তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৯)
, ২৯ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ইয়ামানের কথিত কাবা যুল খালাছা মন্দির ধ্বংস করার নির্দেশ মুবারক:
১ম দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ جَرِيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَا تُرِيْحُنِىْ مِنْ ذِى الْخَلَصَةِ وَكَانَ بَيْتًا فِيْهِ خَثْعَمُ يُسَمّٰى كَعْبَةَ الْيَمَانِيَةَ فَانْطَلَقْتُ فِىْ خَمْسِيْنَ وَمِائَةٍ مِّنْ اَحْمَسَ وَكَانُوْا اَصْحَابَ خَيْلٍ فَاَخْبَرْتُ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنِّىْ لَا اَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ فَضَرَبَ فِىْ صَدْرِىْ حَتّٰى رَاَيْتُ اَثَرَ اَصَابِعِهٖ فِىْ صَدْرِىْ فَقَالَ اَللّٰهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَّهْدِيًّا فَانْطَلَقَ اِلَيْهَا فَكَسَرَهَا وَحَرَّقَهَا
“হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি কি ‘যুল খালাছাহ্’ মন্দিরটি ধ্বংস করে আমাকে সান্ত¡না মুবারক দিবেন না? এই ঘরটি খাস‘আম গোত্রের একটি মন্দির। যাকে ইয়ামানের কা’বা বলা হতো। এরপর আমি ‘আহ্মাস’ গোত্রের দেড় শত লোক নিয়ে রওয়ানা দিলাম। উনারা সবাই অত্যন্ত দক্ষ ঘোড়সাওয়ারী ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আমি আরযী পেশ করলাম যে, আমি ঘোড়ার উপর স্থির থাকতে পারি না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার বুক মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) দ্বারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তার্বারুক মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্পর্শ মুবারক) করলেন। এমনকি আমি আমার বুক মুবারক-এ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শক্ব মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আঙ্গুল মুবারক) উনার ছাপ দেখতে পেলাম এবং তিনি আমার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দো‘আ মুবারক করলেন, ‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! দয়া করে আপনি উনাকে ঘোড়ার পিঠে স্থির রাখুন এবং উনাকে পথপ্রদর্শক ও সুপথপ্রাপ্ত করুন। ’ (বর্ণনাকারী বলেন,) অতঃপর হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সেখানে গিয়ে ঐ মন্দিরিটি ভেঙ্গে ফেললেন এবং আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে দিলেন। ” সুবহানাল্লাহ! বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ৬/৩৯৭, মুসনাদে আহমাদ ৩১/৫২৫, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৭/৩৭০ ইত্যাদি
২য় দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
فَاَرْسَلَ اِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَشِّرُهٗ فَقَالَ رَسُوْلُ جَرِيرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِىْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا جِئْتُكَ حَتّٰى تَرَكْتُهَا كَاَنَّهَا جَمَلٌ اَجْرَبُ
“এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সুসংবাদ পেশ করার জন্য বার্তা বাহক প্রেরণ করলেন। হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বার্তা বাহক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সুসংবাদ পেশ করে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ মুবারক করেছেন, ঐ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আসিনি, যতক্ষণ না আমি সেই মন্দিরটি আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে কালো উটের ন্যায় করে দিয়েছি। (অর্থাৎ সেই মন্দিরটি আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে)। ” সুবহানাল্লাহ! বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ৬/৩৯৭, মুসনাদে আহমাদ ৩১/৫২৫, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৭/৩৭০ ইত্যাদি
৩য় দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
فَبَارَكَ عَلٰى خَيْلِ اَحْمَسَ وَرِجَالِهَا خَمْسَ مَرَّاتٍ
অর্থ: “তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘আহ্মাস’ গোত্রের ঘোড়া এবং ঘোড়সাওয়ারী উনাদের জন্য পাঁচবার বরকতের দো‘আ মুবারক করলেন। ” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ৬/৩৯৭, মুসনাদে আহমাদ ৩১/৫২৫, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৭/৩৭০ ইত্যাদি)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












