ডেঙ্গু হলে কখন হাসপাতালে ভর্তি হবেন
এডমিন, ১৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৩ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ
১। জ্বর (১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে)
২। মাথাব্যথা
৩। বমি ভাব
৪। পেটব্যথা
৫। পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা
৬। চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি
৭। মাথাঘোরা
৮। গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
৯। ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি
ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ
১। প্রচণ্ড পেটব্যথা
২। বমি হওয়া
৩। মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত
৪। ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ
৫। মূত্রের সাথে রক্ত যাওয়া
৫। অতিরিক্ত ক্লান্তি
কখন হাসপাতালে ভর্তি হবেন
১। গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তাই উপসর্গগুলি অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।
২। তীব্র মাত্রায় পেটের ব্যথা, ২৪ ঘণ্টায় তিনবারের বেশি বমি, কিছু খেতে না পারা, দাঁতের গোড়া অথবা নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ, বমি কিংবা মলের সঙ্গে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড দুর্বলতা, খিটখিটে মেজাজ ও অস্থিরতা, অসংলগ্ন কথাবার্তা, জ্বর থেকে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে যাওয়া, রক্তে অনুচক্রিকার পরিমাণ খুব দ্রুত হ্রাস পাওয়া কিংবা রক্তে হেমাটোক্রিট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে অবশ্যই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।
ডেঙ্গুর লক্ষণ তীব্র হলে বাসায় চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। তীব্র ডেঙ্গুতে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, রোগীর অভ্যন্তরীণ অঙ্গ থেকে শুরু হতে পারে রক্তক্ষরণ। দ্রুত রক্তের অণুচক্রিকা (প্লাটিলেট) কমে যেতে পারে। সাধারণ ডেঙ্গুর কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা নেই। কারও ডেঙ্গু হলে করণীয়: পূর্ণ বিশ্রাম; পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান। শরবত, ফলের রস, স্যুপ, ডাবের পানি, স্যালাইন পান; জ্বর বা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল; অ্যাসপিরিন, আইবোপ্রোফেন কিংবা ব্যথা–বেদনানাশক ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না। এগুলো ডেঙ্গুর রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর যদি শরীর আরও বেশি খারাপ হতে থাকে, তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে; রক্ত পরীক্ষা করে অণুচক্রিকার এবং হেমাটোক্রিটের পরিমাণ জেনে নিতে হবে; রক্তের অণুচক্রিকা কমতে থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
কারা বেশী ঝুঁকিতে আছেন
পূর্বে এক বা একাধিকবার ডেঙ্গু হয়ে থাকলে বর্তমান ডেঙ্গু সংক্রমণটি জটিল আকার ধারণ করার আশঙ্কা বেশি। আবার প্রথমবার ডেঙ্গু হলেও রোগী যদি দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে আক্রান্ত হন (উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, হৃদ্রোগ, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ও লিভারের জটিলতা) কিংবা কেমোথেরাপি গ্রহণকারী বা অন্তঃসত্ত্বা নারী হলে হাসপাতালে ভর্তি করানোই উত্তম।