মন্তব্য কলাম
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
, ১৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৯ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
এতে বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা নতুন ব্যবসায়ী বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছেন।
শিল্প খাতে বিনিয়োগের গতি কমছে, নতুন চাকরির সুযোগও কমছে।
অর্থনীতি কাগজে স্থিতিশীল মনে হলেও বাস্তবে তা চরম স্থবির হয়ে পড়ছে।
আইএমএফ ছাড়া আমাদের অনেক বিকল্প আছে।
সেদিকেই ধাবিত হতে হবে তথা খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র আলোকে চলতে হবে ইনশাআল্লাহ।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২০.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮.৮ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০২৫ সালের জুনের শেষে ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছে ৮০.১৯ বিলিয়নে।
দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ রেকর্ড স্পর্শ করেছে। শুধু গত জুন মাসেই আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে। এর ফলে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার ২১৫ কোটি ডলারে।
প্রতি ডলারের মূল্য ১২২ টাকা করে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা- যা ভবিষ্যৎ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়াচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আইএমএফের এ পদক্ষেপ একটি বড় সতর্ক সংকেত। বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব ঋণের শর্তাবলি যেমন উচ্চ সুদহার ও স্বল্প গ্রেস পিরিয়ড, তাতে ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়ছে। ফলে প্রকল্প বাছাই ও বাস্তবায়নে কঠোর মূল্যায়ন এবং সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এমন এক বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে আছে বৈদেশিক ঋণের নির্ভরতা ও বৈশ্বিক অস্থিরতার চাপ। এই বাস্তবতার কেন্দ্রে অবস্থান করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। সংস্থাটি যে সহায়তার নামে কঠিন শর্ত দেয়। আইএমএফের শর্ত মানলে দেশ পিছিয়ে যায়।
আইএমএফ মূলত মনে করে, ভর্তুকি কমাতে হবে, করজাল বাড়াতে হবে, মুদ্রানীতি বাজারভিত্তিক করতে হবে, বিনিময় হার বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে শৃঙ্খলা আনতে হবে। তাদের মতে, এই নীতিগুলো মানলে দেশের অর্থনীতি টেকসই পথে চলবে। আসলে, বিশ্বব্যাপী আইএমএফ একই মডেল অনুসরণ করে-‘আগে হিসাবের ভারসাম্য, পরে মানুষের স্বস্তি’।
এখানেই বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে আইএমএফের তত্ত্বের সংঘর্ষ তৈরি হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর, আমদানিনির্ভর এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসানির্ভর। এখানে ছোট ব্যবসা, কৃষি এবং প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভর করে জীবন চলে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী যখন জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানো হয়, তখন গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যায়। এতে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কৃষকের খরচও বাড়ে। ফলে সবকিছুর দাম বাড়ে, কর্মসংস্থান কমে যায়, ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।
আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে ধীরে ধীরে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, অন্যদিকে আয় বাড়ে না। এতে বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সুদের হার বাজারভিত্তিক করার বিষয়টিও এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে ব্যাংকগুলো একটি নির্দিষ্ট সীমায় ঋণ দিত, ফলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিলেন। এখন সেই সীমা তুলে দেওয়ায় ব্যাংকগুলো ঝুঁকি বিবেচনা করে সুদের হার বাড়াচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা নতুন ব্যবসায়ী বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছেন। শিল্প খাতে বিনিয়োগের গতি কমছে, নতুন চাকরির সুযোগও কমছে। অর্থনীতি কাগজে স্থিতিশীল মনে হলেও বাস্তবে তা চরম স্থবির হয়ে পড়ছে।
আরেকটি বড় বিষয় হলো, আইএমএফের নজর রাজস্ব আদায়ে। তারা চায় বাংলাদেশ কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াক। হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের রাজাওয়ালি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম, প্রায় ৯ শতাংশের মতো। তাই আইএমএফ বলছে করজাল বাড়াতে হবে। কিন্তু যদি তা হয় শুধুই চাপ দিয়ে, তাহলে তা উল্টো ফল দেয়। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ এখনো জটিল, যেখানে কর রিটার্ন দেওয়া অনেকের জন্য কঠিন। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, কর প্রশাসনকে আধুনিক করা জরুরি, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে করদাতাদের সেবা দেওয়ার অবকাঠামো এখনো দুর্বল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধনের নামে নতুন করে জনগণের কাঁধে আরও ৫৫ হাজার কোটি টাকা করের বোঝা চাপাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থ বিভাগের বাজেট শাখা থেকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও এনবিআর নিজ থেকে আরও ৫১ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপেই রাজস্ব আহরণের নতুন এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, গত ১০ নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির সভায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়। এতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর অধিশাখা-১ থেকে উপসচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এনবিআরের পাঠানো এক চিঠিতে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিভাজন প্রস্তুত করে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়। অর্থ বিভাগের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর গত ২০ নভেম্বর ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর বদলে আরও ৫১ হাজার কোটি টাকা বেশি বাড়িয়ে নতুন রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এই বাড়তি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আয়কর ও ভ্যাট অনুবিভাগকে আদায় করতে হবে ৩৭ শতাংশ করে। আর কাস্টম অনুবিভাগ আদায় করবে ২৬ শতাংশ।
নতুন রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অর্থবিভাগের ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘাটতির মধ্যেও সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার নামে বিশাল অঙ্কের বাড়তি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনবিআর। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এনবিআর আদায় করেছে ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এই ঘাটতির মধ্যেই রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর নতুন উদ্যোগ না নিয়েই নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়েছে এনবিআর। যদিও এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা দুবার কমিয়েও ৪২ হাজার কোটি টাকা কম আদায় করেছিল।
এনবিআরের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়, বাজেটে এনবিআরের ওপর বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এবার অর্থ বিভাগ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর নির্দেশনার পর সংস্থাটি কীভাবে আরও ৫১ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করতে পারে! অথচ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে অর্থ বিভাগ।
এ ছাড়া রাজস্ব আহরণ হুট করে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না-এমন প্রশ্নও গুরুতর। জুন মাসে অর্থনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, অর্থনীতির অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে-সেই মূল্যায়নের তো কোনো পরিবর্তন হয়নি যে, চার-পাঁচ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হবে। এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা যে পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, তাতে কোনো নীতির দিক থেকে কোনো ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই ঘাটতি আছে, সেই অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়া হলো, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ভিত্তিতেও এটার কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে আইএমএফের চাপে বাড়ানোর একটি আলোচনা রয়েছে। আর আইএমএফের চাপে করলেও, তারা (আইএমএফ) যখন পরবর্তীতে আসবে, তখন রাজস্ব আহরণ না বাড়লে কোনো জবাব দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া আইএমএফ রাজস্ব বাড়ানোর চাপ দিলেও বিষয়টি নিয়ে সংস্থাটির আলোচনা করা উচিত ছিল। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক বাস্তবতা বোঝানোর প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। এ খাতে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ কাস্টমসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, যা সংশোধন করে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাট আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আর আয়করে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয়কর খাতেও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নতুন রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
প্রশ্ন হলো, আইএমএফ ছাড়া কি আমাদের অনেক বিকল্প নেই? বাস্তবে বিকল্প আছে। প্রথমত, নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রশাসন সহজ করতে হবে আমদানী বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রেমিট্যান্সে স্থায়ী প্রণোদনা দিতে হবে যাতে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হয়। তৃতীয়ত, রপ্তানি খাতকে বৈচিত্র্যময় করতে হবে, যাতে পোশাকের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়া, কৃষিপণ্য ও আইটি খাতে নতুন বাজার তৈরি হয়। চতুর্থত, জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
সর্বপোরি খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র আলোকে চলতে হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












