পরীক্ষায় ডিভাইস ও প্রক্সি সমস্যা, সমাধান কি?
, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে ডিভাইস বলতে বলতে বোঝায়, এক ধরনের ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার। যা কানের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি দিয়ে কথা বলা ও শোনা যায়।
আর পরীক্ষার হলে প্রক্সি বলতে বোঝায়, চেহারা বা মুখচ্ছবির মিল থাকায় একজনের বদলে অন্যজন পরীক্ষা দেয়া।
পরীক্ষার হলে ডিভাইস সমস্যার সমাধান কোথায়?
ডিভাইস সমস্যার সমাধান হচ্ছে নেটওয়ার্ক জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহার করা। নেটওয়ার্ক জ্যামার হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র, যা ব্যবহার করলে কোন ধরনের নেটওয়ার্ক সেখানে কাজ করবে না। ফলে কোন ডিভাইস তার শরীরে লুকানো থাকলেও সেটা ব্যবহার করতে পারবে না।
দেখা যায়, ডিভাইসের কথা বলে, অনেক সময় বোরকা পরা ছাত্রীদের নেকাব খুলতে, কান-ঘাড় উন্মুক্ত রাখতে বাধ্য করে শিক্ষকরা। এটা মোটেও ঠিক না। এতে একদিকে ঐ শিক্ষার্থীর দ্বীনি অধিকার যেমন লঙ্ঘিত হয়, তেমনি তার প্রাইভেসীর অধিকার লঙ্ঘিত হয়। কিন্তু এখন দেখা যায়, কোন ছাত্রী বোরকা-নেকাব পরলে তার সাথে পশুর মত ব্যবহার করা হচ্ছে, জোর করে তার নেকাব খুলে পুরো পরীক্ষার সময় শত শত মানুষের সামনে কান, গলা, ঘাড় উন্মুক্ত রাখতে হচ্ছে।
একজন শিক্ষার্থী শুধু নেকাবেই ডিভাইস লুকাতে পারে না, বরং শরীরের অনেক অংশেই ডিভাইস লুকাতে পারে। কিছুদিন আগে একজন ছাত্র গ্রেফতার হয়েছিলো যার আন্ডারপ্যান্টের ভেতর ডিভাইস পাওয়া যায়। সে শিক্ষকের অগোচরে তা বের করে ব্যবহার করছিলো। বিষয়টি এমন হয়েছে যে, ডিভাইসমুক্ত পরীক্ষার হল তৈরী করতে হলে সবার সব পোশাক খুলে বিবস্ত্র করে রাখতে হবে, নয়ত পরীক্ষার্থী প্রতি একজন করে গার্ড প্রয়োজন হবে, যা কখনই সম্ভব না। এজন্য পোশাকের সাথে ডিভাইসের কোন সম্পর্ক নাই। ডিভাইস ব্যবহার রোধ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পরীক্ষার হলে নেটওয়ার্ক জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহার করা, যার দরুণ শিক্ষার্থীরা যতই ডিভাইস নিয়ে আসুক, সেটার ব্যবহার করতে পারবে না।
একই সাথে সরকারের উচিত এসব ডিভাইস বিক্রির উপর নজরদারি করা এবং যত্রতত্র বিক্রি বন্ধ করা। ডিভাইস বিক্রির উপর নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা দিলে ডিভাইসের ব্যবহার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
এরপর আসি, পরীক্ষায় প্রক্সি’র সমাধান কি?
পরীক্ষা বা ক্লাসরুম, অফিস-আদালতে সর্বত্র প্রক্সির একমাত্র সমাধান হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্তকরণ। কারণ দুইজন মানুষের চেহারা, মুখচ্ছবি একরকম হতেই পারে কিংবা মিল থাকতে পারে। ছবি দেখে যা যাচাই করা কখনই সম্ভব না। কিন্তু দুইজন মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনো এক হয় না। এমনকি দুইজন জমজের ফিঙ্গারপ্রিন্টও কখনো এক হয় না। তাহলে পরীক্ষার হলে কেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে নির্ভুল পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাই না করে, ত্রুটিপূর্ণ ছবি-চেহারা দেখে পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে? কেন দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে?
-ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












