দেবে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন!
এডমিন, ০৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) তাজা খবর
পরিকল্পিত উন্নয়ন আর ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে ওঠা স্থাপনা গিলে খাচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে। স্বচ্ছ পানি ও চারপাশজুড়ে প্রবাল পাথরবেষ্টিত নারিকেল জিঞ্জিরায় অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের যাতায়াত, তাদের অসচেতনতা, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ ও পরিবেশ দূষণের কারণে সেখানকার প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেন্টমার্টিনে যেকোনো ধরণের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে গড়ে উঠছে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এসব অব্যবস্থাপনার কারণে দ্বীপটির পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে দ্বীপের শৈবাল-প্রবাল, ঝিনুক, শামুক, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়াসহ নানা ধরণের পানিয় প্রাণী।’
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) বলছে, সেন্টমার্টিনে অপরিকল্পিত স্থাপনা বন্ধে সরকারিভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনো অব্যবস্থাপনামূলক স্থাপনা যেন দ্বীপে না হতে পারে সে ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গেজেটও তৈরি করা হয়েছে।
কউক চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘গবেষণা করে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে যথেষ্ট অপরিকল্পিত স্থাপনা তৈরি হয়েছে। যার কারণে দ্বীপটি আস্তে আস্তে মাটির নিচে দেবে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কোনো স্থাপনা করতে না দেওয়ার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও কউকের সমন্বয়ে আমরা একটি গেজেট বের করেছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য সেন্টমার্টিনে কোনো ধরনের স্থাপনা করবে না। সেন্টমার্টিনের জন্য আমরা একটা মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করেছি। ইকো সিস্টেমে সেখানে কীভাবে স্থাপনা করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করছি এবং কীভাবে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দ্বীপকে সাজানো যায় তা নিয়েও আমরা পরিকল্পনা করছি।'