ঘরে প্রবেশ করা সংক্রান্ত জরুরী মাসয়ালা (৩)
, ০২ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৬ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত গৃহবাসীদেরকে সালাম না দাও এবং অনুমতি না পাও । এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা স্মরণ রাখ। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
উপরোক্ত আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমভাবে সকলকেই যে কোন কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে ঘরওয়ালাদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটাও মূলতঃ ‘হিজাব বা পর্দার’ একটি অংশ। অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা সংক্রান্ত উল্লিখিত আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ফায়সালাসমূহ এখানে উল্লেখ করা হলো।
ঘর ওয়ালার বিনা অনুমতিতে তার ঘরে প্রবেশ করা হারাম হওয়া সংক্রান্ত :
যে তোমার ঘরের সদস্য নয় তার জন্য (বিনা অনুমতিতে তোমার) ঘরে প্রবেশ করা হারাম। استئناس শব্দের অর্থই হচ্ছে استئذان তথা অনুমতি গ্রহণ। হযরত ইবনু ওহ্হাব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, استئناس শব্দের অর্থ হচ্ছে استئذان তথা অনুমতি প্রার্থনা, আল্লাহ্ পাক অধিক জ্ঞাত। অনুরূপভাবে হযরত উবাই, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস এবং হযরত সাইদ ইবনু জুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের ক্বিরায়াত
حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا
অর্থাৎ যতক্ষণ না অনুমতি নিবে এবং ঘরের অধিবাসীদেরকে সালাম দিবে। ” কেউ বলেছেন, تستانسوا অর্থঃ تستعلموا ‘তোমরা জানাবে’ অর্থাৎ ঘরের অধিবাসীকে আগমনের সংবাদ জানাবে। হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, গলাখাকড়ানোর মাধ্যমে জানাবে। ....... আমি বলিঃ সুনানে ‘ইবনু মাজাহ্’তে আছে। ....... হযরত আবূ আইউব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন; আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আয়াতে উল্লিখিত সালামের বিষয়টি আমরা বুঝি। কিন্তু استئناس বলতে কি বুঝায়? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এর অর্থ হলো “ঘরের বাইরে থেকে লোকেরা কথা বলার মাধ্যমে এবং তাছবীহ, তাকবীর, হামদ ও গলা খাকড়ানোর মাধ্যমে ঘরের অধিবাসীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করবে।
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পর্দার ফতওয়া বিভাগ থেকে সংকলিত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












