নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো প্রয়োজন নেই ঐ সমস্ত লোকদের রোযা; যারা রমাদ্বান শরীফ মাসেও মিথ্যা ও সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকে না।’
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে তাক্বওয়া হাছিল করা। অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয বা ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’ উনার তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা প্রকাশ্য পানাহার থেকে বিরত থাকা, দিনের বেলা সর্বপ্রকার পানাহার-রেস্তোরা বন্ধ রাখা এবং সর্বাবস্থায় গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
আর প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বপ্রকার হারাম কাজ বন্ধ করে দেয়া। স্কুল-কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ছুটি ঘোষণা করা। আর এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
, ৫ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৭ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অথচ আজকাল মুসলমানরা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার গুরুত্ব, সম্মান ও পবিত্রতা বুঝেও না এবং মানেও না। নাঊযুবিল্লাহ! তারা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে দিনের বেলা প্রকাশ্যে খানাপিনা করে, বেপর্দা চলে, গান-বাজনা, সিনেমা-নাটক, নোবেল, খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসসহ সর্বদাই এসমস্ত হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ছওম’ শব্দের অর্থই হচ্ছে ‘ইমসাক’ অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয ও শরীয়তবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদাররা! তোমাদের জন্য (পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার) রোযা ফরয করা হলো; যেরূপ পূর্ববর্তীদের জন্য ফরয করা হয়েছিলো। যার মাধ্যমে তোমরা অবশ্যই তাক্বওয়া হাছিল করবে।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থই হচ্ছে সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয ও শরীয়তবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা। আর এ প্রসঙ্গে মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো প্রয়োজন নেই ওই সমস্ত লোকদের রোযা; যারা মিথ্যা কথা ও মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকে না।” অতএব, প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে তাক্বওয়া অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয বা সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার সম্মানার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে সব মুসলিম-অমুসলিম দেশের সরকারের একান্ত কর্তব্য হচ্ছে- গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম থেকে মুসলমানদেরকে বিরত রাখা। যাতে করে মুসলমানরা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার সাহরী, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, পবিত্র যিকির-ফিকির, পবিত্র তাসবীহ-তাহলীল, পবিত্র ইফতারী, পবিত্র তারাবীহ নামায, পবিত্র অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী, যাকাত-ফিতরা আদায় করা বা সংগ্রহ করা ইত্যাদি যথাযথভাবে ইতমিনানের সাথে পালন করে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ফযীলত তথা রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত পরিপূর্ণভাবে হাছিল করতে পারে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস উনার ২, ৬, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৬ তারিখ সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই, এই মহাসম্মানিত দিবসসমূহ যথাযথ তা’যীম, তাকরীম, জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপন করার জন্য এখন থেকেই সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য।
৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের উসীলাতেই কাফির-মুশরিকসহ সকলেই রিযিকপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। কিন্তু মুসলমানরা এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে না। অতএব, প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নিজেদের ব্যাপারে হীনমন্যতা দূর করা এবং কোন বিষয়েই কাফির-মুশরিকদের দিকে রুজু না হয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলামে দায়িম-কায়িম থাকা।
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ, পবিত্র যিলক্বদ শরীফ ও পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ এ তিনটি মুবারক মাস হচ্ছেন পবিত্র হজ্জ উনার মাস। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হজ্জ, পবিত্র উমরাহ ও পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করতে হবে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ শরীয়তসম্মতভাবে। তবেই তা হজ্জে মাবরূর বা কবুল হজ্জ হিসেবে গণ্য হবে। সুবহানাল্লাহ!
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামই হচ্ছেন একমাত্র মনোনীত, হক্ব, পরিপূর্ণ ও সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত দ্বীন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ইসলামী তর্জ-তরীক্বা এবং আইয়্যামুল্লাহ শরীফ সমূহকে গুরুত্ব না দেয়া এবং পালন না করার কারণেই মুসলমানরা হারাম-নাজায়িয ও বেদ্বীনী-বদদ্বীনী কাজে মশগুল হয়ে লাঞ্চিত-অপমানিত হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারীদের ধ্বংস অত্যাবশকীয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তি করার কারণে কাট্টা কাফির আবু লাহাব যেরূপ ধ্বংস হয়ে গেছে; তদ্রুপ বর্তমানেও যারা উনার মহান শান মুবারক উনার খিলাফ কথা বলবে তারাও কাট্টা কাফির আবু লাহাবের ন্যায় গযবে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে- পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথাযথভাবে আদায় করা। যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামায ক্বাযা আদায় করবে অর্থাৎ সময়মত পড়লো না- পরে ক্বাযা করে নিলো- তবুও তাকে এক হোক্ববা অর্থাৎ দুই কোটি আটাশি লক্ষ বছর জাহান্নামে জ্বলতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা সাইয়্যিদাতুনা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতিল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ বেমেছাল বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবতে আযীমাহ মুবারক দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে আগামী ২৯শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪৬ হিজরী, ২৯শে হাদী আশার ১৩৯২ শামসী, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার বিগত আরবী মাসগুলো যেভাবে শুরু করেছে তাতে এটা নিশ্চিত যে, এ বছরেও পবিত্র হজ্জ বাতিল করার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম ও আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের পবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ মুবারক দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ। যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশ্ব বাল্যবিবাহ দিবস হিসেবে মশহূর। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ৬ বৎসর বয়স মুবারকে আক্বদ মুবারক ও ৯ বৎসর বয়স মুবারকে পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক সম্পন্ন হয়। যা যাওয়াজুল আতফাল বা বাল্যবিবাহ হিসেবে মশহূর। আর এ কারণেই যাওয়াজুল আতফাল বা বাল্যবিবাহ খাছ সুন্নত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মাসাকীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ মহান দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)