দুনিয়াবী জ্ঞান নেয়া এবং দ্বীনি জ্ঞান নেয়ার পদ্ধতি একই (১)
, ২৮ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
যারা এ ধরনের কথা বলেন, আমার ধারণা তারা দ্বীন সম্পর্কে যেমন জানে না, তেমনি দুনিয়া সম্পর্কেও তারা বেখবর। একজন হক্কানী পীর সাহেবের দরবার শরীফ থেকে জ্ঞান নেয়ার যে পদ্ধতি, দুনিয়াবী ক্ষেত্রেও কেউ কোন বিষয়ে সঠিক ও বাস্তবমুখী জ্ঞান আহরন করতে গেলেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।
যেমন, কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে গবেষণামূলক পড়ালেখা করতে চান। অথবা কেউ যদি পেশাগত জীবনে বাস্তবমুখী জ্ঞান লাভ করতে চান, তবে অবশ্যই তাকে একজন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক বা অভিজ্ঞ ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হতে হয়। সেই অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে থেকে শিখতে হয়। তার সাথে আলাদা সময় দিয়ে, উঠা-বসা করে সেই জ্ঞান অর্জন করতে হয়। সাথে থেকে সোহবত ইখতিয়ার করে যে জ্ঞান পাওয়া যায়, তা অন্য কোনভাবে পাওয়া যায় না।
বিষয়টি উদাহরণ বললে বুঝতে সহজ হবে। যেমন ধরুন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ করে কেউ বাস্তবজীবনে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি কিংবা সাংবাদিক হতে চান। এক্ষেত্রে প্রথমে ঐ ব্যক্তিকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার, বিশেষজ্ঞ আইনবিদ, বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকের সরণাপন্ন হতে হবে। অতঃপর সেই বিশেষজ্ঞের যদি কোন চেম্বার থাকে সেই চেম্বারের সদস্য হতে হবে। অতঃপর সেই চেম্বারের সদস্য হয়ে ঐ বিশেষজ্ঞের কাছে হাতে কলমে বিষয়টি শিখতে হবে।
এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, জুনিয়র ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ করে এসেছেন, তারপরও সিনিয়র বিশেষজ্ঞের সাথে থেকে এমন কিছু জ্ঞান ও দক্ষতা পায়, যা সে এত বছর বই পাঠ করে পায়নি। দেখা যায় সিনিয়রের থেকে প্রাপ্ত সামান্য জ্ঞান জুনিয়রকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যায়। সিনিয়রের দেয়া একটা ছোট বুদ্ধি জুনিয়রের পেশাগত জীবন পাল্টে দেয়, কিন্তু সেই বুদ্ধিটা কিন্তু কোন বইপত্রে লেখা থাকে না। সিনিয়রের ভেতর থাকা সেই গোপন জ্ঞান ও দক্ষতা পাওয়ার জন্য জুনিয়ররা ঝাঁপিয়ে পড়ে। নানান কাজের মাধ্যমে সিনিয়রের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য একটাই সিনিয়রের কাছে এমন কিছু জ্ঞান আছে, সেই জ্ঞানের সামান্য যদি জুনিয়রকে দেয়, তবে পেশাগত জীবনে জুনিয়রের ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। এতে বড় ডাক্তারের সাথে থেকে জুনিয়রও বড় ডাক্তার হয়ে যায়। বড় উকিলের সাথে থেকে জুনিয়রও বড় উকিল হয়ে যায়, বড় ইঞ্জিনিয়ারের সাথে জুনিয়রও বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যায়, বড় সাংবাদিকের সাথে থেকে জুনিয়রও বড় সাংবাদিক হয়ে যায়। এটা সিনিয়র থেকে পাওয়া জুনিয়রের জ্ঞান। এই জ্ঞান বইপত্রে পাওয়া যায় না, এই জ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিলি হয় না। এই জ্ঞান সিনিয়রের সাথে থেকে, তার মন যুগিয়ে, তাকে খুশি করে পেতে হয়। অনেক সময় সিনিয়র খুশি হয়ে গেলে, তার পুরো জ্ঞান, দক্ষতা পুরোটাই জুনিয়রকে দিয়ে যায়। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায় জুনিয়রের।
-মুহম্মদ গোলাম সামদানী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












