পতিত সরকারের- বিদ্যুৎ খাতের প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি জনগণ কতটুকু উপলব্ধি করেছে? ১৫ বছর ধরে যে দুর্নীতি হল জনগণ তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল কেনো?
, ৪রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২০ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
বি.এন.পির বিদ্যুৎ ও জালানী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেছে, বিদ্যুৎখাতে ১৫ বছরে মোট খরচ হয়েছে ২ হাজার ৮৩০ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমান বিনিময় হারে সেটা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লুটপাট হয়েছে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। তবে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ খাতে পতিত সরকারের দুর্নীতি ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশী।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে। তার অর্থ হলো, বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চলেনি এবং এই টাকাগুলো তাদেরকে পেমেন্ট করেছে। এভাবে দেশের মানুষের কাছ থেকে লুট করে দিয়ে গেছে।
ক্যাপাসিটি চার্জ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগের মেশিন খারাপ। খারাপ মেশিন এনে তারা দুর্নীতি করেছে।
ক্যাপাসিটি চার্জের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির সামিট নিয়েছে ১০ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, এ্যাগ্ররো ইন্টারন্যাশনাল নিয়েছে ৭ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা, আল্ট্রা পাওয়ার হোল্ডিংস নিয়েছে ৭ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপ নিয়েছে ৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা, আরপিসিএল নিয়েছে ৫ হাজার ১১৭ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির ধরণ দেখার পর বোঝা যায়, তারা বিদ্যুৎখাতকে ফোকলা করে দিয়েছে। আর কিছু নেই। একটা উদাহরণ বলি। প্রতিটি মিটারের জন্য গড়ে অতিরিক্ত খরচ করেছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। কিনেছে ৬ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে। তাহলে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭২০ টাকা প্রতি মিটারে। তাহলে দেখেন কত টাকা নিয়ে গেছে। এনআইসি কার্ডের দাম ২ হাজার টাকা। তারা ধরেছে ৫ হাজার ২১৫ টাকা। এভাবে এই খাতের সর্বত্র দুর্নীতি। দুর্নীতির কোনো শেষ নেই।
কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হয় সাধারণত আপদকালীন বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের জন্য। যে প্ল্যান্ট দুই বছরের, সেটা ১৫ বছর পর্যন্ত চালাচ্ছে এবং এসব কুইক রেন্টালে ৭৫ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে উইথ আউট রিটার্ন।
এত দুর্নীতি তখনই হয় যখন জনগণের উপলব্ধি থাকে না। আর যখন উপলব্ধি উদয় হয় না তখন প্রতিবাদও হয় না। কাজের জনগণের জনবিবেক সদ্য জাগ্রত থাকা দরকার।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












