যিনি খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী রহমত মুবারক উনার জন্য খাছ করেন বা মনোনীত করেন। ”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কায়িম মাক্বাম ও নায়িব হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মতই সর্বাধিক মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা। যা প্রত্যেক সালিকের জন্য ফরয।
, ০৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন আর যে উনার দিকে রুজু হয় উনাকে হিদায়েত দান করেন। ” একইভাবে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “এবং মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন আর যে উনার দিকে রুজু হয় উনাকে হিদায়েত দান করেন। ” এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, খ¦ালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিসবত মুবারক প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ উনারা দু’শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথমত, যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি মনোনীত করেই সৃষ্টি মুবারক করেন। উনারা নিয়ামত মুবারকপ্রাপ্ত হয়েই দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উনাদের বিষয়গুলো প্রকাশ করা হয়। ইলমে তাছাউফ উনার পরিভাষায় উনাদেরকে ‘মাহবূব’ বা ‘মুরাদ’ বলা হয়। দ্বিতীয়ত, যারা নিজস্ব চেষ্টায় রিয়াযত মাশাক্কাত করে, কোশেশ করে করে নিছবত মুবারক হাছিল করেন। নিয়ামত মুবারক লাভ বা মাক্বম হাছিল করার ক্ষেত্রে উনাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ইলমে তাছাউফ উনার পরিভাষায় উনাদেরকে ‘মুহীব’ বা ‘মুরীদ’ বলা হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মাহবূব এবং মুরাদ উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক, বেমেছাল খুছুছিয়ত মুবারক সাধারণ মানুষের চিন্তা, কল্পনা ও উপলব্ধির উর্ধ্বে । নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ! একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়েজ মুবারক হাদিয়া করেছেন উনাদের মধ্যেও সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ! সর্বোপরি হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ বা লখতে জিগার হিসেবে তিনি হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কায়িম-মাক্বাম, নায়িব। তিনি সালিকদের জন্য নিয়ামত, নিসবত ও নৈকট্য নিসবত মুবারক প্রাপ্তির সুমহান উছীলা। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক উনার মাঝেই রয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কাজেই, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কায়িম মাক্বাম ও নায়িব হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মতই সর্বাধিক মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা। যা প্রত্যেক সালিকের জন্য ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকুল মিনআম , ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদরে জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করছেন উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।” যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
রঊফুর রহীম, হারীছুন আলাল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত আরজী পূরণ করেন।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা-মর্তবা মুবারক বর্ণনা করা বা আলোচনা মুবারক করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা। অর্থাৎ উনার প্রতি প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করা এবং পবিত্র সালাম শ
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফা‘য়াতকারী হবো। ” সুবহানাল্লাহ!
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।..
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তুমি এমনভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করো, যেন তুমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে পাচ্ছো। আর যদি তুমি উনাকে দেখতে না পাও, তবে বিশ্বাস রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে দেখছেন। ”
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই। বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)