নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১০)
বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার পর কনে দেখা, পূর্বে নয়
, ০৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ إِذَا أَلْقَى اللهُ فِيْ قَلْبِ اِمْرِئٍ خِطْبَةَ امْرَأَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَّنْظُرَ إِلَيْهَا.
অর্থ: আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি। যখন তোমাদের কারো অন্তরে মহান আল্লাহ পাক তিনি বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার অনুপ্রেরণা দান করেন, তখন সে সেই মেয়ের দিকে দৃষ্টি দেয়াতে কোন দোষ নেই।
উল্লেখ্য যে, কনে দেখার বিষয়টি প্রস্তাব আদান-প্রদানের সব শেষ কাজ। দেখে পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের। কাজেই আনুষঙ্গিক কথা-বার্তা, দেখা-শুনা, খবরা-খবর নেয়ার পর যখন পছন্দ হবে তখন সবশেষে বর-কনে দেখার বিষয়টি আসবে। আর পছন্দ হলেই বিবাহের কাজ সুসম্পন্ন হবে। উপরন্তু পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আগে কনে দেখে তারপরে কথা-বার্তা বলা, খবরা-খবর নেয়া ইত্যাদি আনুষঙ্গিক কাজ করা শুদ্ধ নয়।
কেননা কনে দেখার পর কথা-বার্তা বলা, পারিবারিক খোঁজ-খবর নেয়া ইত্যাদি আনুষঙ্গিক কাজগুলোর মধ্যে যদি অমিল পাওয়া যায় আর তার কারণে যদি বিবাহ সুসম্পন্ন না হয় তাহলে একজন পর্দানশীন মেয়ের আত্মসম্মানে আঘাত লাগতে পারে। আর কথা বার্তা বলার পর দেখার প্রসঙ্গ আসলে সে অবস্থা হতে মুক্ত থাকা সহজ ও সম্ভব।
তাছাড়া কিছু কিছু বদ আক্বীদা ও বদ মাযহাবের লোক রয়েছে যারা বিবাহ করবে বলে মেয়েদের বাড়ী বাড়ী দেখে বেড়ায়। কেউ কেউ আবার রাস্তা-ঘাটে, হোটেল-রেস্তোরায়, বাজারে-বন্দরে মেয়েদের দেখে বেড়ায়। নাউযুবিল্লাহ! তারা মনে করে তারা তো বিবাহের উদ্দেশ্যে মেয়েদের দেখছে তাতে দোষ হবে কেন? নাউযুবিল্লাহ! তাদের এসব কাজ-কর্ম, কথা-বার্তা যে শয়তানীমূলক, অজ্ঞতাসূচক, সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ তা তাদের আক্বল সমঝের বাইরে।
স্মর্তব্য যে, যে সকল মেয়ে বা মহিলাদেরকে হোটেল-রেস্তোরায়, হাটে-বাজারে বেপর্দায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সুখের চেয়ে দুঃখই বেশী পাওয়া হয়। পরবর্তী জীবনে চরম মূল্য দিতে হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِيْ خَبُثَ لَا يَـخْرُجُ إِلَّا نَكِدًا
অর্থ: খারাপ থেকে খারাপ ছাড়া অন্য কিছুর আশা করা যায় না। (সূরা আ’রাফ শরীফ: আয়াত শরীফ ৫৮)
কাজেই লজ্জাহীনা, শয়তান প্রকৃতির ও বেপর্দা, বেহায়া মেয়েকে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












