দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের বিচার বিভাগের সংস্কার আইন বাতিল

, ২০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) তাজা খবর

আল ইহসান ডেস্ক:

সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে সীমিত করে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলে যে আইন পাশ হয়েছিল সেটিকে বাতিল করা হয়েছে।

দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের হাইকোর্ট গত সোমবার দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আধা-সাংবিধানিক মৌলিক এই আইনটি বাতিল করেছে।

বিতর্কিত এই আইন নিয়ে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের আদালত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে ১৫ বিচারকের আটজন আইনটিকে বাতিল করার পক্ষে রায় দেন এবং বহাল রাখার দাবি জানান বাকি সাতজন।

রায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আদালত সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক এসথার হায়াতের পূর্ববর্তী রায়গুলোতে দেয়া যুক্তিটিকে আইনি নজির হিসাবে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করেছে।

এই রায়ের মাধ্যমে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের তথাকথিত গণতন্ত্রের প্রকৃতি নিয়ে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে একটি বছরব্যাপী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে।

দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের কোনো সংবিধান না থাকায় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিতে কোনো আইন বৈষম্যমূলক মনে হলে সেটি বাতিল করা সম্ভব।

এদিকে চলতি বছরের শুরুতেই বিচার বিভাগের সংস্কারের পরিকল্পনার ইস্যুতে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের জনগণ সপ্তাহব্যপী বিক্ষোভ করেছিল। পরে এ আইনটি পাশের পর বিক্ষোভের মাত্রা আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ দেশটির নানা শহরে রাস্তা অবরোধ করে।

পার্লামেন্টে বিলটি পাসের সময়ও ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছিলো দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলি বিক্ষুব্ধ জনতা। বাইরে ফুটপাত অবরোধকারীরা ড্রাম, হুইসেল এবং এয়ার হর্ন বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

বিক্ষোভকারীরা এ সময় বিচারিক সংস্কার আনা নতুন আইনটি বাতিলের দাবি জানান। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি করে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানায়, পরবর্তী সংস্কারের জন্য সে আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত নেসেটের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবে। সূত্র: দ্যা টাইমস অফ ইসরাইল

ট্যাগসমূহঃ