নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো প্রয়োজন নেই ঐ সমস্ত লোকদের রোযা; যারা মিথ্যা ও সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকে না।’
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে- সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয অর্থাৎ মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’ উনার তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা প্রকাশ্য পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং সর্বাবস্থায় গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাক্বওয়া হাছিলের কোশেশ করা।
, ০১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৪ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১০ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অথচ আজকাল মুসলমাগণ পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার গুরুত্ব, সম্মান ও পবিত্রতা বুঝেও না এবং মানেও না। নাঊযুবিল্লাহ! তারা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে দিনের বেলা প্রকাশ্যে খানাপিনা করে, বেপর্দা চলে, গানবাজনা, সিনেমা-নাটক, নোবেল, খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র রমাদ্বান শরীফসহ সর্বদাই এসমস্ত হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয। এছাড়াও প্রত্যেক মুসলমানের উচিত পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকা, হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা। তবে প্রয়োজনে অর্থাৎ মুসাফির, অসুস্থ ব্যক্তিদের সুবিধার্থে নির্দিষ্ট বাস, রেল ও লঞ্চ স্টেশনে জরুরত আন্দাজ হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যেতে পারে। অবশ্য তাও প্রকাশ্যে নয়, গোপনে। অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থেকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনাকে তা’যীম-তাকরীম করা ও এর পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের জন্যই ফরয।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ‘ছওম’ শব্দের অর্থই হচ্ছে ‘ইমসাক’ অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয ও শরীয়তবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য (পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার) রোযা ফরয করা হলো যেরূপ পূর্ববর্তীদের জন্য ফরয করা হয়েছিলো। যার মাধ্যমে তোমরা অবশ্যই তাক্বওয়া হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ! ‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থই হচ্ছে সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয ও শরীয়তবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা। আর এ প্রসঙ্গে মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো প্রয়োজন নেই ওই সমস্ত লোকদের রোযা; যারা মিথ্যা কথা ও মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকে না।’ অতএব, প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অতএব, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার সম্মানার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে সব মুসলিম-অমুসলিম দেশের সরকারের একান্ত কর্তব্য হচ্ছে- গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম থেকে মুসলমানদেরকে বিরত রাখা। যাতে করে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার সাহরী, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, পবিত্র যিকির-ফিকির, পবিত্র তাসবীহ-তাহলীল, পবিত্র ইফতারী, পবিত্র তারাবীহ নামায ইত্যাদি যথাযথভাবে ইতমিনানের সাথে পালন করে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ফযীলত তথা রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত পরিপূর্ণভাবে হাছিল করতে পারে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে- সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয অর্থাৎ মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’ উনার তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা প্রকাশ্য পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং সর্বাবস্থায় গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাক্বওয়া হাছিলের কোশেশ করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি। তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হালাল ও নেক কাজে দায়েমীভাবে মশগুল হওয়া এবং সর্বপ্রকার হারাম ও বদ কাজ হতে সর্বদা বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে প্রসারিত করেন তাকেই হিদায়েত দান করেন। কিভাবে হিদায়েত লাভ করা যাবে আর কি কারণে হিদায়েত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে সে বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করতে হলে কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার ব্যতীত কারো জন্য কোন বিকল্প নেই।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার জমীনে তাশরীফ মুবারক আনার কারণে যে খুশি মুবারক প্রকাশ করা হয় উনাকেই সংক্ষেপে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বা ফালইয়াফরহূ শরীফ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে আনন্দিত হওয়া এবং অন্তরের অন্তঃস্থল হতে মুহব্বতের সাথে শুকুর গুজারীর সাথে খুশি প্রকাশ করা।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জ্বীন-ইনসান সকলের জন্যই ইখলাছ অর্জন করা এবং ইখলাছের সাথে প্রতিটি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কেননা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রাণহীন নামায মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণে হাক্বীক্বীভাবে তথা ইখলাছের সাথে নামায আদায় করা এবং উক্ত নামায দ্বারা সমস্ত গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকা।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্মসমালোচনার জন্য ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ অতীব জরুরী।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক। কাজেই, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, প্রতিদিন অন্তত একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে পাঠ করা।
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ! যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












