নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (২)
, ০১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৩ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৭ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ্ হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ইলিম মুবারক ও সম্মানিত কুদরত মুবারক দ্বারা সর্বত্র হাযির-নাযির। জাত হিসেবে নয়। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে এবং সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং জাত হিসেবে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে হাযির ও নাযির হতে পারেন। সুবহানাল্লাহ!
হাযির-নাযির সংক্রান্ত বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ব্যাখ্যায় হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা উনাদের কিতাব সমূহে এ বিষয়ে বিভিন্ন বর্ণনা মুবারক উল্লেখ করেছেন। যেমন, হযরত আলী নূরুদ্দীন ইবনে বুরহানুদ্দীন হালাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
قُـلْتُ وَاَمَّا كَلَامُنَا وَالَّذِىْ نَـقُوْلُهٗ اِنْ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى اِنَّ الْاَمْرَ كَمَا قَالَهُ الْـجَلَالُ السُّيُـوْطِـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَـيْهِ وَاَخَصُّ مِنْ ذٰلِكَ اَنَّ الَّذِىْ اَرَاهُ اَنَّ جَسَدَهُ الشَّرِيْفَ لَا يـَخْلُوْ مِنْهُ زَمَانٌ وَّلَا مَكَانٌ وَّلَا مَـحَلٌّ وَّلَا اِمْكَانٌ وَّلَا عَرْشٌ وَّلَا لَوْحٌ وَّلَا كُرْسِـىٌّ وَّلَا قَـلَمٌ وَّلَا بَـحْرٌ وَّلَا بَــرٌّ وَّلَا سَهْلٌ وَّلَا وَعْـرٌ وَّلَا بَــرْزَخٌ وَّلَا قَــبْـرٌ كَمَا اَشَرْنَا اِلَـيْهِ اَيْضًا. وَاَنَّهُ امْتَلَاَ الْكَوْنُ الْاَعْلـٰى بِهٖ كَاِمْتِلَاءِ الْكَوْنِ الْاَسْفَلِ بِهٖ وَكَاِمْتِلَاءِ قَــبْـرِهٖ بِهٖ فَـتَجِدُهٗ مُقِيْمًا فِـىْ قَــبْـرِهٖ طَائِفًا حَوْلَ الْـبَــيْتِ قَائِمًاۢ بَـيْـنَ يَـدَىْ رَبِّهٖ لِاَدَاءِ الْـخِدْمَةِ تَامَّ الْاِنْبِسَاطِ بِـاِقَامَتِهٖ فِـىْ دَرَجَةِ الْوَسِيْـلَةِ اَلَا تَـرٰى اَنَّ الرَّائِــيْـنَ لَهٗ يَـقَظَةً اَوْمَنَامًا فِـىْ اَقْصَى الْـمَغْرِبِ يُـوَافِقُوْنَ فِـىْ ذٰلِكَ الرَّائِـــيْـنَ لَهٗ كَذٰلِكَ فِـىْ تِلْكَ السَّاعَةِ بِعَـيْـنِهَا فِـىْ اَقْصَى الْـمَشْرِقِ فَمَتٰـى كَانَ كَذٰلِكَ مَنَامًا كَانَ فِـىْ عَالَـمِ الْـخَـيَالِ وَالْـمِثَالِ وَمَـتٰـى كَانَ يَــقْظَـةً كَانَ بِصِفَتَـىِ الْـجَمَالِ وَالْاِجْلَالِ وَعَلـٰى غَايَـةِ الْكَمَالِ كَمَا قَالَ الْقَائِلُ لَـيْسَ عَلَى اللهِ بـِمُسْتَــنْـكَرٍ. اَنْ يَّـجْمَعَ الْعَالَـمَ فِـىْ وَاحِدٍ
অর্থ: আমি বলি, আমার যে বক্তব্য ইংশাআল্লাহ আমি তা ব্যক্ত করছি- নিশ্চয়ই আমার কথাও হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুরূপ। তবে উনার কথার উপর আমার বিশেষ বক্তব্য এই যে- আমি এটা দেখতে পাচ্ছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) থেকে কোনো সময় ও স্থান, কোনো আশ্রয় ও স্থিতি, সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক ও সম্মানিত লাওহ মুবারক, সম্মানিত কুরসী মুবারক ও সম্মানিত কলম মুবারক, পানি ও স্থল, যমীন ও আসমান, বারযাখ ও কবর কোন কিছুই খালি নেই। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়ের দিকে আমি আগেই ইশারা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনাকে দিয়ে যেরূপ পরিপূর্ণ, নিশ্চয়ই ঠিক একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দিয়ে পরিপূর্ণ আছে সৃষ্টির সর্বোচ্চভাগ ও সর্বনিম্নভাগ। সুবহানাল্লাহ! আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রওযা শরীফ-এ অবস্থানকারীরূপে যেমন পাবেন, অনুরূপ পাবেন সম্মানিত বাইতুল্লাহ শরীফ উনার চারিদিকে তাওয়াফকারীরূপে, তেমনি পাবেন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে ছানা-ছিফত মুবারক করা অবস্থায় উপস্থিত থাকতে, আবার সম্মানিত দরজায়ে উসীলা মুবারক-এ পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি মুবারক উনার সাথে অবস্থান মুবারক করতে। সুবহানাল্লাহ! আপনি কি একথা জানেন না যে, একই সময়ে একই সাথে পৃথিবীর সুদূর পশ্চিমপ্রান্তের কতক লোক এবং সুদূর পূর্বপ্রান্তের কতক লোক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে অথবা জাগ্রত অবস্থায় দেখে থাকেন? সুবহানাল্লাহ! স্বপ্নের দ্বারা এরূপ হলে আলমে খেয়াল ও আলমে মেছালের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আর জাগ্রত অবস্থায় হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জামালী এবং মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জালালী ছিফত মুবারকসহ হয়ে থাকে। এটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত চূড়ান্ত কামালিয়াত মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যেমন একজন বুযূর্গ ব্যক্তি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি একের মধ্যে সারা বিশ্বকে জমা করেন, উনার অসীম শক্তি মুবারক উনার তুলনায় তা আদৌ বিস্ময়কর ব্যাপার নয়। সুবহানাল্লাহ! (তা’রীফু আহলিল ইসলামি ওয়াল ঈমান বিআন্না মুহাম্মাদান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লা ইয়াখলূ মিনহু যামানুন ওয়ালা মাকান, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী ১৪০-১৪১, মুন্তাহাস সূল ‘আলা ওয়াসায়িলিল উছূল ৪/৩৬১)
সুপ্রসিদ্ধ ‘মাজমাউল বারাকাত’ গ্রন্থে হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
وی صلی اللہ علیہ وسلم بر احوال واعمال امت مطلع است بر مقربان وخاصان درکاہ خود مفیض وحاضر وناظر است
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ উম্মতের যাবতীয় অবস্থা ও আমল সম্পর্কে অবগত এবং উনার মহান দরবারে উপস্থিত সকলকেই ফয়েজ প্রদানকারী এবং তিনি ‘হাযির ও নাযির’। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘শরহুশ শিফা শরীফ’ উনার মধ্যে বলেছেন-
لِاَنَّ رُوْحَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاضِرٌ فِـىْ بُيـُـوْتِ اَهْلِ الْاِسْلَامِ
অর্থ: নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরুল আমর মুবারক (মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রূহ মুবারক) অর্থাৎ তিনি মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির বা উপস্থিত। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
سَلِّمْ عَلَـيْهِ اِذَا دَخَلْتَ فِـى الْـمَسْجِدِ فَاِنَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ يَـحْضُـرُ فِـى الْمَسْجِدِ
অর্থ: আপনি যখন পবিত্র মসজিদ সমূহে প্রবেশ করবেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাম দিবেন। কারণ তিনি পবিত্র মসজিদ সমূহে হাযির আছেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বর্ণনাসমূহ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খ্বা তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ! (মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ থেকে সংকলিত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৮)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৭)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪২)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তিনটি বিষয় নাজাতের কারণ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র “নূরুর রহমত” ও “নূরুল বারাকাত” মুবারকদ্বয় উনাদের ব্যাপকতা ও বিশালতা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩২)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৬)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












