মহিলাদের পাতা
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১১)
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ১৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
অর্থ: তুমি গিয়ে তোমার মাতার খেদমত করো, তোমার মাতার কদমের নিচে তোমার জান্নাত রয়েছে। সুব্হানাল্লাহ!
এই হাদীছ শরীফের ব্যখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে- জিহাদে যাওয়া হচ্ছে ফরজে কিফায়া, যদি ফরজে আইন হয়, সেটার মাসয়ালা হচ্ছে আলাদা। সাধারণ অবস্থায় যেহেতু ফরজে কিফায়া। সেই ছাহাবী যখন বললেন- ইয়া রসূল্লাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছলাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি জিহাদে যেতে চাই। যেহেতু জিহাদ হচ্ছে ফরজে কিফায়া, সেজন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “তোমার মাতা কি রয়েছেন?”
উনি বললেন হ্যাঁ, যার খেদমত করার জন্য অন্য কোন লোক নেই। কাজেই তুমি সেখানে চলে যাও। তুমি জিহাদে না যেয়ে তোমার মায়ের খেদমতে চলে যাও, তোমর মায়ের খেদমত করো, মায়ের খেদমত করলে তোমার মায়ের কদমের নিচেই তোমার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি জান্নাত রেখেছেন। সুব্হানাল্লাহ!
এই হাদীছ শরীফ এবং সেই আয়াত শরীফের ব্যখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু জিহাদেই নয়, জিহাদ এবং এই জাতীয় যা রয়েছে, যেমন- ইলিম অর্জন করা ফরজ, ফরজে আইন। কতটুকু ইলিম অর্জন করা ফরজ, যে পরিমাণ ফরজে আইন সে পরিমাণের জন্য সে বের হতে পারবে। কিন্তু যখন ফরজ পরিমাণ ইলিম তার হয়ে যাবে, তার পিতা-মাতা কেউ থাকবে, অথচ তাদের খেদমত করার মতো কোন লোক থাকবে না, তখন তার জন্য ফরজের চেয়ে অতিরিক্ত ইলিম অর্জন করার জন্য তার বাড়ী থেকে বের হওয়া নিষেধ। যতক্ষণ পর্যন্ত তার পিতা-মাতা তাকে অনুমতি না দেবে, এজাযত না দেবে, হুকুম না দেবে। তার জন্য সে জিহাদই হোক বা ইলিম অর্জন হোক বা অন্যান্য কোন কাজ হোক না কেন সে কাজে তার পিতা-মাতা তাকে হুকুম না দেয়া পর্যন্ত তার জন্য যাওয়া নিষেধ। যদি সে ব্যতীত তার পিতা-মাতার খেদমত করার মতো আর অন্য কোন লোক না থাকে। যদি কেউ থাকে, তাহলে তাদেরকে সে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে। অন্যথায় তার জন্য নাজায়েয এবং হারামের অন্তভুক্ত হবে। যা ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়া-ই-কিরাম ফতওয়া দিয়েছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












