পরিবেশবাদ ও ধোঁকা (১)
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
প্রথমেই বলে রাখি, পরিবেশবাদীরা ক্লাইমেট পরিবর্তনে যে সমস্ত দাবী করে থাকে তার প্রায় সবগুলো আমার কাছে ভুয়া মনে হয়। বিশেষ করে তারা দাবী করে, কার্বন নিঃসরনের কারণে নাকি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এজন্য তারা ১০০-১৫০ বছরে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন একটি হিসেবও প্রকাশ করে। আসলে পৃথিবীর ক্লাইমেট বোঝার জন্য এক-দেড়শ’ বছর কোন সময় না। যদি ৫-১০ হাজার বছরের ক্লাইমেট ডাটা পর্যবেক্ষণ করা যেতো, তখন দেখা যেতো ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এক-দেড় ডিগ্রি এদিকে-ওদিক হওয়া খুব সাধারণ বিষয়। এবং নির্দ্দিষ্ট সময় পর পর তা উঠানামা করে। এর সাথে কার্বন নির্গমন বা পরিবেশবাদী বয়ানের কোন সম্পর্ক নেই। বরং স্বাভাবিক নিয়মেই তা উঠানামা করে।
আসলে পরিবেশবাদ বলে কিছু নেই, সব হইলো পরিবেশের কথা বলে কারো ব্যবসা উন্নতি করা, আর কারো ব্যবসার পতন ঘটানো। যেমন এবার কপ-২৮ এর কথাই ধরেন। জীবাষ্ম জ্বালানি মানে তেল, গ্যাস, কয়লা ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে। কারণ এগুলোর মাধ্যমে নাকি কার্বণ নিঃসরণ ঘটে পরিবেশ দূষণ হবে। এজন্য বলা হচ্ছে, কার্বন দূষণ থেকে বাচতে পরমাণু বিদ্যুতের দিতে ঝুকতে হবে। এবারের সম্মেলনের তৃতীয় দিনে পারমাণবিক শক্তির তিনগুণ বৃদ্ধি চেয়ে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে ২০টিরও বেশি দেশ। (সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩)
প্রশ্ন হচ্ছে, তেল, গ্যাস, কয়লাতেই শুধু পরিবশে দূষণ হয়? পরমাণু জ্বালানিতে কি পরিবেশ দূষণ হয় না?
অবশ্যই হয়। এবং পরমাণু বর্জ্যে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয় দুষণের সম্ভবনা থাকে। তাহলে কেন পরিবেশ দূষণের কথা বলে জীবাষ্ম জ্বালানিকে নিরুৎসাহিত এবং পরমাণু জ্বালানিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে?
এটাই হলো পরিবেশবাদ। কারণ তেল, গ্যাস, কয়লার বদলে পরমাণু জ্বালানির দিকে যাওয়া মানে জ্বালানি ব্যবসা এক হাত থেকে অন্য হাতে নিয়ে যাওয়া।
সত্যিই বলতে জ্বীবাষ্ম জ্বালানি ব্যবহার কার্বন দূষণের যে তত্ত্ব প্রচার করা হয়, সেটাও আমার কাছে ভুয়া মনে হয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক অতিরিক্ত কার্বন দমন করার জন্য ‘কার্বন সাইকেল’ নামক একটি বিশেষ পদ্ধতি পরিবেশে এমনিতেই চালু রেখেছেন। যে পদ্ধতিতে কার্বন ঘুরে ফিরে আবার স্ব-স্থানে ফিরে আসে। কার্বন নিঃসরণে কার্বন বেড়ে যাচ্ছে বলে যে গাল-গল্প শোনা যায়, কার্বন সাইকেলের ক্ষমতার সামনে তা কিছুই না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












