ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য ঝুঁকি অন্যসব প্রকল্প বাদ দিয়ে আগে বাঁচার জন্য বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
দূষণের মধ্যে বায়ু দূষণের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। বায়ু দূষণের কারণে ক্ষণস্থায়ী সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে: নাক-মুখ জ্বালাপোড়া, মাথা ঝিমঝিম ও ব্যাথা করা, বমি বমি ভাব। অন্য দিকে ফুসফুসে ক্যান্সার, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, যক্ষ¥া, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, জন্মগত ত্রুটি, হার্ট অ্যাটাক, চর্মরোগ ইত্যাদিসহ অনেক রোগের মূল কারণ বায়ু দূষণ।
আর ভয়ংকর বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে ঢাকা শহর। সম্প্রতি টানা পাঁচ দিন বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় স্থান করে নেয় বাংলাদেশের রাজধানী।
বায়ুদূষণের প্রভাবে বিশ্বের মানুষের গড় আয়ু কমছে ২ বছর ৪ মাস। আর বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমছে ৬ বছর ৮ মাস। এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৩ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
বছরের সিংহভাগ সময়ই ঢাকার বাতাস দূষিত থাকে। এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বছরে গড়ে ৩১৭ দিন ঢাকার বাতাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্মল বায়ুর মানমাত্রার চেয়েও খারাপ অবস্থায় থাকে। বছরের কোনো কোনো সময়ে বিশেষ করে শীতকালে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান হয় শীর্ষে। দেশে মানুষের অকাল মৃত্যুর বড় একটি কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাংকের করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণের কারণে।
দূষিত বাতাসে অ্যামোনিয়া, নাইট্রিক অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, সিসা, কার্বন, ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড, ওজোন গ্যাসের মতো ক্ষতিকর অতি সূক্ষ¥ পদার্থ থাকে; যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণের মারাত্মক প্রভাবে শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। দূষণের শিকার মানুষ শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগসহ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকি পড়ে। দূষণজনিত রোগ মোকাবিলা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যায়, উৎপাদনশীলতা কমে, কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। শেষ পর্যন্ত যার প্রভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, অর্থনীতির আকার বেড়ে ওঠার সঙ্গে দেশে শিল্পায়ন যেভাবে হচ্ছে, কলকারখানা যে হারে বেড়ে উঠছে, পরিবেশ সচেতনতা কি বাড়ছে তার সমান্তরালে? এটা করা না হলে আমাদের জীবন যে আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থনীতির যে ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য এসব করা হচ্ছে, তাও হবে ক্ষতিগ্রস্ত। কেননা শিল্পকারখানায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর গুরুত্ব কতটুকু, তা আমরা জানি। বায়ু দূষণে এদের একটি অংশ যে রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং তারা কর্মক্ষমতা হারাচ্ছেন স্থায়ীভাবে, সেটিও বিবেচনায় রাখা দরকার। আর মানুষ রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসা বাবদ তার ব্যয় বেড়ে ওঠে। সমাজে রোগাক্রান্ত ও কর্মক্ষমতাহীন মানুষ বৃদ্ধি পেলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতে।
সন্দেহ নেই, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের প্রভাব ঢাকাসহ শিল্পসমৃদ্ধ কয়েকটি জেলায় বেশি। এদেশে পরিচালিত নানা গবেষণায়ও তা উঠে এসেছে অনেক আগে। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, গাড়ির কালো ধোঁয়া, দূষণ রোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারহীনতা ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। সরকার চাইলে উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোয় অগ্রগতি অর্জন কিন্তু কঠিন নয়। গ্রামাঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা স্থাপনে বায়ু দূষণ হচ্ছে সেখানেও। ভাটা স্থাপনে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম অবশ্য রয়েছে। কতটা যাচাই-বাছাই করে এ ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ শোনা যায়। আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে সেখানেও ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বায়ু দূষণের যে চিত্র তুলে ধরেছে, সেটাকে আমাদের সতর্কবার্তা হিসেবেই নেওয়া উচিত। মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন এবং এ লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে, তা কে না জানে। অক্সিজেনহীন একটি মুহূর্ত কি আমরা কল্পনা করতে পারি? কিন্তু এটি যদি দূষিত হয়ে পড়ে এবং এতে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানবস্বাস্থ্য; কষ্টকর হয়ে ওঠে শ্বাস নেওয়া। মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের চেয়ে আর কোনো কিছু বেশি মূল্যবান নয়। বায়ু দূষণের বিষয়ে দেশীয় গবেষকদের সতর্কতা সত্ত্বেও সরকারের মধ্যে যে নির্লিপ্ততা আমরা দেখেছি সংশ্লিষ্টরা এবার তা থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে আশা করি।
পাশাপাশি সমস্যার বিষয় হচ্ছে, কেবল অভ্যন্তরীণ কারণে বায়দুষণ ঘটে না। গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকার দূষিত বায়ুর ৩০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একই এয়ারশেডে অবস্থিত। যে কারণে বায়ুদূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত কার্যক্রম বাড়ানো দরকার বলে আমরা মনে করি।
সঙ্গতকারণেই আমরা আশা করব, এ অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো দ্রুত সমন্বিত ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালালে কার্যকর ও টেকসই সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












