মহিলাদের পাতা
নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১৩)
, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
কোন প্রকার মেয়ে বিবাহ করা সুন্নত।
যে সকল মেয়ে আহাল বা স্বামীর অনুগতা, মুহব্বতকারিণী, অধিক সন্তানদানকারিণী পরহেযগার, আমানদার, সুমিষ্টভাষিনী, অল্পে পরিতুষ্ট, দ্বীনের সাহায্যকারিনী তাদেরকে বিবাহ করা সুন্নত। তাদের দ্বারা বৈবাহিক জীবন বরকতপূর্ণ ও সুখের হয়।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
অর্থ: তোমরা মুহব্বতকারিণী ও অধিক সন্তানদানকারিণী নারীকে বিবাহ করো। কারণ, এতে আমার উম্মতের সংখ্যাধিক্য প্রাধান্য পাবে। (আবু দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ)
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন বান্দা তাক্বওয়া বা পরহেযগারীতার পর নেককার-আহলিয়া (স্ত্রীর) দ্বারা সবচেয়ে বেশি ফায়দা লাভ করতে পারেন। কেননা, নেককার আহলিয়ার খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আহাল যা আদেশ করেন তা পালন করেন। যখন আহাল তার দিকে তাকান তখন তাকে খুশি করেন, ইতমিনান দান করেন। আহাল কসম বা শপথ করলে আহলিয়া তার পূর্ণতা সাধন করেন। আর আহালের অনুপস্থিতিতে আহাল বা স্বামীর মাল সম্পদ ও নিজেকে হিফাযত বা সংরক্ষণ করেন। অর্থাৎ আমানদার। (ইবনে মাজাহ শরীফ)
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-চারটি জিনিস যাকে দান করা হয়েছে তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কল্যাণ বা নিয়ামত দান করা হয়েছে।
১. শোকর গোজার অন্তর
২. মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে রত যবান বা জিহ্বা।
৩. বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণকারী শরীর।
৪. এমন আহলিয়া বা স্ত্রী, যে আপন ইজ্জত-আবরু এবং আহাল বা স্বামীর মাল-সম্পদের ক্ষেত্রে কখনো খিয়ানত করেন না। (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












