আপনাদের মতামত
দ্বীন ইসলামবিরোধী চক্রান্ত কথিত ইন্টারফেইথ বা আন্তঃধর্মীয় সভা সম্পর্কে
, ০৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৩ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০২ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
ইদানিং আন্তঃধর্মীয় সভার কথা খুব বেশি শুনা যাচ্ছে। সকল ধর্মের লোকদের নিয়ে এই সভা করা হয়। বাংলাদেশে কিছুদিন পুর্বে যখন পোপ এসেছিলো তখন সেও এই আয়োজন করে। মূলত এর মাধ্যমে মুসলমান উনাদের ঈমানী চেতনাকে বিলুপ্ত করাই মুল লক্ষ্য। যদিও এখন শুনা যাচ্ছে, কিন্তু এর ইতিহাস বহু পুরনো।
১২৫ বছর পুর্বে তথাকথিত কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমেরিকায় এক মেলার আয়োজন হয়েছিল। এই মেলায় অনেক রকম প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব ছিল ধর্মমহাসভা। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম ধর্মমহাসভা এই প্রথম। প্রধান প্রধান ধর্মগুলো এক মঞ্চে মিলিত হয়েছিল তাদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান করতে। ধর্মমহাসভা প্রস্তুতির জন্য উদ্যোক্তাদের দশ হাজার চিঠি এবং চল্লিশ হাজার অন্যান্য নথিপত্র বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠাতে হয়েছিল।
মহাসভার উদ্যোক্তা জন হেনরি ব্যারোজের মতে, প্রায় ৩০ মাস ধরে পৃথিবীর প্রায় সব রেল ও নৌপথ ধর্মমহাসভার জন্য কাজ করেছে। যেসব ধর্মের প্রতিনিধিরা ধর্মমহাসভায় যোগ দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিল খ্রিস্টানধর্ম ছাড়াও আরো আটটি ধর্ম যেমন দ্বীন ইসলাম, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, কনফুসীয় ধর্ম, শিন্টোধর্ম প্রভৃতি। মহাসভা হয়েছিল শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটে। অধিবেশনগুলোর দুটি ভাগ ছিল, মূল শাখা ও বিজ্ঞান শাখা।
উদ্যোক্তারা ধর্মমহাসভার উদ্দেশ্য হিসেবে দশটি বিষয় ঘোষণা করেছিলে। তার মধ্যে প্রধান ছিল-
১. প্রধান প্রধান ঐতিহাসিক ধর্মের প্রতিনিধিদের একই সভায় একত্রিত করা, পৃথিবীর ইতিহাসে সে ঘটনা হবে প্রথম।
২. বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে কী কী সাধারণ সত্য রয়েছে, দেখানো।
৩. প্রতিটি ধর্ম এবং খ্রিস্টান চার্চের বিভিন্ন শাখা যে সত্যগুলো তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে মনে করে, সেগুলো নির্দিষ্ট করে দেখানো।
৪. বিভিন্ন ধর্ম পরস্পরকে কিভাবে আলোকিত করেছে বা করতে পারে, আলোচনা করা।
৫. শিক্ষা, দারিদ্র্য প্রভৃতি ব্যবহারিক সমস্যাগুলোর সমাধানের ক্ষেত্রে ধর্ম কোনো আলোকপাত করতে পারে কিনা, দেখা।
৬. বিভিন্ন দেশ ও জাতিগুলোকে অধিকতর সৌহার্দ্য সূত্রে বাঁধা, যাতে পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তির পথ সুগম হয়।
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর ধর্মমহাসভা শুরু হলো। সকাল ঠিক ১০টার সময় দশটি ধর্মের উদ্দেশ্যে দশটি ঘণ্টাধ্বনি হলো।
ইতিহাস প্রমান করছে, কাফির মুশরিকদের উদ্দেশ্য হলো দ্বীন ইসলাম উনাকে হেয় করা, মুসলমান উনারা যেন কাফিরদের সম্পর্কে ভালো ধারনা করে সে কুধারনা দেওয়া এবং মুসলমান উনাদের ঈমানী চেতনা নষ্ট করা। মুলত আন্তঃধর্মীয় সভা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্পূর্ণ খিলাপ। কারণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম-ই মহান আল্লাহ পাক উনার কতৃক মনোনীত দ্বীন, অন্য সব বাতিল।
-মুহম্মদ আসাদুল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












