নারীস্বাস্থ্য: নারীর শরীর ও মনের যত্নে দিকনির্দেশনা-১
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
আটপৌরে বাঙালী নারী মানেই স্নেহ, মায়া-মুহব্বত। কাছের মানুষ-গুলোর প্রতি যত্ন, আদর আর মায়া। সাংসারিক হাজারটা দায়িত্বের মাধ্যমে সবাইকে আগলে রাখা। তবে সমসাময়িক দিন-গুলোতে আদতে এই ধারণা কিন্তু অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তবে এতোকিছুর পরও, এখনো অনেক নারী-ই নিজেদের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন। ব্যস্ততা থাকবেই। নারী হিসেবে উনাদের দায়িত্বগুলো পালন করে যেতে হবে। এই ব্যাপারে হয়তো কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। কিন্তু পাশাপাশি উনাদেরও নিজেদের যত্নের দিকেও খেয়াল রাখাটা সমান, কখনোবা হয়তো একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবার যত্নের সাথে, যত্ন হোক নিজেরও।
চলুন জেনে নিই, নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একজন নারী নিজের যত্নে কি কি করতে পারেন।
১- খাদ্যাভ্যাস:
শারীরিক, তথা মানসিক সুস্থতার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে রুটিন-মাফিক, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস। বয়সের সাথে সাথে বিভিন্ন হরমোন-জনিত কারণে মেয়েদের একটু মোটা হয়ে যাবার ধাঁচ থাকে। পরবর্তীতে শরীর ভারী হয়ে যাবার জন্য নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা যায়। আর এই শরীর ভারী হয়ে যাবার দুশ্চিন্তা সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকলে সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। অনেকেই এটা কঠিন মনে করলেও পুরো ব্যাপারটিই আসলে অভ্যাসের উপর নির্ভরশীল। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে পুরো ব্যপারটিই হয়ে ওঠে আসলেই সহজ। এছাড়া কি খাবার খাচ্ছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। হাই-প্রোটিন ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে খাদ্য-তালিকায় ভেজিটেবল, ফল-সহ পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন।
কি খাচ্ছেন, সেটির সাথে সমান গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঠিক সময়ে খাচ্ছেন কি না। সকালের ব্যস্ততায় অনেক সময়ই দেখা যায়, অনেক নারীই ঠিক মতো নাস্তা না করেই কাজে করে যাচ্ছেন। আবার হয়তো সময় মতো দুপুরের খাবার খাচ্ছেন না। এটা একেবারেই ঠিক নয়। তাই একটু সচেষ্ট হয়ে রুটিন-মাফিক খাওয়ায়া-দাওয়া করলে নিজের যত্ন অনেকাংশেই নিশ্চিত করা যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যেটা অনেক সময়ই নারীরা খেয়াল করেন না, তা হোলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। এ ব্যাপারেও একটু খেয়াল করলেই সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়।
২- সঠিক বিশ্রাম ও ঘুম:
দায়িত্বের চাপে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে অতিরিক্ত টেনশন। যা প্রভাব ফেলে ঘুমে। কিন্তু পর্যাপ্ত ও শান্তির ঘুম না হলে মানসিক প্রশান্তি আসবে না। শুধু সঠিক ঘুম নয়, প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। সকাল সকাল দিন শুরু করলে সারাদিনে কাজ শেষ করার সময়ও বেশি পাওয়া যায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












