স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা:
তিনি অসহায়ের সহায়, আশ্রয়হীনার আশ্রয়দানকারিণী মমতাময়ী মা
, ০১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২১ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
এমনকি বিদায়ের সময় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে ধরে অনেক অশ্রু মুবারক প্রবাহিত করেন। কোনো আপন মা-ও নিজ সন্তানকে বিদায় দেয়ার সময় এভাবে কাঁদে না যেভাবে আমাকে বিদায় দেয়ার সময় আম্মাজী অশ্রু মুবারক প্রবাহিত করেছেন।
বিয়ের পর মেয়েদের বাবার বাড়িতে ফিরানী নেয়া হয়। যেহেতু আমার বাবার বাড়ির কেউ এই বিয়েতে রাজী ছিলো না, তাই আমাকে ফিরানী নেয়ার মতো কেউ ছিলো না। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে কষ্ট পেতে দেননি। তিনি নিজেই নিজ মেয়ের মতো করে আমাকে ফিরানী করেছেন। আমার শ্বশুর বাড়ির মানুষদের নিজ মেয়ের শ্বশুড় বাড়ির মানুষের মতো আপ্যায়ন করেছেন। আমার বিয়ের পর যখন কোনো বেবী হচ্ছিলো না, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি স্বয়ং আমাকে তেল, পানি, কালোজিরা ব্যবহারের নির্দেশনা মুবারক দেন।
আমার বড় ভাই আমাকে এখানে (দরবার শরীফে) এ কারণেই বিয়ে দিতে চায়নি যে, তার ইচ্ছা ছিলো দুনিয়াদার কোনো মালানার কাছে বিয়ে দেয়ার। কিন্তু আমি বাহিরে যেতে চাইনি, আমি হক্ব পথে থাকতে চেয়েছি কিন্তু পরিস্থিতি আমার অনুকূলে ছিলো না বিধায় আমাকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছিলো। অসহায় হয়ে গিয়েছিলাম। ঠিক সেই মুহুর্তে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমার সহায় হয়ে সমস্ত দুঃখ, কষ্ট এমনভাবে ভুলিয়ে দিলেন যে, আমার এখনো প্রতি মুহুর্তে মনে পড়ে। আমি যখন থেকে পবিত্র দরবার শরীফে এসেছি, তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার পুরো জীবনটাই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মমতায়, ইহসানে ভরপুর। এজন্যই একজন কবির ভাষায় বলি,
“মায়ের আদর কি তা বুঝিনি আমি,
মমতাময়ী মা উনাকে পাওয়ার আগে,
তিনি যে হন মোর প্রাণেরই আক্বা,
সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করি উনাকে। ”
মূলত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি অসহায়ের সহায়, আশ্রয়হীনার আশ্রয়দানকারিণী মমতাময়ী মা। তিনি সবসময়ই আমাদের মতো সন্তানদেরকে মমতায় জড়িয়ে রাখেন। তিনি কখনোই কাউকে আশাহত করেন না।
-আহমাদ খাদিজা
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












