পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক-৪
, ২০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِـيْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ.
অর্থ: নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব, যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আসমান ও যমীন সৃষ্টির শুরু থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবের মধ্যে মাসের সংখ্যা বারোটি করা হয়েছে। তারমধ্যে চারটি মাস হচ্ছে পবিত্র। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফঃ পবিত্র আয়াত শরীফ নং-৩৬)
উপরোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় চারটি হারাম মাস সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْـحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَوَاحِدٌ فَرْدٌ وَهُوَ رَجَبُ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হারাম মাসের মধ্যে যে চারটি মাস তারমধ্যে তিনটা হচ্ছেন একসাথে, একটা হচ্ছেন আলাদা। পবিত্র যিলক্বদ শরীফ, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ, পবিত্র মুহররম শরীফ। আর আলাদা হচ্ছেন পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ।
এখন পবিত্র হজ্জ করতে মানুষ যাবে। পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে প্রস্তুতি নিবে। পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাসে যাবে, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসে পবিত্র হজ্জ করবে এবং পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে প্রত্যাবর্তন করবে। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মাসগুলোকে হারাম বা সম্মানিত করে, এই মাসের মধ্যে সমস্ত মারামারি কাটাকাটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
শাওওয়াল শব্দের অর্থ এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ অনেক রয়েছে। তবে আমভাবে অর্থ হচ্ছে, যে বাহন তার মুনিবকে বহন করতে পারে না। যে শাওওয়াল মাসে মানুষ ঘরে বসে থাকতেন, উনারাই ছফর করে, শিকার করে, ব্যবসা বাণিজ্য করে উনাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতেন। যে শাওওয়াল মাসে ঘরে বসে খাবারের কোন ব্যবস্থা ছিল না। অর্থাৎ ঘরে বসে থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করা যেত না। তাই কামাই রোযগার করে, ছফর করে, শিকার করে সে ব্যবস্থা করতে হতো। সেজন্য বলা হয়, শাওওয়াল শব্দের অর্থ হচ্ছে যে মাস মানুষের রিযিকের ভার বহন করতে অক্ষম।
যুলক্বা’দাহ শব্দের অর্থ হচ্ছে, বসে থাকা। যে মাসে মানুষ বসে থাকে। অর্থাৎ যে মাসটা পবিত্র হজ্জ উনার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থেকে এই মাসে পবিত্র হজ্জ উনার ব্যবস্থা করা। এ মাসে মারামারি কাটাকাটি যুদ্ধ বিগ্রহ নিষিদ্ধ।
যুলহিজ্জাহ হজ্জ উনার মাস। আলাদাভাবে এ মাস উনার নামই দেয়া হয়েছে যুলহিজ্জাহ। হজ্জ উনার মাস, যে মাসে পবিত্র হজ্জ করতে হয়। এ মাসেও মারামারি কাটাকাটি যুদ্ধ বিগ্রহ নিষিদ্ধ। কাজেই মাসগুলোকে মহান আল্লাহ পাক তিনি আলাদাভাবে সম্মানিত করেছেন, ফযীলত মুবারক দিয়েছেন।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বিছানা মুবারক উনার বর্ণনা
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












