মন্তব্য কলাম
নিহতদের মধ্যে শুধু আন্দোলনকারীই নয় বরং গণমাধ্যমের হিসেব অনুযায়ী অধিকাংশ সাধারণ মানুষ প্রশ্ন হল- রাষ্ট্র কী এভাবে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করতে পারে? অপরদিকে সচেতন নাগরিক কী এরূপ সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর-লুটপাট করতে পারে? (পর্ব-২)
, ২৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
এদিকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা মন্তব্য করেছেন, নাগরিকের সমস্যা হলে এবং অধিকারের প্রয়োজন হলে, তারা রাষ্ট্রের কাছেই দাবি জানাবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে, নাগরিকের যৌক্তিক দাবি পূরণ করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা। যদি এমন দাবি হয়, যা রাষ্ট্রের পক্ষে পূরণ করার যৌক্তিক কোনো উপায় না থাকে, তখন নাগরিকদের বুঝিয়ে বলা। সভ্য দেশে তাই করা হয়। এর পরিবর্তে দাবি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক হোক রাষ্ট্রযন্ত্র কখনোই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দাবিকারিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে না। হত্যা ও নির্যাতন করে না। দাবি নিয়ে যদি মানুষ আন্দোলন করে এবং তাতে সংঘর্ষ বাঁধে, তা কিভাবে মোকাবেলা করা যায়, রাষ্ট্র পরিচালকদের তা নিয়ে সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পনা থাকতে হয়। বল প্রয়োগ বা দমনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়ার আগে সহনশীল ও মানবিক হতে হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ছাত্রলীগ দিয়ে আক্রমণ করিয়ে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতনের পথ রচনা করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে, দেশের পরিস্থিতি কী হয়েছে, তা সকলেরই জানা। যে দাবি সহজেই রাষ্ট্র পরিচালকরা পূরণ করতে পারত, তা না করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগ করল এবং সরকারের এক ভুলের কারণে আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে অসংখ্য প্রাণ ঝরিয়ে দিয়েছে। এর দায় কি রাষ্ট্র পরিচালকরা এড়াতে পারে? আমাদের দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন কখনোই সহিংসতা এবং প্রাণহানি ছাড়া হয়নি। এতে হয় সরকারের পতন হয়েছে, নতুবা আন্দোলনকারিরা পরাজিত হয়েছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র পরিচালকরা নিপীড়ক হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। অথচ কথিত গণতান্ত্রিক দেশে রাষ্ট্র পরিচালকরা নিপীড়ক হয় না। তারা হয় মানবিক এবং নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা স্বীকারকারি। ব্যর্থতা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে সরে যায়। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না। তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণের আন্দোলন ছিল। এটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার দেখেছে এবং দমনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে। এক্ষেত্রে সরকারের অদূরদর্শিতা এবং শিক্ষার্থীদের পালস্ বুঝতে অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। বলা বাহুল্য, দাবি যখন যৌক্তিক হয়, সরকারও তা মনে করে এবং পূরণে সমস্যা থাকে না, তখন রাষ্ট্র পরিচালকদের কোনো অধিকার নেই, রাষ্ট্র নির্মাণকারিদের হত্যা করার।
রংপুরে কোটা আন্দোলনকারিদের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য। যে অধিকারের প্রতি সাধারণ মানুষসহ পুরো সাধারণ ছাত্র সমাজের সমর্থন ছিল, রাষ্ট্রেরও ছিল এবং তা পূরণের সামর্থ্য তার ছিল।
তাহলে, রাষ্ট্রের পুলিশের কি অধিকার ছিল, নিরস্ত্র সাঈদের বুকে গুলি চালানোর?
কি অধিকার ছিল, অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং তাদের সমর্থকদের গুলি করে হত্যা করে অধিকারের আকাক্সক্ষা নিভিয়ে দেয়া?
রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের নির্মিত রাষ্ট্রের কাছে অধিকার না চেয়ে কি অন্য রাষ্ট্রের কাছে চাইবে?
শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের বিষয়টি তো রাষ্ট্র পরিচালকরা শুরুতেই সহজে পূরণ করে দিতে পারত! তাহলে তো এতো শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণ যেত না।
যে শিক্ষার্থীদের প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো, তারা তো দেশের অমূল্য সম্পদ ও উজ্জ্বল সন্তান ছিল। রাষ্ট্র পরিচালকদের তো দায়িত্ব ছিল, এই সম্পদ রক্ষা করা। তা না করে, তাদের হত্যা করা হলো কেন?
হত্যা করে বলছে, তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। মানবেই যদি, তাহলে আগে কেন মানল না?
সরকার যতই বলুক, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনীতি ঢুকে গেছে, শুরুতে তো তা ছিল না। রাজনীতি যদি ঢুকেও থাকে, তাহলে তার জন্য সরকারই দায়ী। সে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিতে বিলম্ব করার মধ্যেই রাজনীতি ঢুকেছে। এ সুযোগ তো সরকারই করে দিয়েছে। সরকারের তো উচিৎ ছিল, শুরুতেই বিবেচনা করা, কারা আন্দোলন করছে, তাদের দাবি কি?
আগের আন্দোলনগুলোতে কারা প্রতিপক্ষ ছিল, আন্দোলনের কারণ কি ছিল, এখন কারা আন্দোলন করছে, আন্দোলনের কারণ কি?
সব আন্দোলনকেই যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আন্দোলন হিসেবে ধরে নিয়ে হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন করা হয়, তাহলে তো রাষ্ট্র স্বাভাবিক চরিত্র নিয়ে চলছে, তা বলা যায় না।
রাষ্ট্র যদি তার নাগরিকদেরই শত্রুজ্ঞান করে, তাহলে সে রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা বলে কি কিছু থাকে?
সরকারের কেউ কেউ এখন বলছে, সরকার হটানোর জন্য আন্দোলন এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কি সরকার হটানোর আন্দোলন ছিল?
এখন তাদের কথা মতো যদি তা হয়েও থাকে, তার জন্য দায়ী কে? শঙ্কার এ পরিস্থিতি কে সৃষ্টি করল?
সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ তাহলে কী করল?
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করেছে তাদের তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান দিয়ে। এর মাধ্যমেই তারা কর্মসূচি থেকে শুরু করে কোথায় সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে, নির্ধারণ করেছে। প্রয়োজনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছে। কোথায় কোন শিক্ষার্থী আহত-নিহত হয়েছে, তা তুলে ধরেছে। ফলে তাদের আন্দোলন স্তিমিত করতে সরকারকে ইন্টারনেট বন্ধ করতে হয়েছে। সরকার হয়ত মনে করেছে, এতে আন্দোলনকারিদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হবে এবং আন্দোলনে ভাটা পড়বে।
অভিজ্ঞ মহল জানান- এ ধারণা যে ভুল, তা অতীত ইতিহাস বলে। যখন ইন্টারনেট এবং এ যুগের মতো অবাধ তথ্যপ্রবাহ ছিল না, তখন যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, তা বিফল হয়নি। তখন সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে দৃঢ় থেকে তা নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে গেছে এবং সফল হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। তাদের মূল দাবীতে অটল থেকে আন্দোলন করছে এবং তা সাধারণ মানুষ ধারন করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় পক্ষ বা বিরোধীদল যুক্ত হলো কি হলো না, তা খুব বেশি ম্যাটার করে না। যখন কমন বা একদফা ইস্যুতে আন্দোলন হয়, তখন নতুন ইস্যুর প্রয়োজন হয় না। সেই ইস্যুতেই আন্দোলন অব্যাহত থাকে। এটা ব্যাহত করা যায় না। যেমনটি হয়েছে, নব্বইয়ে এরশাদের পতনের একদফা আন্দোলন।
বিশ্লেষকগণ মনে করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সরকার বিরোধীদলের উপর দায় চাপালেও শিক্ষার্থীদের মূল ইস্যু ঠিকই রয়ে গেছে। বিরোধীদলও এ আন্দোলনকে তাদের আন্দোলন, এমন দাবি করেনি। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিকে সমর্থন দিয়েছে। সরকারও তো তাদের দাবিকে যৌক্তিক বলেছে। গত রবিবার সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি পুনর্বহাল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মেধায় নিয়োগে ৯৩ শতাংশ করে, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করে আদালত আদেশ দিয়েছেন। এই রায়েও যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এ রায় কিছুটা ইতিবাচক। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে আইন পাশ করতে হবে। আবার তাদেরই এক অংশ বলেছে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আমাদের কাছে অস্পষ্ট মনে হয়েছে।
অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, সংকট পুরোপুরি কেটে যায়নি।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












