ঘটনা থেকে শিক্ষা:
নেককার দ্বীনদার সন্তান পেতে চাইলে অবশ্যই হালাল খেতে হবে
, ০৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ৩০ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৯ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়াতে একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ও মশহুর মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী ছিলেন। উনাকে এলাকার সমস্ত লোকেরা চিনত। উনি উনার মাদ্রাসায় র্দস দিতেন। খান্কা শরীফে তা’লীম দিতেন যিকির-আযকারের জন্য। উনার একাধিক সন্তান-সন্ততি ছিল। প্রত্যেকেই আল্লাহ্ওয়ালা দ্বীনদার, পরহিজগার ছিলেন, সকলেই সেটা জানত। কিন্তু উনার বড় ছেলেটা ছিল বেশরা। অর্থাৎ শরীয়তের খেলাফ সে চলতো।
সেই আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি যখন খান্কা শরীফে তা’লীম দিতেন, র্দস দিতেন, তখন দেখা যেত উনার সেই ছেলেটা আজে-বাজে জিনিস পান করে এসে নেশাগ্রস্থ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করত, যার কারণে তিনি লজ্জিত হতেন। উনার যারা মুরীদ, মু’তাক্বেদ ছিলো তারাও লজ্জিত হতো। কিন্তু কোন ব্যক্তি কোন দিন উনাকে জিজ্ঞাসা করেনি ছেলেটা এমন হলো কি করে? যেহেতু তারা লজ্জায় সেটা জিজ্ঞাসা করতো না। আর সে বুজুর্গ ব্যক্তি উনিও লজ্জিত হতেন।
তবে একদিন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যায়। যার ফলশ্রুতিতে উনার খাছ মুরীদ মু’তাক্বিদ যারা ছিলো তারা এসে জিজ্ঞাসা করলো, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন। যদিও জিজ্ঞাসা করা আদবের খেলাফ হবে, তবুও আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে হয়। আমরা জানি, সকলেই জানে আপনি বিশিষ্ট মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী এবং বুজুর্গ কোন সন্দেহ নেই, শক-শো’বা নেই। আর আপনার যারা আল আওলাদ রয়েছেন, ছেলে-মেয়ে যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই আল্লাহ্ওয়ালা বা মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী, আমরা সেটা জানি। অথচ আপনার বড় ছেলে, সে শরীয়তের খেলাফ চলাচল করে, সেটা আপনিও জানেন, আমরাও জানি, অনেকেই জানে। কিন্তু আমরা কখনও জিজ্ঞাসা করিনি। যেহেতু আমরা জানি সে বিষয় আপনি নিজেই চিন্তিত এবং আমাদের জিজ্ঞাসা করতেও লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং আমরা এ বিষয় মনে করি হয়তো জিজ্ঞাসা করলে আদবের খেলাফ হবে কি-না? সে জন্য জিজ্ঞাসা করিনি। আজকে যেহেতু কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেজন্য জিজ্ঞাসা করতে আমরা বাধ্য হলাম। দয়া করে আমাদেরকে জানাবেন যে, আপনার ছেলে এমন হলো কি করে?
উনি তখন বললেন যে, দেখ বাবা! ঘটনা একটা ঘটে গেছে, সেটা হলো আমাকে এক আমীর দাওয়াত দিয়েছিল। সাধারণতঃ আমি হালাল-হারাম তমীজ করেই দাওয়াত খেয়ে থাকি। কিন্তু সেদিন আমি সেটা সংবাদ নেইনি তার খাদ্য হালাল বা হারাম। মনে করেছি সাধারণভাবে তার খাদ্য হালালই হবে। খাদ্য খেয়েছি, খাওয়ার পরেই সন্তানটা তার মা-র রেহেমে গিয়ে পৌঁছে। কিন্তু খাদ্যগুলো ছিল হারাম। যার কারণে আমার সন্তানটা এলো-মেলো হয়েছে। তবে পরবর্তীতে আমি সতর্ক হয়েছি। যার জন্য মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আমার পরবর্তী সন্তানগুলোকে দ্বীনদার, পরহিজগার আল্লাহ্ওয়ালা করেছেন। কাজেই হালাল কামাই করার কতটুকু গুরুত্ব রয়েছে সেটা উল্লেখিত ঘটনা থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়।
ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত উছিলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে যথাযথভাবে হালাল খাদ্য গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমীন।
-তাসনীমে শিরিন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












