চেতনাজীবি জাফর ইকবালের রাজাকারনামা (২)
এডমিন, ২৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩১ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বিশেষ প্রতিবেদন

গত ১০ মে, ২০১৮ খৃ. তারিখে এই জাফর ইকবাল নিজেই একটি আর্টিকেলে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের পলায়নপর ভূমিকা নিজের অজান্তেই লিখে ফেলে। যদিও পরবর্তিতে সে লেখাটি নিজের টাইমলাইন থেকে মুছে দিয়েছে। লেখাটির শুরুতে জাফর নিজের বিষয়ে লিখেছে, “আমি শেষবার এই কথাটি শুনেছিলাম ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে। তাড়া খাওয়া পশুর মতো দেশের নানা জায়গা ঘুরে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে আশ্রয় নিয়েছি। ”
তার এই স্বীকারোক্তি থেকে প্রশ্ন আসে, ঐ সময় তো জাফর টগবগে যুবক (সার্টিফিকেট বয়স ১৯), তাহলে সে মুক্তিযুদ্ধ করলো না কেন? কেন সে জীবন বাঁচানোর জন্য পশুর মত পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো, কেন মানুষের মত মুক্তিযুদ্ধ করলো না?
জাফর ইকবাল এবং তার ভাই হূমায়ন দু’জনেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, ১৯৭১ সালে সে এবং তার ভাই তাদের এলাকার একটি রাজাকারদের পরিচালিত মাদরাসায় ভর্তি হতে গিয়েছিলো। উদ্দেশ্য ছিলো ঐ সময় যদি তারা ‘রাজাকার’ সেজে থাকে, তবে তাদের জীবনটা বাঁচবে। (সূত্র: আলী ইমাম মজুমদার লিখিত ২৭ নভেম্বর ২০১৩ খৃ. প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকার একটি আর্টিকেল)