সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে-
তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ, তৃতীয় লিঙ্গ ও হিজড়া! (৪)
, ০৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০২ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
কথিত ট্রান্সজেন্ডার বা লিঙ্গ পরিবর্তন নামক বিভ্রান্তিকার মতবাদ এর অসংখ্য অশ্লীল, অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও শরীয়ত বিরোধী খারাপ দিক বা বিষয় রয়েছে। যেমন:
১. জঘন্য অপরাধ সমকামিতাকে প্রমোট করা।
২. নারীরা জেলখানায়, হোস্টেলে, টয়লেটে সম্ভ্রমহরণের ঝুঁকিতে পড়বে। তথা অবাধ ব্যভিচারকে প্রসার করা হবে। কারণ ট্রান্স মতবাদ একবার কোথাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে এই ফিতনা যে প্রকোপ আকার ধারণ করবে সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ তখন নারীর রূপ ধারণ করা পুরুষরা নারীদের বেডরুম, টয়লেট ইত্যাদি সব জায়গায় অবাধে ঢুকে যাবে। বিদেশের জেলখানায় এমন ট্রান্স পুরুষ কর্তৃক নারীবন্দী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ও সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সুতরাং জেলখানাতেই যদি এমন হয়, বেডরুম আর টয়লেটে যে নারীরা সুরক্ষিত থাকবেন না, সেটা বলারই অপেক্ষা রাখেনা।
৩. এসব অপসংস্কৃতির মূল উদ্দেশ্য হলো, পশ্চিমা কুফরী রীতিনীতি চালু করে মানুষের মাঝে দ্বীনি মূল্যবোধ ধ্বংস করা এবং পবিত্র কুরআন শরীফ- সুন্নাহ শরীফ উনার বিধানকে অবজ্ঞা করা। (নাউযুবিল্লাহ)
৪। উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে তৈরি হবে মারাত্মক সামাজিক বিশৃঙ্খলা।
৫। মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা ও নতুন নতুন রোগ তৈরি হবে।
৬। অসুস্থতা ও বিকৃত কালচার সমাজে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়বে।
৭। কথিত ট্রান্সজেন্ডারবাদ বাস্তবতাকে অস্বীকার করে: একজন পুরুষকে নারী হিসেবে মেনে নিতে বলা কিংবা একজন নারীকে পুরুষ হিসেবে মেনে নিতে বলার অর্থ হলো বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে বলা। বিভ্রান্তি ও বিকৃতির স্বীকৃতি দেওয়া।
উল্লিখিত সবগুলোই একটা সমাজব্যবস্থাকে, একটা দেশ একটি জাতিকে গোড়া থেকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। একজন সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ কখনোই এটা মানতে পারবে না যে, একজন পুরুষ তার অঙ্গহানী করে নারী দাবি করবে বা অঙ্গহানী ছাড়াই মনে মনে নারী দাবি করে বসবে। এটা যেমন ইসলামী শরয়ী হুকুমের খেলাফ, তেমনি দুনিয়ার স্বাভাবিক রীতিনীতি ও সভ্যতারও বিপরীত। যে কোনো দেশের সভ্য ও শিক্ষিত মানুষদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে, নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, ৯৯.৯৯% মানুষ এই মতবাদকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। কারণ, এই দাবির পুরোটাই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অকার্যকর এবং ভুয়া ।
-হাফিযুল হাদীছ আল্লামা মুহম্মদ ফযলুল হক্ব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












