পাঠক প্রতিক্রিয়া:
নারীর মৌলিক অধিকার ‘পর্দা পালনের অধিকার’ কেড়ে নেয়া হচ্ছে কেন?
, ০২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
বইটির নাম- দ্য ল রিলেটিং টু পর্দানশীন ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া (সিভিল এন্ড ক্রিমিনাল)
লেখক- জে এন মুখার্জী (অ্যাডভোকেট, কলকাতা হাইকোর্ট) এবং এন এন মুখার্জী।
বইটি ১৯০৬ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
বইটি বলে দেয়, ব্রিটিশরা বিধর্মী হওয়ার পরেও এ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের পর্দা করার অধিকার কেড়ে নেয়নি। অর্থাৎ ব্রিটিশ উপনিবেশকালেও এ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের পর্দা করার অধিকার সংরক্ষিত ছিলো। সিভিল বা ক্রিমিনাল প্রতিটি আইনেই মুসলিম পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করে আলাদা সুযোগ সুবিধা দেয়া ছিলো।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা নিজেদের স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে দাবী করি, কিন্তু স্বাধীনতা বলতে যা বোঝায়, তা কি আমরা লাভ করতে পেরেছি? সরকার কি সংবিধান অনুসারে আমাদের সকলের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে পেরেছে?
বাংলাদেশের জনসংখ্যা হিসেবে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে মুসলিম নারীরা পর্দা করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সাংবিধানিক অধিকারটুকু নারীদের দেয়া হচ্ছে না। দেশের পরিচয়পত্রের জন্য জোর করে ছবি তোলানো হচ্ছে। তবে অনেক পর্দানশীন নারী এখনও মৌলিক অধিকার ব্যতীতই মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এর হিসেবে বলছে, দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হলেও, পুরুষের তুলনায় কম পরিচয়পত্র নিয়েছে বা ভোটার হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ নারী। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ০৭ মে ২০২২, ডেইলি স্টার, জুলাই ২৭, ২০২২)
প্রশ্ন হচ্ছে, যে দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা, চাকুরী, ব্যবসা, লেনদেন, যাতায়াতের মত মৌলিক ও নাগরিক চাহিদা পুরো করা যায় না, সে দেশে ২০ লক্ষ নারী কিভাবে দিনাতিপাত করছে সেই খবর কি রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে আছে? ব্রিটিশরা দখলদার হয়েও যে পর্দানশীন নারীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়নি, কিন্তু আজ স্বাধীন রাষ্ট্র নিজ দেশের ২০ লক্ষ নাগরিকের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।
-উম্মু আমিম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












