সুন্নত মুবারক তা’লীম
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক এবং বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভের কারণ (৪র্থ )
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي فَلَهُ أَجْرُ مِائَةِ شَهِيدٍ .
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিতনা-ফাসাদের সময় আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে রাখবেন, তিনি একশত শহীদের ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আয যুহ্দ লিল বাইহাক্বী ১/২২১, ২০৭, আল কামিল লিইবনে ‘আদী ৪৬০, আল আমালী)
সকলের উচিত পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা রাখা। কেননা, তা বেমেছাল নেয়ামত,রহমত-বরকত মুবারক লাভের অন্যতম মাধ্যম মুবারক।
পবিত্র রোযা উনার প্রকারভেদ
পবিত্র রোযা মোট ছয় প্রকার । যথা-
১. ফরয,
২. ওয়াজিব,
৩. সুন্নত,
৪. মুস্তাহাব,
৫. মাকরূহ,
৬. হারাম।
(১) ফরয রোযা : পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ২৯ দিন অথবা ৩০ দিনের রোযা হচ্ছে ফরয রোযা।
(২) ওয়াজিব রোযা : মান্নত-এর রোযা। নফল রোযা উনার ক্বাযা, যা শুরু করার পর ফাসিদ (ভঙ্গ) হয়ে গিয়েছিলো। বা বিভিন্ন কাফফারার রোযা।
(৩) সুন্নত রোযা : পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম উনার দু’টি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখে রোযা রাখা। পবিত্র মুহররম (১০ই মুহররমুল হারাম) শরীফ উপলক্ষে বা প্রতি আরবী মাসে তিনটি রোযা রাখা।
পহেলা রজবুল হারাম শরীফ উনার দিনে রোযা রাখা। পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার দিনে অর্থাৎ ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ রোযা রাখা। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ১৫ই শা’বান শরীফে রোযা রাখা। পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসের ৬টি রোযা। পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোযা এবং পবিত্র ১০ই যিলহজ্জ শরীফ উনার ছুবহি ছাদিক হতে শুরু করে দ্বিপ্রহরের মাকরূহ ওয়াক্তের পূর্ব পর্যন্ত রোযা রাখা। এ সময়ের পরে রোযা রাখা হারাম। এ সময়ের মধ্যে পবিত্র কুরবানী করে তার গোশÍ দিয়ে রোযা ভঙ্গ করা পবিত্র সুন্নত মুবারক। গোশÍ প্রস্তুত না হলে অন্য কিছু দিয়ে রোযা ভঙ্গ করতে হবে।
(৪) মুস্তাহাব রোযা : প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোযা রাখা। বছরে যে পাঁচ দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ সেই পাঁচ দিন ব্যতীত অন্যান্য যে কোন দিন রোযা রাখা মুস্তাহাব ।
(৫) মাকরূহ রোযা : ইয়াওমুশ শক অর্থাৎ চাঁদের ত্রিশ তারিখ দিনে রোযা রাখা সাধারণভাবে। এছাড়া পবিত্র আশুরা শরীফ উপলক্ষে ১ দিন রোযা রাখা মাকরূহ।
(৬) হারাম রোযা : পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন। পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন। পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার পরবর্তী তিন দিন (১১, ১২, ১৩ই যিলহজ্জ শরীফ তারিখে) রোযা রাখা হারাম।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বিছানা মুবারক উনার বর্ণনা
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












