নাফরমানরা কি জানে- শেষ পরিণতি কত ভয়াবহ?
এডমিন, ২৫ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত

যারা বেপর্দা- বেহায়পনাকে পেশা- নেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে, নারীবাদের নামে মুসলিম নারীদের বেপর্দা করতে উৎসাহিত করছে- সে সকল নাফরমানদের উচিত ভবিষ্যত পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া। তারা তওবা করে ফিরে না আসলে তাদের জন্য আফসোস। যদি তওবা করে ফিরে না আসে তাহলে ওদের কঠিন শাস্তি হবে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক জানিয়ে দিয়েছেন,
وَأَنَّ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
অর্থ: যারা পরকাল বিশ্বাস করে না তাদের জন্য আমি যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (পবিত্র সূরা ইসরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ ۚ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُم بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ
অর্থ: কিয়ামতের দিন কিছু লোকের চেহারা উজ্জ্বল হবে, কিছু লোকের চেহারা কালো হবে। অতঃপর যাদের চেহারা কালো হবে, তাদের বলা হবে তোমরা কি ঈমান আনার পর কুফরি করেছো? অতএব, কুফরি করার কারণে আযাব ভোগ কর। (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১০৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
وَأَمَّا الَّذِينَ فَسَقُوا فَمَأْوَاهُمُ النَّارُ ۖ كُلَّمَا أَرَادُوا أَن يَخْرُجُوا مِنْهَا أُعِيدُوا فِيهَا وَقِيلَ لَهُمْ ذُوقُوا عَذَابَ النَّارِ الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ
অর্থ: যারা ফাসিক, অবাধ্য, তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম। যখনই তারা জাহান্নাম থেকে বের হবার ইচ্ছা পোষণ করবে, তাদেরকে পুনরায় সেখানে (জাহান্নামে) পাঠিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ কর। যে জাহান্নামকে তোমরা অস্বীকার করতে। (পবিত্র সূরা সিজদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-২০)
কাজেই, তাদের উচিত পরকালের কঠিন শাস্তিকে ভয় করে শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ হতে বিরত থাকা।
-আহমদ আযীমা ফারহা।