তখন খৃষ্টানরা বললো, আমাদের একটা আবদার আছে, কি আবদার? যিনি খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন উনার সম্মানার্থে আমরা একটা খাবার সভার বন্দোবস্ত করতে চাই।
আমীরুল ম’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বলা হলে, উনি তাতে রাজী হলেন। আরব দেশে সাধারণতঃ গোস্ত আর রুটি খাওয়া হতো। দস্তরখানা ছিল চামড়ার খয়েরী রংয়ের, তার মধ্যে রুটি দেয়া হত। এটা ছিল মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।
খাবারের সময় রুটি গোস্ত দেয়া হলো। খাওয়া প্রায় শেষ, আমীর উমরাহ অনেক বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫৯তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১৯তম বছর, মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৬ষ্ঠ ও ৭ম বছর):
খন্দকের জিহাদ মুবরাক: তারপর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে খন্দকের মূল সম্মানিত জিহাদ মুবরাক হয়। ‘খন্দক’ শব্দের অর্থ পরিখা বা গর্ত। যেহেতু এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার ৩ দিকে দীর্ঘ খন্দক বা পরিখা খনন করা হয়েছিল, তাই এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনাকে ‘খন্দকের জিহাদ’ বলা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫১তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১১তম বছর):
* এ বৎসর সম্মানিত উমরাহ্ মুবারক উনার সময় ভিনদেশী বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিত্ব মুবারক উনারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
* এ বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (সোমবার রাতে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হন। সুবহানাল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৫. প্রসঙ্গ : কোনা ফাঁড়া কোর্তা সুন্নত নয়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব ধরনের অর্থাৎ গোল, কোণা বন্ধ, কোণা ফাঁড়া সব ধরনের কোর্তাই পরিধান করেছেন। তাই কোণা ফাঁড়া কোর্তাও সুন্নত। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ বহুবার প্রমাণ করা হয়েছে যে, বাতিলপন্থীদের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণই ভুল। কারণ, তারা একটি দুর্বল প্রমাণও পেশ করতে পারবেনা যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে মাযহাব ও তরীক্বার ইমাম উনাদের কওল শরীফ:
হযরত শেখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি:
ছোহবত মুবারক উনার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বুযূর্গ কবি হযরত শেখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন উনার কিতাবের মধ্যে-
پسر نوح بابداں بنشست+ خاندان نبوتش گم شد
سگ اصحاب کھف روزے چند+ پئے نیگاں گرفت مردم شد
অর্থ: “হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান খারাপ লোকদের ছোহবতে থাকায় নুবুওওয়াতী খান্দানের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামী হলো। আর আছহাবে কাহাফ উনাদের কুকুর নেককারদের ছোহবতে থাকার কারণে মানুষের ছূরতে বাকি অংশ পড়ুন...
উমাইয়া বিন খ্বাল্ফের পরিণতি:
উমাইয়া বিন খ্বালফ। আবূ ছাফওয়ান যার উপনাম। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আরেক কাফির সরদার। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নানাভাবে কষ্ট দিতো এই মালঊনটা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যখনই দেখতো এই বজ্জাতটা তখনই কটূক্তি করতো, উনার শান মুবারকে বেয়াদবী করতো, উনাকে অভিশাপ দিতো। নাঊযুবিল্লাহ! তার এই নিকৃষ্ট কর্মকা-ের জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা হুমাযাহ শরীফ নাযিল করে বলেন-
وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ
অর্থ: ধ্বং বাকি অংশ পড়ুন...
দস্তরখানায় খাদ্য খাওয়ার ফযীলত মুবারক সম্পর্কে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُصَلِّي الْمَلَائِكَةُ عَلَى الرَّجُلِ مَا دَامَتْ مَائِدَتُهٗ مَوْضُوْعَةً.
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ঐ ব্যক্তির উপর ত বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে ছহিবে নিসাব প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। আর পশু কুরবানী করার বিষয়ে বিধান হচ্ছে, যেগুলো ছোট প্রাণী যেমন- দুম্বা, মেষ বা ভেড়া, ছাগল, খাসী, বকরী ইত্যাদি একটি পশু শুধুমাত্র একজনের পক্ষ থেকেই পবিত্র কুরবানী করা যায়। আর বড় প্রাণী যেমন- উট, গরু, মহিষের ক্ষেত্রে বিধান হচ্ছে, একাধিক অর্থাৎ সাতজন পর্যন্ত শরীক হয়ে একত্রে কুরবানী করা যায়। যা হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حضرت جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه و বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি অপ্রয়োজনে চলাচল নিষেধ করে দিলেন। পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে পরবর্তীতে বলা হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের থেকে একজন করে সাথে নিয়ে যেতেন। তাতে বুঝা যাচ্ছে, চলাচল করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে যেটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় চলাচল করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন বিদায় নিলেন, তারপর দুইজন হযরত উম্মুল মু’মিনীন বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِـيْ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يـَحُجُّ اَغْنِيَاءُ النَّاسِ لِلنَّزَاهَةِ وَاَوْسَطُهُمْ لِلتِّجَارَةِ وَفُقَرَاؤُهُمْ لِلْمَسْأَلَةِ وَقُرَّاؤُهُمْ لِلرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ
অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- মানুষের উপর অতিশীঘ্রই এমন একটা সময় আসবে অর্থাৎ আমার উম্মতের উপর এমন একটা সময় আসবে যারা ধনী, বাকি অংশ পড়ুন...












