মন্তব্য কলাম
খোলা চিঠি ও উদাত্ত আহ্বান: আসন্ন “পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ” “পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”
, ০৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ৩০ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৯ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
সর্বশ্রেষ্ঠ এ মুবারক দিনটি সর্বোত্তমভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ তৎপর এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথা বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রসঙ্গে
দেশের সকল ব্যবসায়ী সংগঠন ও এর সংশ্লিষ্ট সব চেয়ারম্যান এবং সব পরিচালকদের প্রতি উদাত্ত আহবান
মুহতারাম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই আপনারা আজ ব্যবসায়ে এত সুপ্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা এবং সুযোগ ও সফলতা পেয়েছেন। তথা অর্জন করেছেন। যা যালিম পাকীদের আমলে সহজ ও সম্ভব ছিল না। তখন বাঙালি ব্যবসায়ী ও শিল্পোদোক্তাদের প্রতি মারাত্মক বৈষম্যও বঞ্চনা ছিল।
মুহতারাম,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অভ্যুদয়ের সঙ্গে যাদের কথা অনিবার্যভাবে আসে তারা হলেন, ত্রিশ লাখ শহীদ।
প্রসঙ্গত, এ ‘শহীদ’ শব্দটি সর্বোতভাবেই পবিত্র দ্বীন ইসলামী বিশ্বাস, অনুভূতি ও আবেগ থেকে উৎসারিত। অর্থাৎ এদেশের উৎপত্তির সাথে পরিপূর্ণভাবে জড়িয়ে আছে সম্মানিত ইসলামী বিশ্বাস ও অনুষঙ্গ। এদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট সম্মানিত ইসলামী অনুভূতি ও চেতনা।
মুহতারাম,
একই সাথে এদেশের স্বাধীনতা রক্ষার মূল চেতনাও পবিত্র দ্বীন ইসলাম। বলাবাহুল্য, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, সন্ত্রাসী ও ধর্মব্যবসায়ীসহ দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় এদেশের স্বাধীনতা হরণ ও নস্যাতে বিশেষ সক্রিয়।
এক্ষেত্রে তাদের প্রথম নীলনকশা হলো, এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। এদেশকে বিদেশের বাজারে পরিণত করা। বিদেশী পণ্যে এদেশের বাজার সয়লাব করা। চটকদার বিজ্ঞাপনে বিদেশী পণ্যের প্রতি এদেশবাসীর মনকে আকৃষ্ট করা। এদেশবাসীকে বিদেশী পণ্যের ভক্ত করা।
মুহতারাম,
এ হীন কৌশলে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা এতই সফল যে, এদেশের ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারীরা বিদেশের থেকে ভালো পণ্য দ্রব্য উৎপাদন করলেও নিজেদের কোম্পানির লেবেল দিলে তা এদেশবাসী কেনে না। সেক্ষেত্রে এদেশের ব্যবসায়ীদের নিজের উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যে নিজের দেশের তথা বাংলাদেশের নাম না দিয়ে বিদেশী ব্র্যান্ডের নাম দিতে হয়। তারপরে এদেশবাসী আকৃষ্ট হয়ে ওইসব পণ্যদ্রব্য কিনে।
মুহতারাম,
সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশ আজ ভারত, চীন, সিঙ্গাপুরসহ নানা বিদেশী রাষ্ট্রের নিজস্ব মার্কেটে পরিণত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এ কেবল সরকারি হিসাব। আর প্রকৃত হিসেবে এদেশের সুঁইসহ নিত্য প্রয়োজনীয় এবং বিলাসী তথা বাস-ট্রাক ইত্যাদি ভারী শিল্পসহ সবকিছু ভারতীয় বা বহুজাতিক কোম্পানীগুলো তথা বিদেশী ব্যবসায়ীদের একচ্ছত্র ও বিশাল মার্কেট।
মুহতারাম,
আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশ মূলত প্রায় ৩০ কোটি লোকের এক বিশাল মার্কেট। যা তথাকথিত সুপার পাওয়ার আমেরিকার কাছাকাছি। এক্ষেত্রে প্রায় ৩০ কোটি বাংলাদেশী যদি বাংলাদেশী পণ্য ক্রয় করতো, তাহলে বাংলাদেশী কোনো কোম্পানিই লস বা লোকসান খেতো না। অথবা বাংলাদেশী উৎপাদিত পণ্যই প্রচুরভাবে চলতো। বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ীর অবস্থায়ই আরো ভালো হতো এবং পাশাপাশি বাংলাদেশে আরো অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী তৈরি হতো।
মুহতারাম,
এদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কোটিরও বেশি।
দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংখ্যাও কোটির উপরে।
দেশে উৎপাদনশীল খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অর্ধলক্ষ।
দেশে মোট কুটির শিল্পের সংখ্যাও লক্ষ লক্ষ।
দেশে মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কোটি পেরিয়েছে অনেক আগেই।
কিন্তু এরা কেউই ভালো নেই। অথবা যতটা ভালো থাকার কথা ছিল তার কিছুই নেই। কারণ এদেশে উৎপাদিত জিনিস এদেশবাসীই কেনে না। জন্মগতভাবে ও জিহালতিভাবে তারা বিদেশী পণ্যকে পছন্দ করে। নিজের দেশের অর্থ বিদেশে পাঠায়।
মুহতারাম,
শুধু ভারত, চীনই নয়- এদেশে রয়েছে লক্ষ কোটি টাকার ইহুদীপণ্যের বিশাল মার্কেট। দামি শিশুখাদ্য, কসমেটিকসহ সব উচ্চমূল্যের পণ্যগুলো ইহুদীদের। এবং বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত তথা ধনীরা একচেটিয়া ইহুদীদের এসব পণ্যের ক্রেতা।
মুহতারাম,
অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিলো না। কারণ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সরাসরি ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ইহুদীরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড়শত্রু প্রথমত ইহুদীরা অতঃপর মুশরিকরা। ”
পাশাপাশি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “দেশের প্রতি মুহব্বত ঈমানের অঙ্গ। ”
সুতরাং কোনো মুসলমান একদিকে যেমন কোনো ইহুদীপণ্য কিনতে পারে না, পাশাপাশি তারা দেশীয় পণ্য বাদ দিয়ে ভারতীয় বা বিদেশী পণ্যও কিনতে পারে না। কিন্তু তারপরেও এদেশবাসী তাই করছে। অথচ এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান।
মুহতারাম,
এর একমাত্র কারণ হচ্ছে, এদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদেরকে তাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তিতে উজ্জীবিত করা হচ্ছে না। সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আকর্ষিত করা হচ্ছে না। পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না।
মুহতারাম,
এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। এদেশের রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ‘ইসলাম’। আর মুসলমান বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূলকথা হলো- “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহ” আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বলাবাহুল্য, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ আদৌ উচ্চারিত হতো না, যদি- ‘মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু’ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণ না হতো।
অর্থাৎ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
আর উনার প্রতি সব আবেগ, মুহব্বত, শ্রদ্ধা, আদব জানানোর মূল মাধ্যম হচ্ছে উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুমহান দিন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মহাপবিত্র মহাসম্মানিত ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ যথাযথভাবে পালন।
মুহতারাম,
বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- “যে ব্যক্তি ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে। ” সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- “যে ব্যক্তি পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো, সে যেন বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো। ” সুবহানাল্লাহ!
মুহতারাম,
সেক্ষেত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে আপনারাসহ সব ব্যবসায়ীদের আশু কর্তব্য, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা বরকতময় ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ দিবসটি পরম মুহব্বত, শান-শওকত এবং জওক-শওকের সাথে পালন করা। সাথে সাথে গোটা দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করা।
মুহতারাম,
এলক্ষ্যে এদিনের দানের ফযীলত হাছিলের জন্য, তথা দেশবাসীর মাঝে এদিনের চেতনা ও প্রেরণা সম্প্রসারের লক্ষ্যে আপনারা প্রত্যেকেই যার যার কোম্পানীর পণ্যদ্রব্যের একটা বিশেষ ছাড় দিতে পারেন। এতে করে এ দিনের প্রেরণা মানুষের মাঝে তৈরি হবে। আপনারা সে ফযীলতও পাবেন। পাশাপাশি এ দিন উপলক্ষে খরচেরও বিশেষ ফায়দা পাবেন।
বিশেষত, এদিনের প্রেরণা বিস্তার লাভ করলে সবার মাঝে স্বদেশের প্রতি মুহব্বতের চেতনাও লাভ করবে। তাতে সবাই স্বদেশী পণ্য কিনতে উৎসাহী ও আগ্রহী হবে। এবং এতে দেশবাসীসহ দেশের ব্যবসায়ীদেরও সমৃদ্ধি আসবে। দেশের স্বাধীনতা অক্ষুণœ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মুহতারাম,
প্রসঙ্গত, বিধর্মীরা তারা তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় বাজারে ওই সময় দেখা যায়- নতুন নতুন অফার।
ওদের বিভিন্ন উপলক্ষে মাসব্যাপী বিশেষ ছাড়ের অফার দিচ্ছে বিভিন্ন সুপার শপগুলো ও বড় বড় মার্কেটগুলো।
মুহতারাম,
তারা বিধর্মী হওয়া সত্ত্বেও এতটা করতে পারে; তাহলে যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; উনাকে সৃষ্টি করা না হলে হযরত আবুল বাশার আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনিসহ কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করা হতো না এবং উনাদের বিশেষ কোনো ঘটনাও সংঘটিত হতো না। উনার সম্মানার্থে মুসলমান হিসেবে আপনাদের কতটা করা উচিত।
মুহতারাম,
আপনাদের জানা আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন না হলে- আসমান-যমীন, লওহো-কলম, আরশ-কুরসী, জিন-ইনসান, ফেরেশতা, বেহেশত-দোযখ এক কথায় কায়িনাতের কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- “আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে আমি আমার রুবুবিয়্যাতই প্রকাশ করতাম না। ” (কানযুল উম্মাল)
তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে আগমন তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের দিন বরকতময় ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ কতো মহান, কতো বড় খুশি বা ঈদের দিন হবে তা ভাষায় বর্ণনার অযোগ্য। আর সে দিনটি উপলক্ষে যদি যথাযথ আড়ম্বর, জাঁকজমক ও সর্বোচ্চ আয়োজনের সাথে খুশি প্রকাশ না করা হয়; তাহলে যে কতো কঠিন শাস্তির বিষয় হবে, তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়।
মুহতারাম,
তবে শুধু পণ্যের বা ক্রেতা সম্পৃক্তই নয়; বরং দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা বরকতময় ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে সরকারের প্রতিও আপনাদের মাঝে কিছু করণীয় রয়েছে।
মুহতারাম,
সরকারের প্রতি আপনাদের কর্তব্য, আসন্ন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা বরকতময় ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বাধিক আয়োজনের জন্য বিশেষ দাবি পেশ করা।
মূলত, এ দিনের সম্মানে সব হারাম কাজ বন্ধ করে সর্বাত্মকভাবে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান ফুটিয়ে তোলার নিবেদন করা। উনার প্রতি মুহব্বত প্রকাশ করা, উনার আদর্শ অনুসরণ করা তথা সুন্নতসমূহ পালন করার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার জোরালো আবেদন করা।
মুহতারাম,
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে উল্লেখ্য যে, এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের পবিত্র দ্বীন- ‘ইসলাম’ উনার শিক্ষা ও মূল্যবোধ হলো- সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা, আবেগ ও অনুভূতি দিয়ে সর্বাধিক ব্যয় করে সবচেয়ে প্রাধান্য ও গুরুত্ব এবং মহাআড়ম্বর ও জাঁকজমকের সাথে
“সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা বরকতময় ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ” সরকারি ও বেসরকারিভাবে পালন করা।
সঙ্গতকারণেই সরকারের উচিত- এ বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে তাদের প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে পূরণ করা। এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের অনুভূতির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা। দ্বীনী মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। দ্বীনি অধিকার সংরক্ষণ করা।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করুন। তাওফীক দান করুন। গায়েবী মদদ করুন। আমীন।
: নিবেদক :
আন্তর্জাতিক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন কমিটি
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ভারতের ভূ-রাজনীতি দেখতে চায় না দেশ প্রেমিক জনসাধারণ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও এদেশীয় অর্থায়নেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা যথাযথ করতে পারলে এবং বাস্তবায়ন করলে দেশের উত্তারঞ্চল সোনালী সমৃদ্ধিতে আরো সমুজ্জল হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












