নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (৯)
কনে দেখা খাছ সুন্নত মুবারক
, ২৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা করেছেন সেটাকেই খাছ সুন্নত মুবারক বলা হয়। বিবাহের পূর্বে কনে দেখা খাছ সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيْتُكِ فِي الْمَنَامِ مَرَّتَيْنِ، إِذَا رَجُلٌ يَـحْمِلُكِ فِيْ سُرَقَةِ حَرِيْرٍ فَيَقُوْلُ هٰذِهٖ اِمْرَأَتُكَ. فَأَكْشِفُهَا فَإِذَا هِيَ أَنْتِ فَأَقُوْلُ إِنْ يَّكُنْ هٰذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ يُـمْضِهٖ
অর্থ: হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমাকে স্বপ্নযোগে দু’বার আপনাকে দেখানো হয়েছে। এক ব্যক্তি (হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম) অতীব সুন্দর একখানা রেশমী কাপড় দ্বারা আপনাকে ভালোভাবে ঢেকে নিয়ে আমার কাছে হাজির হলেন। আমাকে বললেন, ইনি হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম। আমি আপনার চেহারা মুবারক থেকে কাপড় মুবারকটা একটু সরিয়ে দেখতে পেলাম সেটা আপনিই। তখন বললাম, নিশ্চয়ই ইহা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে। কাজেই, তিনিই তার বাস্তবায়ন করবেন। (বুখারী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِئْتُ لأَهَبَ لَكَ نَفْسِي فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَعَّدَ النَّظَرَ إِلَيْهَا وَصَوَّبَهُ ثُمَّ طَأْطَأَ رَأْسَهٗ
অর্থ: হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, একদিন একজন মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে হাজির হলেন। বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি নিজেকে আপনার কাছে হিবা (বিবাহের উদ্দেশ্যে সমর্পন) করতে এসেছি। এরপর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দিকে তাকালেন। আর অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দৃষ্টি মুবারক দিলেন। আপদমস্তক দেখে নূরুল হুদা (মাথা মুবারক) নিচু করলেন। (বুখারী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ)
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সেই নারীর আবেদনে সম্মতি জ্ঞাপন করলেন না। তখন একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সেই নারীকে দেখলেন। উনার পছন্দ হলো। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ঐ নারীকে বিবাহ করতে চাই। উনার সাথে আমাকে বিবাহ দিয়ে দিন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার যতটুকু মুখস্থ আছে তা শিক্ষা দেয়ার শর্তে বিবাহ দিয়ে দিলেন। (বুখারী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
فَخَطَبْتُ جَارِيَةً فَكُنْتُ أَتَـخَبَّأُ لَـهَا حَتّٰى رَأَيْتُ مِنْهَا مَا دَعَانـِيْ إِلٰى نِكَاحِهَا وَتَزَوُّجِهَا فَتَزَوَّجْتُهَا
অর্থ: আমি জনৈকা কুমারী মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দেই এবং গোপনে তা দেখি, এমনকি উনার চেহারা মুবারকও দেখি যা আমাকে উনার সাথে বিবাহে উৎসাহিত করে। অতঃপর উনাকে আমি বিবাহ করি। (আবূ দাউদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাকে হাকিম)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
২৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
২৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরয। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (১৬)
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত জান্নাতের নিয়ামত সম্পর্কে জানুন, আলোচনা করুন
২০ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আপনার সন্তানকে শিশুকাল থেকেই দ্বীন ইসলাম শিক্ষা দিন
২০ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক আমল করলে, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ৪টি নিয়ামত মুবারক
২০ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)