গরু গোশতের দাম কমাতে বয়কট কি সমাধান?
, ০৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
একসময় গ্রামাঞ্চলে প্রতি ঘরে ঘরে গরু-ছাগল পালন করা হত। যার কিছু নাই তার ঘরেও দুই-চার-পাঁচটি গরু স্বাভাবিক ছিল। গরুর গোশতের দামও ছিল সাধ্যের মধ্যেই। পরবর্তীতে ভারতীয় গরুর আমদানীর আধিক্যতা দেশীয় গরু উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে গ্রামাঞ্চলেও গরু উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকে। তখনও দাম ছিল সহনীয় মাত্রায়। ২০১৪ সালে হঠাৎ ভারত বাংলাদেশে গরু রপ্তানী বন্ধ করে দেয়, দাম বাড়তে থাকে গরুর। একদিকে বাংলাদেশের লাভ হয়েছে। দেশে অভ্যন্তরীণ গরু উৎপাদনে খামারী ও ব্যক্তি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসে। বাড়তে থাকে গরু উৎপাদন। এখন বাংলাদেশকে গরু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
গরু উৎপাদন বাড়লেও কেন গোশতের দাম কমছে না বরং বাড়ছে?
এর কারণ-
১. পশুখাদ্যের দাম অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি : ৩-৪ বছরে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। ২০১৯ সালের পর থেকে ব্যাপকহারে বাড়তে থাকে গো-খাদ্যের দাম। কোন কারণ ছাড়াই কিছুদিন অন্তর দাম বাড়ে। খাদ্যের বাড়তি দাম মেটাতে না পেরে অনেক খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউ কেউ খামার বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ খামারে একদিনের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করে ওই দিনের গরুর খাবার এবং শ্রমিকের বেতন দেয়া যায় না।
২. ঋণ সুবিধার অপ্রতুলতা ও সুদের হার বৃদ্ধি : গত ১ বৎসরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৩ দফা পরিবর্তন করে সুদের হার নির্ধারণ করে ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১০ শতাংশ করে।
৩.সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব
৪. প্রতি ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজী।
৫. গ্রামাঞ্চলে পশু চিকিৎসার অপ্রতুলতা। এ কারণে ব্যক্তি পর্যায়ে সাধারণ খামারীদের পশু অসুস্থ হলে সু-চিকিৎসার অভাবে অনেক সময় মারা যায়। এতে পূজি হারানোর ভয় থেকে সাধারণ খামারীরা পশু পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ কারণে গ্রামাঞ্চলে ব্যক্তি পর্যায়ে খামারীর সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়াও গরুর গোশতের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
এখন কেউ যদি মনে করেন তরমুজের ন্যায় বয়কট আন্দোলন করলে গরুর গোশতের দামও পড়ে যাবে তাহলে একে বোকার স্বর্গে বসবাস করে। কেননা তরমুজ ও গরুর গোশত এক নয়।
তরমুজ বয়কটের ডাক দিলে হয়ত ব্যবসায়ীরা ক্ষতির ভয়ে দাম সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসতে পারে কেননা তরমুজ পচনশীল। কিন্তু আপনি যদি গরু গোশত বয়কটের ডাক দেন, গরু জবাই কমে যাবে। আর জীবিত গরু তো তরমুজের মত তাৎক্ষনিক পচনশীল না। এতে গরুর খাবার খরচ হয়ত বাড়বে। কিন্তু কৃষক বা খামারী যদি দেখে গরু বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না, ক্ষতি হচ্ছে, তখন তারা গরু লালন-পালন বন্ধ করে দিবে, ফলে গরু সংকট আরো বাড়বে এবং গরুর দাম আরো বেড়ে যাবে।
-মুহম্মদ সাজ্জাদ ইহসান, চট্টগ্রাম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












