব্যবহৃত হচ্ছে বিএসটিআইর লোগো। ওজনে কম দেয়ার ক্ষেত্রেও চলছে নানা ধরনের কারসাজি। জানা যায়, এক বছরেরও বেশি সময় আগে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭ ধরনের খাদ্যপণ্যের লাইসেন্স বাতিল করে বিএসটিআই। কিন্তু এসব পণ্য বিক্রি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দেয়া হয়নি কোনো নির্দেশনাও।
একটি পণ্যের নমুনা যাচাই করে বিএসটিআই যে মান সনদ দেয়, সে মান বজায় থাকছে কি না তা তদারকির দায়িত্বও তাদের। কিন্তু বাজারে মান তদারকির নজির দেখা যায় না। পণ্য উৎপাদনকারীর অনুকূলে শুধু মান সনদ দিয়েই বিএসটিআই দায়িত্ব শেষ করছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
বলাবাহুল্য এটা স্বাধীন রাষ্ট্রে সুস্পষ্টত সংবিধান লঙ্ঘন। কাজেই সরকারকে অবিলম্বে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যালসহ সব ক্ষতিকর উপাদান মুক্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠাপোষকতা করতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ভারতের ভূ-রাজনীতি দেখতে চায় না দেশ প্রেমিক জনসাধারণ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও এদেশীয় অর্থায়নেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা যথাযথ করতে পারলে এবং বাস্তবায়ন করলে দেশের উত্তারঞ্চল সোনালী সমৃদ্ধিতে আরো সমুজ্জল হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












