পর্দা করা ফরযে আইন:
দেহের পর্দাতো নেই, মন ও চোখের পর্দাও উঠে গেছে
, ০৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
![দেহের পর্দাতো নেই, মন ও চোখের পর্দাও উঠে গেছে](https://www.al-ihsan.net/uploads/1708131504_1.jpg)
যেহেতু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এমন এক বাস্তব জীবন আদর্শ যাতে কোন কিছু বাদ দিয়ে নিজ খেয়াল খুশীর অনুসরণ করলে, তা ভাল মন্দের সংঘাতে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত সমাজে তার মন্দ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে নিজের সভ্যতাকে লুণ্ঠন করে পাশ্চাত্যের নগ্ন সভ্যতাকে সাদরে গ্রহণ করে। নাঊযুবিল্লাহ!
আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে অন্যায়ের ঘাঁটি তৈরী হয়েছে। পাশ্চাত্যরা তাদের স্বার্থের আবর্জনাগুলো মুসলিম বিশ্বে পাচার করছে টিভি ও ভিডিও এর মাধ্যমে। শুনলে কষ্ট লাগে যে, মুসলিম ঘরগুলো ছিল একদিন ইলিম অর্জনের পাঠাগার, যারা এককালে রাত জাগরণ করত ইবাদত বন্দেগী করে, আজ তাদের ঘরগুলো মিনি সিনেমা হলে পরিণত হয়েছে। বাপ-মা, ভাই-বোন, শাশুড়ী-জামাই, পুত্রবধু শশুর একত্রে বসে অশ্লীল ফিল্ম দেখতে লজ্জাবোধ করছে না, এর চেয়ে অধঃপতন আর কি হতে পারে?
দেহের পর্দাতো নেই, মন ও চোখের পর্দাও উঠে গেছে। ফলে রক্ত ও পবিত্রতার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ কারণেই আজ আর মুসলিম নারীদের গর্ভে ওলী-আওলিয়া, আলেম ও ন্যায়পরায়ণ শাসক জন্ম নেয় না। বরং মস্তান, ঘুষখোর, সুদখোর, খুনী, দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারীরা জন্ম নিচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
এটা কেন হচ্ছে? এগুলো অবশ্যই তলিয়ে দেখতে হবে।
আমরাতো এমন ছিলাম না। আমরা ছোট বেলা দেখেছি, মুসলমানদের ঘর ছিল মসজিদের মত পবিত্র। ঘরের শিশুরা মক্তবে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ, নামায ও ইসলামী আদব শিক্ষা নিতো। আজ এগুলো নেই কেন?
একমাত্র কারণ হলো, মায়ের শিক্ষা শিশুদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। সাধারণ জ্ঞান হওয়ার পরই শিশুরা মক্তব ছেড়ে মিনি সিনেমা হলের সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং বালেগ হওয়ার আগেই তাদের মধ্যে অবৈধ ও অপরাধজনক প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রতিটি ঘরে এ সিনেমা হল তৈরী ও এর ফলে শিশুদের চরিত্র নষ্টের জন্যে একমাত্র দায়ী পিতা-মাতারাই। এটা ধ্রুব সত্য যে, মহিলারা পর্দার সাথে থাকলে পুরুষরা এত চরিত্রহীন হতো না।
আজ স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বাসের বন্ধন, পিতা-পুত্রের স্নেহের বন্ধন সবই নষ্ট হয়ে গেছে। রক্তের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এ যে এক ভয়ঙ্কর শাস্তি তাতে কোন সন্দেহ নেই। মায়া-মহব্বত আর বিশ্বাসের মর্যাদা যদি হিংসায় পরিণত হয়, রক্তের পবিত্র সম্পর্ক যদি হারাম সম্পর্কে পরিণত হয়, তবে মানবের সাথে হিংস্র জন্তুর কোন পার্থক্য থাকে না।
সুতরাং এ ভয়াবহ অবস্থা থেকে নিজেদের ঘর, নিজেদের ছেলে-মেয়ে, নিজেদের সমাজ- তথা পুরো জাতিটাকে রক্ষা করার মত একমাত্র পক্ষ একটিই, তা হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আদর্শ মুবারক সঠিকভাবে অনুসরণ করে চলা। আমরা মুসলমান এটাই আমাদের সত্যিকারের পরিচয়। এ পরিচয় শুধু বস্তু জগতে নয়, বরং কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং তারপরেও।
মোটকথা, মহিলাদের জন্যে পর্দা করা নামায, যাকাত, হজ্জ, রোযা ইত্যাদি ফরয ইবাদত সমূহের ন্যায় ফরযে আইন বা একান্ত অপরিহার্য কর্তব্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ অনুমতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করা এবং কারো ঘরে উঁকি দেয়া
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহিলাদের সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা (১৬)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (৭)
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুওয়াল: যার জাররা পরিমাণ ঈমান আছে সেও একদিন জান্নাতে যাবে। ইহা পবিত্র হাদীছ শরীফ কি-না? যদি পবিত্র হাদীছ শরীফ হয় তাহলে জাররা পরিমাণ বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সুওয়াল: মৃত ব্যক্তির লাশের কাছে কান্নাকাটি করা, দোয়া-কালাম পড়া, কথাবার্তা বলা হয়। এগুলো মৃত ব্যক্তি শুনতে পায় কি না? বুঝতে পারে কি না?
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাইয়ূছ জান্নাতে প্রবেশ করবে না
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র আশুরা সম্পর্কিত সুওয়াল জাওয়াব
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র আশুরা সম্পর্কিত সুওয়াল জাওয়াব
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে (৪)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাসপাতালে নারীর নিরাপত্তা এবং শরয়ী পর্দাভিত্তিক আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)