পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্মশীল না হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দোহাই দানকারীরা সুযোগ নিবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
, ১৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
অনেক সময় সুরত-শেকেলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নিদর্শন না থাকলেও অন্তরে ঠিকই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বীজ লুকায়িত থাকে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জজবা অটুট থাকে।
এ কারণে দেশে হারাম সংস্কৃতির বেসামাল পরিবেশে অনেকে ভেসে গেলেও এক সময় তারা তটস্থ হয়। কাজেই নাট্যমঞ্চ বা সংষ্কৃতি মঞ্চের সামনে ভীড়, সিনেমা হলগুলিতে প্রচুর দর্শক, টিভি সেটগুলোর সামনে অগণিত দর্শক ইত্যাদি দেখে কল্পনা করার কারণ নেই যে- তারা সব পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ছেড়ে দিয়েছে। একথা ঠিক যে, তারা অনৈসলামী কাজ করেছে। কিন্তু একথাও যুগপৎভাবে প্রযোজ্য যে, প্রতিটি মুসলমান মাত্রই কোনো পাপ কাজের পর তাদের অন্তরে অনুভব হয় যে- তারা গুনাহর কাজ করেছে। তাদের অন্তরে উদয় হয় “মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন ক্ষমা করে দেন।” অথবা তারা এসব গুনাহর কাজ স্মরণ করেই প্রায়ই বলে থাকে- ‘সারা জীবন অনেক গুনাহ করেছি’। নাঊযুবিল্লাহ! এছাড়া এরপরে তারা নামায পড়ে থাকে অথবা কমপক্ষে জুমুয়ার দিন পবিত্র জুমুয়া উনার নামায বা পবিত্র ঈদ উনার নামায পড়ে থাকে। এসব নামাযে উপস্থিতি মূলত তাদের বিগত গুনাহ থেকে তওবা করার বিষয়টাও সংযুক্ত বা মুখ্য থাকে। কাজেই দেশের মানুষ অনৈসলামী কাজে লিপ্ত থাকলেই যে এখান থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উঠে গেছে- একথা মনে করার কোনো অবকাশ নেই। প্রসঙ্গত, কথিত তরুণ প্রজন্ম এলোমেলো চললেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম তারা ঠিকই অন্তরে ধারন করে। এজন্য নিকট অতীতে শাহবাগ চত্বর থেকেও বারবার উচ্চারিত হয়েছে আমরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে নই। প্রমাণিত ও প্রতিভাত হচ্ছে- পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে স্থান নিলে যেমন শাহবাগ চত্বরের অস্তিত্ব থাকতো না, তেমনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে অবস্থান নিলে রাষ্ট্রযন্ত্রও টিকে থাকতে পারবে না।
সম্প্রতি সরকারের অতি উৎসাহী কিছু মুখপাত্র রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে উঠিয়ে দেয়া হবে এমন কথা ছড়াচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!। তাহলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন একথাও বহুগুণ সম্প্রসারিত হবে এবং দেশের ৯৮ ভাগ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ফুঁসে উঠবে। কথিত তরুণ প্রজন্ম দেশের ভিত্তি নয়। আবার তরুণ প্রজন্মের নামে সবাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে নয়। আর দেশের মূলভিত্তি দেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ। তাদেরকে অবহেলা করলে সরকার নিজের পায়ে কুড়াল মারবে। সরকারকে অবিলম্বে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যতœশীল হতে হবে। এবং নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতিসহ সব অনৈসলামিক তৎপরতা বন্ধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। সদিচ্ছা ও সক্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকরা লাভবান হলেও চিকিৎসার উচ্চ ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর দারিদ্রসীমায় চলে যাচ্ছে অর্ধকোটি মানুষ চিকিৎসার সরকারি ব্যয় আগের তুলনায় বেড়েছে। তারপরও মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়েই চলেছে। যার বড় একটি কারণ চিকিৎসকদের একটি অংশের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ সরকারকে সত্ত্বর ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খাবারের নামে আমরা কী খাচ্ছি? ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রক্ত নিয়ে বাণিজ্য- মেশানো হচ্ছে স্যালাইন, লবণ পবিত্র দ্বীন ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ব্যতীত রক্ষা নেই
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ জবরদখলে থাকা সরকারি সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, খাস জমি অথবা রেলওয়ের বেহাত জমি। পরিত্যক্ত জমির হিসাব ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেই। উদ্ধারেও সক্রিয় ও জোরদার তৎপরতা নেই।
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সবজি উৎপাদন ১২ বছরে ৭ গুন বাড়লেও বাড়ছেনা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন। উৎপাদন পর্যায়েই সবজিতে মিশছে ২০ গুন বিষাক্ত কীটনাশক। ক্যান্সার, প্যারালাইসিস, কিডনি রোগ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছেই।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভূমি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন জানেনা দেশের সিংহভাগ মানুষ পাঠ্যপুস্তকে ভূমি বিষয়ক আইন ও নিয়মকানুন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্ভাবনাময় স্ট্রবেরি চাষ সমৃদ্ধি অর্জনের নতুন সোপান। অশিক্ষিত-শিক্ষিত সব বেকারেরই ভাগ্য বদলের উছীলা।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)