পবিত্র কুরবানী শরীফ নিয়ে সুওয়াল-জাওয়াব
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
জাওয়াব: অনেকে বলে থাকে, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হয়, তার গোশত পিতা-মাতা খেতে পারবে না। মূলত তাদের একথা শরীয়ত সম্মত নয়। সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হলো, পবিত্র আক্বীকা উনার পশুর গোশতের হুকুম পবিত্র কুরবানী উনার পশুর গোশতের হুকুমের মতো। কাজেই, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হবে তার গোশত পিতা-মাতাসহ সকলেই খেতে পারবে। এটাই শরীয়তসম্মত মাসয়ালা বা ফতওয়া। (সমূহ ফিক্বাহর কিতাব)
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর দ্বারা কোন প্রকার ফায়দা লাভ করা যাবে কিনা?
জাওয়াব: সাধারণত পবিত্র কুরবানী উনার পশুর দ্বারা কোন প্রকারের ফায়দা লাভ করা জায়িয নেই। যেমন-
(১) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর উপর আরোহণ করে চলাচল করা জায়িয নেই, তবে যদি পবিত্র কুরবানী উনার পশুর পানীয় ও ঘাসের বন্দোবস্ত করানোর জন্য আরোহণ করে কোথাও যায়, তাতে কোন ক্ষতি নেই। অথবা পালিত পশু যদি হয়, যার উপর মালিক পূর্ব থেকেই আরোহণ করতো এখন মালিক তা পবিত্র কুরবানী দেয়ার নিয়ত করেছে, তাতে আরোহণ করলেও ক্ষতি হবেনা। তবে পবিত্র কুরবানী উনার দিন উপস্থিত হলে পবিত্র কুরবানী করে দিতে হবে, আরোহণ করার জন্য রাখা যাবেনা।
(২) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর পশম কেটে বিক্রয় করা জায়িয নেই। যদি কেউ বিক্রি করে, তবে তার মূল্য ছদ্কা করে দিতে হবে। তা পবিত্র কুরবানী উনার পূর্বে হোক বা পবিত্র কুরবানী উনার পরে হোক। আর পবিত্র কুরবানী উনার পর পবিত্র কুরবানী উনার পশুর পশম থেকে ফায়দা হাছিল করতে পারবে অর্থাৎ নিজ কাজে ব্যবহার করতে পারবে অথবা কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে। যেমন পশমী কম্বল ও চাদর ইত্যাদি।
(৩) পবিত্র কুরবানী উনার পশুকে হালের কাজে ব্যবহার করা জায়িয নেই। হ্যাঁ, যদি কেউ হালের গরুকে পবিত্র কুরবানী দেয়ার নিয়ত করে যে, আমি হালের এই গরুটি আগামী ঈদের দিনে পবিত্র কুরবানী করবো, তাহলে কুরবানী উনার দিনের পূর্ব পর্যন্ত হালের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। পবিত্র কুরবানী উনার দিন উপস্থিত হলে, হালের কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আর রাখা যাবেনা।
(৪) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর দ্বারা বোঝা বহন করা জায়িয নেই। তবে উক্ত পশু পালিত হলে বোঝা বহন করাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে পবিত্র কুরবানী উনার দিন উপস্থিত হলে তখন আর বোঝা বহনের জন্য রাখা যাবেনা। কুরবানী করে দিতে হবে।
(৫) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর দুধ পান করা বা বিক্রি করা জায়িয নেই। যদি কেউ পান করে বা বিক্রয় করে তবে তার মূল্য ছদকা করে দিতে হবে। কিন্তু যদি উক্ত প্রাণীর দুধ মালিক পূর্ব থেকেই পান করে বা বিক্রয় করে আসছে অর্থাৎ পালিত পশু যদি হয়, তাহলে দুধ পান করতে বা বিক্রয় করতে কোন অসুবিধা নেই। তবে পবিত্র কুরবানী উনার দিন উপস্থিত হলে তা পবিত্র কুরবানী করে দিতে হবে।
(৬) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর গোবরের হুকুমও দুধের অনুরূপ।
স্মরণীয় যে, পবিত্র কুরবানী উনার পশু যদি আইইয়ামে নহরের মধ্যে কিনে এনে সাথে সাথে পবিত্র কুরবানী করে, তাহলে তা থেকে কোন প্রকার ফায়দা হাছিল করা জায়িয নেই। যদি পবিত্র কুরবানী পশুর দুধ, পশম ইত্যাদি দ্বারা ফায়দা হাছিল করে, তাহলে তার মূল্য ছদ্কা করে দিতে হবে। তবে যদি আইইয়ামে নহরের দু’চারদিন আগে কিনে এনে পশুকে খাওয়ায় বা পান করায়, তাহলে উক্ত পশু দুধ দিলে তাও পান করতে পারবে খাদ্যের বিনিময়ে।
(৭) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর রশি, নাক বন্ধ, পায়ের খুরাবৃত, গলার ঘন্টা, জিনপোষ, লাগাম ইত্যাদি দ্বারা কোন প্রকার ফায়দা হাছিল করা জায়িয নেই। যদি এ সমস্ত দ্রব্য দ্বারা কোন প্রকার ফায়দা হাছিল করে, তবে তার মূল্য ছদকা করে দিতে হবে। (শামী, আলমগীরী, বাহর, কাজীখান)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দা করায় না সে দাইয়ূছ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাক্বীক্বী মৃত্যুকে স্মরণ করার মধ্যেই শহীদী দরজা মিলে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আব্বাদ ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা কবীরা গুনাহ ও অসন্তুষ্টির কারণ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নেয়াই ঈমানদারের পরিচয়
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












