পাঠ্যবইয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বইয়ে কল্পনার বিজ্ঞানীর ছবি অঙ্কন -এ আবার কেমন বিজ্ঞান শিক্ষা !
, ০৪ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
প্রশ্ন হচ্ছে, কল্পনার বিজ্ঞানীর ছবি অঙ্কন আবার কেমন বিজ্ঞান শিক্ষা?
আমরা তো জানি, কল্পনার ছবি অঙ্কন করা সাইন্সের বিষয় নয়, বরং আর্টস বা মানবিক বিভাগের বিষয়।
কিন্তু আর্টস বা মানবিক বিভাগের বিষয়কে পাঠ্যবইয়ে সাইন্স হিসেবে পড়ানো হচ্ছে কেন? রহস্য কি?
লক্ষ্য করলে দেখবেন, যারা নতুন পাঠ্যবই সম্পর্কে মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় বিবৃতি দেয়, তারা প্রায়শই বলে, এ পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞানমনষ্ক হবে।
পাঠক! বিজ্ঞানমনষ্ক আর বিজ্ঞান কিন্তু এক জিনিস না। বিজ্ঞান হচ্ছে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। অপরদিকে বিজ্ঞানমনষ্ক বলতে বোঝায় এক প্রকার দার্শনিকতা, যা যুক্তিবাদ ও চেতনা নির্ভর। সে হিসেবে বিজ্ঞানমনষ্কতা কোনভাবেই বিজ্ঞান বা সাইন্স নয়, বরং আর্টস বা মানবিক বিভাগের একটি সাবজেক্ট। সম্ভবত কোন বিশেষ গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের মতাদর্শ ও চিন্তা চেতনা ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরী করেছে, যেখানে পাঠ্যবইয়ে বিজ্ঞান বা সাইন্সকে খাটো করে তার বদলে বিজ্ঞানমনষ্কতা নামক দর্শন ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম সাইন্সে মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়বে, যার প্রভাব ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে তো অবশ্যই, বিভিন্ন বিজ্ঞান গবেষণায় শিক্ষার্থীদের ছিটকে দেবে।
আরেকটি কথা না বললেই না, অঙ্কন সাবজেক্ট ছোটবেলায় আমাদেরও ছিলো। আমাদেরকে আঁকতে দেয়া হতো নদীর ছবি, ফুলের ছবি, আনারসের ছবি, গ্রামের ছবি, আমের ছবি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদেরকে প্রাণীর ছবি বিশেষ করে মানুষের ছবি কখনই আঁকতে দেয়া হতো না। কারণ প্রাণী ছবি আঁকা ইসলামে শক্ত নিষেধ আছে। হাদীস শরীফে আছে, "কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা (প্রাণীর) ছবি বানায় (আঁকে)।” [সহীহ বুখারী, নবম খ-, হাদিস নং ৫৫২৬ ইফা]।
অথচ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের বাচ্চাদের দিয়ে বিভিন্ন ক্লাসে প্রচুর পরিমাণে প্রাণীর ছবি আকানো হচ্ছে। আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছি পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য, জাহান্নামী হওয়ার জন্য না। আর যে লেখাপড়া করে আমার এত আদরের বাচ্চাকে জান্নাতি হওয়ার বদলে জাহান্নামী হওয়া শিখায়, সেই লেখাপড়া কখনই লেখাপড়া না।
-মুহম্মদ শফিউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












