নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে অবমাননাকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (১)
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন। যার সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রুবূবিয়্যাত মুবারক প্রকাশ করেছেন। যাঁর সম্মানার্থে সমস্ত কায়িনাত এখনো অস্তিত্বে টিকে রয়েছে। কুল মাখলুক্বাত সমস্ত নিয়ামত লাভ করছে। সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা যার উম্মত হওয়ার জন্য আরজী করেছেন। যিনি হচ্ছেন সাইর্য়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্তলা’ আলাল গইব, হায়াতুন নবী, রহমতুল্লিল আলামীন, রঊফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা বিষয় কখনোই বরদাশ্ত করেন না। সেটা হলো উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান মুবারকের খিলাফ করা। সম্মানিত জান্নাত ও জাহান্নাম বানানো হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে। যে বা যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান করবে, উনাকে মুহব্বত করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল হচ্ছে সম্মানিত জান্নাত। আর যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের খিলাফ করবে, উনার শান মুবারকে বেয়াদবী করবে, অবমাননা করবে, উনাকে তা’যীম-তাকরীম করবে না, উনাকে মুহব্বত করবে না; বরং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, তাদের স্থায়ী আবাসস্থল হচ্ছে ভয়াবহ নিকৃষ্ট জাহান্নাম। তারা কখনো ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে সর্বপ্রথম বেয়াদবী করেছে ইবলীস। যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আবুল বাশার হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করার পর সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আদেশ মুবারক করলেন ইবলীসসহ উনাকে সিজদা করার জন্য, তখন সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সিজদা করলেন কিন্তু ইবলীস অহংকার প্রকাশ করে সিজদা করলো না। সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সেখান থেকে বিতাড়িত করে ঘোষণা মুবারক করে দিলেন, ইবলীস তোর উপর অনন্তকালব্যাপী লা’নত।
এখানে বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে, ইবলীস হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে বেয়াদবী করেছে। কিন্তু হাক্বীক্বত হচ্ছে ইবলীস নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বেয়াদবী করেছে। কারণ ঐ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত অজুদ পাক (নূর মুবারক) হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে অবস্থান মুবারক করছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করে থাকেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য ছলাত মুবারক পাঠ করা আবশ্যক করে দিয়েছেন। হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যামানায় একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি চিন্তা করলেন যে, এই ছলাত মুবারক পাঠ না করলে কি হয়? এটা চিন্তা করার সাথে সাথে উনার আকৃতি বিকৃতি হয়ে তিনি যমীনে নিক্ষিপ্ত হলেন। উনার চেহারা বিকট ভয়ংকর আকার ধারণ করলো। তিনি কোনো উপায় না পেয়ে হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আসলেন। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তার এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে আশ্চর্য হলেন এবং তার পরিচয় জানতে চাইলেন। সে বললো, সে একজন ফেরেশতা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বেয়াদবী করার কারণে তার এই করুণ পরিণতি হয়েছে। সে উনার নিকট দোয়া চাইলো, হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছিলা মুবারক দিয়ে দোয়া করলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি শুধুমাত্র উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে ঐ ফেরেশতাকে ক্ষমা করলেন। ঐ ফেরেশতা কিন্তু পবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করা বন্ধ করেননি। শুধু চিন্তা করেছেন ছলাত মুবারক পাঠ না করলে কি হয়? তাতেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে এই শাস্তি দিলেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে যুগে যুগে যারাই বেয়াদবী করেছে তাদেরকেই কঠিন আযাব-গযব ও শাস্তির সম্মুখিন হতে হয়েছে। এই প্রবন্ধে এসব মালউনদের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়েই আলোকপাত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












