মন্তব্য কলাম
জানুয়ারিতে পানগাঁও বিদেশির হাতে। পানগাঁও বন্দরের দায়িত্বে বিদেশি প্রতিষ্ঠান, চুক্তি নিয়ে কঠিন সংক্ষুব্ধ প্রশ্ন। পানগাঁও বন্দরে বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী। অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পানগাঁও বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
, ০৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০১ ছামিন, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ পৌষ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
আওয়ামী লীগের মতোই গোপনে বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে ।
বিদেশিদের হাতে পানগাঁও বন্দর, সারাদেশে ক্ষোভের অনল।
বিদেশিদের কাছে বন্দর ইজারা দেওয়ার মানে দেশের বন্দরকে নিরাপত্তাহীন করে ফেলা।
দেশকে আরও বৈষম্যের দিকে ঠেলা দেওয়া।
সরকারকে লুটেরা শ্রেণি ঘিরে রেখেছে।
একটি দেশীয় মাফিয়া চক্র বিদেশিদের হাতে বন্দরগুলো তুলে দিচ্ছে।
এটা দেশদ্রোহিতা ছাড়া আর কিছু নয়।
তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
সংক্ষুব্ধমহল এমন প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করছেন
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও গোপনে দেশের বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে দেশের প্রধান আমদানি রফতানির ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ পণ্য ঢাকাগামী। যা ঢাকা নারায়ণগঞ্জের আশপাশের এলাকায় বেশি অংশ চলে আসে। এই পণ্যের অধিকাংশই সড়ক ও রেল পথের মধ্যে আনা নেয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ কন্টেইনার আসে রেলপথের মাধ্যমে। বাকি কন্টেইনারগুলো সড়কপথে পরিবহন করতে হয়। ফলে অনেক সময় দিনের পর দিন চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আটকে থাকে। সড়ক পথে হালকা ও ভারি যানবাহনের কারণে বছরের অধিকাংশ সময়ে তীব্র যানযট ও দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। ব্রিজ ও কালভার্টগুলো অপ্রশস্ত ও ভারি যানবাহন চলাচলে অনেকটাই অনুপযুক্ত। তাছাড়া কখনও কখনও এই পথে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। কন্টেইনারগুলো মাত্র ৩ দিনেই চট্টগ্রামে আসলেও রেলযোগে ঢাকা পরিবহনে ২০ থেকে ২৫ দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। যার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনার অংশ হয়ে যায়। এছাড়া রেল ও সড়ক পথে পণ্য পরিবহন বেশ ব্যয়বহুল। বিশ্বে নৌপথে পণ্য পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। তাই ঢাকা চট্টগ্রাম নৌপথে প্রয়োজনীয় অকাঠামোগত উন্নয়ন ও যথোপযুক্ত নৌযানের ব্যবস্থা করা গেলে স্বল্প সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পরিবহন সম্ভব। এই বিবেচনাকে পুঁজি করে নদীভিত্তিক অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রয়োজন পড়ে। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে বিগত ১০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ বেড়ে যায়।
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথের ওপর চাপ, বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেয়ার ব্যয় ও যানজট কমাতে ১৯৯৩ সালে ঢাকার পানগাঁওয়ে নদী বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সময়েই প্রায় ৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
বুড়িগঙ্গার তীরে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পানগাঁও অভ্যন্তরীন কন্টেইনার টার্মিনাল। চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় এতদিন পরিচালনা করা হলেও এখন তা যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির হাতে। তবে বন্দর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য দায়িত্ব পেতে যাওয়া কোম্পানিটি নিয়ে উঠেছে নানা বিতর্ক। অভিযোগ রয়েছে, দেশীয় কোম্পানিগুলোকে সুযোগ না দিয়ে মেডলগ এসএ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তাড়াহুড়ো করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানগাঁও বন্দর ২২ বছরের জন্য মেডলগ এসএ নামের যে প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে তা নিতান্তই রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতি। দেশের অভ্যন্তরে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা দক্ষতার সঙ্গে এই বন্দরের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার কাজ করতে পারে। কিন্তু তাদের বঞ্চিত করে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই বিদেশিদের কাছে বন্দরের দায়িত্ব দিচ্ছে নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। আর এর নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের নিজস্ব স্বার্থও জড়িত বলে জানিয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর পানগাঁও বন্দর দিয়ে ২০২৩ সালে ২৯ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। এর পর থেকে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমতে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে সরকার। এতে সংশ্লিষ্টদের ধারনা হয়, একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সরকার টার্মিনাল পরিচালনার নীতি গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
দেশীয় একাধিক সংগঠনের অভিযোগ, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অসচ্ছতা থাকায় দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠানই দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তারা সেটি পাননি। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলাকালে যেখানে একটি বিদেশী কোম্পানি এবং দুটি বাংলাদেশি কোম্পানি টেন্ডার এ অংশগ্রহণ করেছিল। সে সময় টেন্ডার চুড়ান্ত হবার আগেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় উপদেষ্টা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খোলাখুলি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে একটি টেন্ডার চলাকালীন সময়ে যেখানে তিনটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে সেখানে তারা জানালেন যে একটি বিদেশী কোম্পানিকে পানগাঁও টার্মিনালের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর আরো অভিযোগ করে জানায়, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বানের বিষয়টি শুধুমাত্র ‘আই ওয়াশ’। এখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতরা আগেই ঠিক করে রেখেছেন যে বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেয়া হবে। তাছাড়া বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যে বিদেশি কোম্পানিটির নাম প্রচার করা হয়েছে মেডিটার্নিয়ান শিপিং কোম্পানি বাস্তবে ওই সেটি অংশগ্রহণ করেনি। ওই কোম্পানির একটি শাখা মেডলগ এসএ টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। যারা একেবারেই নতুন। তাদের কেবলমাত্র দু একটি নদীবন্দর রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৬ই নভেম্বর টেন্ডারের টেকনিক্যাল ইভালুয়েশনের দিনক্ষণ নিধারিত ছিল। সেখানে তাড়াহুড়ো করে অপর কোম্পানিকে বাদ দেয়া হয়। কেবলমাত্র মেডলগ এসএকে রেসপনসিভ করে টেকনিক্যাল ইভালুয়েশন প্রতিবেদন সম্পন্ন করা হয়। আবার তাড়াহুড়ো করে ৯ই নভেম্বর টেন্ডারের ফিন্যান্সিয়াল ইভালিউশনের দিন ধার্য করা হয়। এই দুই কার্যদিবসে দুটি ইভালুয়েশন কমিটিই খুব তাড়াহুড়ো করে বিদেশি ওই কোম্পনিকে যোগ্য বলে বিবেচিত করে। একই সঙ্গে ১৭ই নভেম্বর পানগাঁও বন্দরের দায়িত্ব মেডলগ এসএকে দিয়ে চূড়ান্ত করার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, পানগাঁও বন্দর রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেন্ডারে অংশ নিয়েছিল এইচআর লাইন নামের একটি কোম্পানি। যার মালিকানা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর। কিন্তু কোম্পাটির এই দরপত্রে অংশ নেয়া ছিল আনুষ্ঠানিকতা। কারণ পানগাঁও বন্দরের দায়িত্ব পেতে যাওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেডলগ এসএ এর মূল মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেডিটেরিয়ান শিপিং এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হচ্ছে সাবের হোসেন চৌধুরীরই অন্য একটি প্রতিষ্ঠান গবফরঃবৎৎধহবধহ ঝযরঢ়ঢ়রহম ঈড়সঢ়ধহু ইধহমষধফবংয খঃফ।
নৌবন্দরগুলো থেকে বিদেশি আগ্রাসন দূর করতে এর আগে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে নানা সভা সমাবেশ ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি সরকারের।
ঢাকার অদূরে পানগাঁও বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট বা গোপনীয়তা বজায় রাখার বিষয়টি যুক্ত থাকায় এ নিয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্প এবং পানগাঁও বন্দর ব্যবস্থাপনা চুক্তি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রহস্যজনক তাড়াহুড়ো করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত চৌঠা নভেম্বর এপিএম টার্মিনালস কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিলের পর দুই সপ্তাহ না যেতেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। যেখানে এই ধরনের চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রস্তাব মূল্যায়ন, দরকষাকষি, সরকারের অনুমোদনসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হয়।
পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হচ্ছে গত ছয়ই নভেম্বর পানগাঁও টার্মিনালের কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার দেড় সপ্তাহের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে কেন তাড়াহুড়ো করে চুক্তিগুলো করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলেছেন বন্দর ব্যবহারকারি ও বন্দর বিষয়ে অভিজ্ঞরা।
পর্যবেক্ষকমহল বলছেন, জনস্বার্থের একটি চুক্তি নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট বা গোপনীয়তার শর্তে সরকার কেন রাজি হলো।
চুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটিই অগ্রহণযোগ্য। যেভাবে এই সরকার তাড়াহুড়ো করছে, জোরজবরদস্তি করছে, এর জন্য পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে, সরকার থেকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে, এগুলো থেকে বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য জাতীয় স্বার্থ নয়।
জিবুতি এবং শ্রীলঙ্কায় বিদেশি কোম্পানির বন্দর ব্যবস্থাপনার খারাপ অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে বলতে হয়, "ওই দেশগুলোও এমন চুক্তি করে পরবর্তীতে নানা জটিলতায় পড়েছে, যার খেসারত দিতে হয়েছে দেশের নাগরিকদের"।
ভবিষ্যতে এই চুক্তি নিয়ে যদি কোনো সমস্য তৈরি হয় তার দায় কে নেবে এমন প্রশ্নও খুব জোরদার।
উল্লেখ্য, গোপনীয়ভাবে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এ ধরনের বন্দর হস্তান্তরের উদ্যোগ দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক সংকেত।
বন্দর শুধু ব্যবসার জায়গা নয়; এগুলো দেশের কৌশলগত সম্পদ। তাই এগুলো নিয়ে গোপনে আলোচনা বা তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া জাতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশের বন্দর পরিচালনার মতো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দেশেরই আছে। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কোনোভাবেই বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না।
অবিলম্বে গোপন সমঝোতা ও অস্বচ্ছ চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে ইরান বলেন- জাতীয় সম্পদ নিয়ে গোপন সমঝোতা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দর দেশেরই সম্পদ; তাই এগুলো অবশ্যই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে হবে।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার বদলে এসব চুক্তির মাধ্যমে তা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে একের পর এক গোপন চুক্তি করেছিল, বর্তমান সরকারও একইভাবে গোপন চুক্তির মাধ্যমে দেশের বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ এগুলো নয়। তাদের কাজ হলো দ্রুত একটা সাধারণ নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেওয়া। কিন্তু সেটি না করে একের পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
দেশের বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এই চুক্তি হলে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। সব জিনিসপত্রের ওপর শুল্ক বসবে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভূরাজনীতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের অংশ বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সম্পদের ওপর বড় আঘাত।
বিদেশিদের কাছে বন্দর ইজারা দেওয়ার মানে দেশের বন্দরকে নিরাপত্তাহীন করে ফেলা। দেশকে আরও বৈষম্যের দিকে ঠেলা দেওয়া।
সরকারকে লুটেরা শ্রেণি ঘিরে রেখেছে। একটি দেশিয় মাফিয়া চক্র বিদেশিদের হাতে বন্দরগুলো তুলে দিচ্ছে। এটা দেশদ্রোহিতা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গ্যাস জালানীখাতে জালেমশাহী তথা দুর্নীতির মা- হাসিনা সরকারের মতই আমদানীর ব্যাপকতায় ভাসছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার করছে আরো বেশী দুর্নীতি।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বছরে অর্থনৈতিক অপচয় ৩০ হাজার কোটি টাকা, রোগাক্রান্ত হচ্ছে যুবসমাজ, ধানী জমিতে চাষ হচ্ছে তামাক। অন্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধের আলোকেই সরকারকে তামাক নিয়ন্ত্রন সক্রিয় ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বর্ষা মওসুমে ডুবিয়ে মারার জন্য ফারাক্কার গেটগুলো খুলে দিলো। আর এখন শীত বা শুকনো মওসুমে পদ্মার সব গেট বন্ধ করে শুকিয়ে মারার ষড়যন্ত্র করছে ভারত। শীত বা শুষ্ক মৌসুমে পদ্মায় এখন ধু-ধু বালুচর মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে তীব্র জনমত ও জাতীয় ঐক্য তৈরী করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তুরস্ক বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রতিরক্ষা পণ্য উৎপাদনকারী দেশ। তুরস্কের সামরিক বাহিনী বেশ আধুনিক, ফলে দেশটি থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া এবং সমরাস্ত্র কেনা---দু'দিক থেকেই লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধান করে তার সদ্ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে তুরস্কের প্রযুক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থার উন্নতি ঘটতে পারে।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রায় ৩ কোটি নাগরিকের বসবাসের কারণে ঢাকা শহর এখন সূর্যালোকের তীব্র অভাব ঢাকাবাসীর ভিটামিন ডির চরম অভাব ভিটামিন ডির অভাবে চলছে নীরব মহামারি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিক সুস্থভাবে বাঁচতে ঢাকায় বিকেন্দ্রীকরণ জরুরী
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছাত্র জনতার সরকার দাবী করে- আপনাদের বহুল উচ্চারিত সংস্কারের জন্য আপনারা গুটি কতক রাজনৈতিক দলগুলোর উপরই আবদ্ধ আছেন কেন?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর। দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে সোনার বাংলাদেশকে আসলেই সোনায় মুড়ে দেয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ!
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












