মন্তব্য কলাম
প্রায় ৩ কোটি নাগরিকের বসবাসের কারণে ঢাকা শহর এখন সূর্যালোকের তীব্র অভাব ঢাকাবাসীর ভিটামিন ডির চরম অভাব ভিটামিন ডির অভাবে চলছে নীরব মহামারি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিক সুস্থভাবে বাঁচতে ঢাকায় বিকেন্দ্রীকরণ জরুরী
পাশাপাশি ভিটামিন ডির অভাব এখন জাতীয় সমস্যা বিবেচনায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণও একান্ত দরকার
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৪ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
মা চিকিৎসক। কোলের শিশুটির বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মা বুঝতে পারছিলো, শিশুটির পা দুটি স্বাভাবিক না, সামান্য বাঁকা। বয়স তখন ১৮ মাস। শিশুকে নিয়ে যান রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে। রক্ত পরীক্ষায় জানা গেল, শিশুটি ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছে।
শিশুটির চিকিৎসা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে। শিশুটিকে নিয়মিত ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এখন শিশুটির বয়স ২২ মাস। ২৮ মে শিশুটির মা বলেন, শিশুটির পা ঠিক হয়ে গেছে। ওর শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতিও নেই।
শিশুটির চিকিৎসায় যুক্ত ছিলো বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক তিনি বলেন, ‘পা বাঁকা হয় রিকেট হলে। রিকেট হয় ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে। এই হাসপাতালে বহু শিশু আসে ভিটামিন ডির স্বল্পতা নিয়ে।
ভিটামিন ডির ঘাটতি আছে বয়স্কদেরও। কিন্তু অনেকে জানে না, বোঝে না। মধ্যবয়স্ক একজন রোগী শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলো। শরীরে ব্যথা অনুভব করে। শরীর দুর্বল। একসময় মেপে দেখে ওজন ১১ কেজি কমেছে। একসময় দেখে পেশি দুর্বল হয়েছে। আয়নায় একদিন দেখে বাহুর চামড়া ঝুলে পড়েছে।
ওই রোগী রাজধানীর সাধারণ হাসপাতাল থেকে নামীদামি একাধিক হাসপাতালের মেডিসিন, অস্থি ও অস্থিসন্ধিবিশেষজ্ঞসহ বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসককে দেখায়। অবস্থার উন্নতি হয়নি। একজন চিকিৎসক মতামত দিয়েছিলো, ওই রোগীর দ্রুত বার্ধক্য (আর্লি এজিং) শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি সিঙ্গাপুর যান। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করে। গত ২১ ডিসেম্বর ওই রোগী বলে, ‘ঢাকায় কোনো চিকিৎসক আমাকে একবারও ভিটামিন ডি পরীক্ষার কথা বলেনি। অথবা তাদের সন্দেহ হয়নি যে আমি ভিটামিন ডি-স্বল্পতায় ভুগছি।
কিন্তু সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা প্রাথমিক কথাবার্তার পর ভিটামিন ডির স্বল্পতার বিষয়টি অনুধাবন করেছিলো। পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে আমি তীব্র ভিটামিন ডির ঘাটতিতে ভুগছি। আমার শুধু ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণের চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
ওই রোগী এখন পুরোপুরি সুস্থ। একাধিক গবেষণাতেও দেখা গেছে, এ দেশের বয়স্কদের বড় অংশ ভিটামিন ডির ঘাটতিতে ভুগছে।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে অত্যন্ত উদ্বেগের চিত্র-দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ এখন ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতিতে ভুগছে। অর্থাৎ প্রতি ৩ জনে ২ জন মানুষের শরীরে এই অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিনের স্বল্পতা রয়েছে। আধুনিক নগর জীবন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং অসচেতনতা এই সংকটকে আরো ঘনীভূত করছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ‘ডি’র এই ঘাটতি এখন আর কেবল ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, এটি একটি জাতীয় স্বাস্থ্য সমস্যায় রূপ নিয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের মানুষের মধ্যে এই সমস্যা বেশি প্রকট। শহরে বসবাসরত মানুষের প্রায় ৭১ শতাংশই ভিটামিন ‘ডি’র স্বল্পতায় ভুগছে। জীবনযাত্রার ধরন, বহুতল ভবনে বসবাস এবং ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটানোই শহরের মানুষের এই পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ।
আরো আশঙ্কাজনক বিষয় হলো শিশুদের অবস্থা। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ শিশু কোনো না কোনোভাবে ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে ভুগছে। শূন্য থেকে এক বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে ৩১.৯ শতাংশের শরীরে ভিটামিনের মাত্রা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক (২০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটারের নিচে)। ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই ঘাটতির হার প্রায় ৪৬.৮ শতাংশ।
দেশের প্রজননক্ষম অর্থাৎ ১৫-৪৯ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ নারী ভিটামিন ডি এবং ৪৪ শতাংশ শিশু (৬-৫৯ মাস বয়সী) ভিটামিন-এ ঘাটটিতে ভুগছে।
ভিটামিন ডি কি?
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিউট্রিয়েন্ট, যা হাড়, দাঁত এবং পেশীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণে সহায়তা করে, যা হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া, শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতার জন্যও ভিটামিন ডি প্রয়োজন:
ক্স পেশী সঞ্চালন: শরীরের পেশীগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
ক্স স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা: মস্তিষ্ক ও শরীরের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদানে সাহায্য করে।
ক্স ইমিউন সিস্টেম: ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে সহায়তা করে।
প্রতিদিন কত পরিমাণ ভিটামিন ডি প্রয়োজন?
প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বয়সের ওপর নির্ভর করে। নীচে বয়সভিত্তিক দৈনিক গ্রহণের সুপারিশকৃত পরিমাণ (জবপড়সসবহফবফ উরবঃধৎু অষষড়ধিহপব - জউঅ) দেওয়া হলো:
বয়সের গ্রুপ সুপারিশকৃত পরিমাণ (সপম) আন্তর্জাতিক ইউনিট (ওট)
জন্ম - ১২ মাস ১০ সপম ৪০০ ওট
১ - ১৩ বছর ১৫ সপম ৬০০ ওট
১৪ - ১৮ বছর ১৫ সপম ৬০০ ওট
১৯ - ৭০ বছর ১৫ সপম ৬০০ ওট
৭১+ বছর ২০ সপম ৮০০ ওট
গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্যও সুপারিশকৃত মাত্রা ৬০০ ওট। ঋউঅ-এর মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ২০ সপম বা ৮০০ ওট ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির প্রভাব
ভিটামিন ডি-এর অভাব হাড় দুর্বলতা (অস্টিওপোরোসিস) এবং শিশুদের রিকেটস রোগের কারণ হতে পারে।
হাড় ও পেশির সমস্যা
ভিটামিন ডি-এর অন্যতম প্রধান কাজ হলো হাড়ের শক্তি ও পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখা। এর ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে
ক্স হাড়ের ব্যথা বা কোমরের ব্যথা - শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ কমে গেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে কোমর, পিঠ, বা হাঁটুর মতো জায়গায় ব্যথা অনুভূত হয়।
ক্স পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা - পেশির সংকোচন এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতি হলে পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা অনুভূত হয়।
ক্স দাঁতের ক্ষয় - ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ কমে যাওয়ার ফলে দাঁতের এনামেল দুর্বল হয়ে যেতে পারে, ফলে দাঁতের ক্ষয় বা দাঁতের সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে।
ক্স সহজেই হাড় ভেঙে যাওয়া - দীর্ঘমেয়াদী ঘাটতি অস্টিওপোরোসিস (হাড় ক্ষয় রোগ) সৃষ্টি করতে পারে, যা হাড়কে ভঙ্গুর করে তোলে এবং সামান্য আঘাতেও ভেঙে যেতে পারে।
শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয় এবং সারাদিন অলসতা অনুভূত হয়।
ক্স সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করা - পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে ক্লান্তি ও অবসাদ বেড়ে যায়, যা দিনের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে।
ক্স অলসতা বা দুর্বলতা - শরীরে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ না হলে পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে সারাক্ষণ অলসতা ও দুর্বলতা অনুভূত হয়।
ক্স কাজের প্রতি অনাগ্রহ - শক্তির অভাবের কারণে কাজ করার মনোযোগ ও আগ্রহ কমে যেতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে
ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া
ভিটামিন ডি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর ঘাটতি হলে-
ক্স সহজেই সর্দি-কাশি বা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়া - ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, ফলে সহজেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া যায়।
ক্স ক্ষত সারতে দেরি হওয়া - ভিটামিন ডি নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। এর ঘাটতি হলে শরীরের ক্ষত সারতে সময় বেশি লাগে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
ভিটামিন ডি শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্স বিষণœতা বা হতাশা - গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বিষণœতার কারণ হতে পারে। এটি সেরোটোনিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে, যা মস্তিষ্কের সুখানুভূতির সাথে জড়িত।
ক্স ঘুমের সমস্যা - ভিটামিন ডি মেলাটোনিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ঘুমের চক্র বজায় রাখে। এর ঘাটতি থাকলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ক্স মনোযোগের ঘাটতি - ব্রেন ফাংশন ঠিকমতো কাজ করতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ঘাটতি হলে মেমোরি দুর্বল হয়ে যেতে পারে, মনোযোগ কমে যেতে পারে, এবং শেখার দক্ষতা হ্রাস পেতে পারে।
কিভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি আছে কিনা?
ভিটামিন ডি-এর পর্যাপ্ততা নির্ণয় করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো রক্ত পরীক্ষা। এতে ২৫-হাইড্রক্সিভিটামিন ডি (২৫-যুফৎড়ীুারঃধসরহ উ) মাত্রা পরিমাপ করা হয়।
ভিটামিন ডি উৎস সমূহ
১. সূর্যেরআলো ভিটামিন ডি পাওয়ার প্রধান উৎস
ক্স শরীর সূর্যের টঠ রশ্মি শোষণ করলে স্বাভাবিকভাবেই ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
ক্স প্রতিদিন ৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকা যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি উৎপাদনে সহায়তা করে।
ক্স তবে অতিরিক্ত সূর্যালোক গ্রহণ ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সতর্কতা: অতিরিক্ত সূর্যালোক ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই রোদে বেশি সময় কাটানোর ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। সানস্ক্রিন ঝচঋ ১৫ বা এর বেশি ব্যবহার করা হলে ভিটামিন ডি উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে।
২. ভিটামিন ডি-এর প্রধান খাদ্য উৎস
খুব কম খাবার প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি সরবরাহ করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফোর্টিফাইড (পুষ্টি সমৃদ্ধ) খাবারই ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস।
প্রাকৃতিক উৎস
ক্স ফ্যাটি মাছ (স্যালমন, ট্রাউট, টুনা, ম্যাকারেল)
ক্স মাছের তেল (ফিশ লিভার অয়েল)
ক্স গরুর কলিজা
ক্স ডিমের কুসুম
ক্স পনির
ক্স বিশেষভাবে টঠ আলোতে উন্নত করা মাশরুম
ফোর্টিফাইড (পুষ্টি সমৃদ্ধ) খাদ্য
ক্স দুধ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব দুধ প্রতি কাপ (প্রায় ২৪০ মি.লি.)-এ ৩ সপম (১২০ ওট) ভিটামিন ডি সংযুক্ত থাকে।
ক্স উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধের বিকল্প: সয়া দুধ, বাদাম দুধ, ওট দুধ ইত্যাদিতেও ভিটামিন ডি যুক্ত করা হয়।
ক্স সিরিয়াল, কমলার রস, দই ও মার্জারিন: কিছু ব্র্যান্ডে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি যোগ করা হয়।
দুধ থেকে তৈরি পণ্য, যেমন পনির ও আইসক্রিম, সাধারণত ফোর্টিফাইড থাকে না।
৩. সাপ্লিমেন্ট
ক্স যদি খাবার ও সূর্যালোক থেকে যথেষ্ট ভিটামিন ডি না পাওয়া যায়, তবে সম্পূরক গ্রহণ করা যেতে পারে।
ক্স ভিটামিন ডি ২ (ঊৎমড়পধষপরভবৎড়ষ) এবং ভিটামিন ডি ৩ (ঈযড়ষবপধষপরভবৎড়ষ) পাওয়া যায়।
ক্স গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি ৩ তুলনামূলকভাবে বেশি কার্যকর।
‘ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রবণীয়। একেক দেশে একেক ধরনের খাবারে এই ভিটামিন যোগ করা হয়, যেমন দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে, মার্জারিন, রুটি এসবে। কিন্তু বাংলাদেশে এসব খাবার সবাই খায় না। তবে দেশে ৮৭.৫ শতাংশ পরিবার ভোজ্য তেল ব্যবহার করে, যা বাণিজ্যিকভাবে অল্পসংখ্যক শোধনাগার দ্বারা উত্পাদিত হয়। তাই ভোজ্য তেলে ভিটামিন ডি-যুক্ত করলে এই ভিটামিন-ডির ঘাটতি অনেকটা পূরণ করা সম্ভব।
ভিটামিন-ডি-জনিত এই নীরব মহামারি থেকে মুক্তি পেতে হলে জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আনা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় (বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে) অন্তত ১৫-২০ মিনিট সরাসরি সূরে্যর আলোতে থাকতে। এতে ত্বকের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হবে।
শরীরের চাহিদার প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ ভিটামিন ‘ডি’ আসে সূর্যের আলো থেকে, আর বাকি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আসে খাবার থেকে। যখনই এই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উৎসের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখনই শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ।
কিন্তু সমস্যা হলে ঢাকা শহরে মাত্রাতিরিক্ত লোক। একটির সাথে লাগোয়া আরেকটি বহুতল ভবন। ঘিঞ্জি বস্তি। সে কারণে সূর্যের আলো প্রাপ্তি সংকট। তাই ঢাকাবাসীকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছাত্র জনতার সরকার দাবী করে- আপনাদের বহুল উচ্চারিত সংস্কারের জন্য আপনারা গুটি কতক রাজনৈতিক দলগুলোর উপরই আবদ্ধ আছেন কেন?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর। দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে সোনার বাংলাদেশকে আসলেই সোনায় মুড়ে দেয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ!
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












