জনমানবহীন অ্যান্টার্কটিকার বরফ রাজ্যে নামল বিমান
এডমিন, ০৫ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পাঁচ মিশালী

এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিকার নির্জন বরফ রাজ্যে অবস্থিত ট্রোল এয়ারফিল্ডে বিশাল আকৃতির বিমানের চাকার দাগ পড়ে। নীল বরফের এ রানওয়েটি লম্বায় মাত্র ৯ হাজার ৮৪০ ফুট। আর প্রস্থে ১০০ ফুট। এটি তুষার এবং বরফের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকায় অবতরণ করা বিমানটির একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, খুব নিচু হয়ে বিমানটি নেমে আসছে। ওই সময় চারপাশে সূর্যের আলো জ্বলজ্বল করছিল।
তবে অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়া এ বিমানটিতে কোনো সাধারণ যাত্রী ছিলো না। এটি মূলত নরওয়ের পোলার ইনস্টিটিউপেটর ৪৫ জন বিজ্ঞানী ও কর্মীকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে বিমানটি অ্যান্টার্কটিকায় নিয়ে যায় ১২টন যন্ত্রাংশ। নরওয়ের পোলার ইনস্টিটিউট বিমানটি ভাড়া করে।
অ্যান্টার্টিকায় অবতরণ করা বিমানটির যাত্রা খুব সহজ ছিল না। এটি গত ১৪ নভেম্বর প্রথম নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর যাত্রাবিরতি দেয় কেপটাউনে। সেখান থেকে বিমানটি আরও দক্ষিণ দিকে গিয়ে গত বুধবার রাতে অ্যান্টার্কটিকায় রেকর্ডগড়া অবতরণটি করে।
কার্গো রাখার পর্যাপ্ত জায়গা থাকার বিষয়টি এ বিমানকে অ্যান্টার্কটিকায় পাঠানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটির জ্বালানির কার্যকারিতাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। বিমানটি কেপটাউন থেকে অ্যান্টার্কটিকায় গিয়ে আবার কেপটাউনে ফিরে আসে। ওই সময় বিমানটিতে পুনরায় জ্বালানি সরবরাহের প্রয়োজন পড়েনি।