পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (৯)
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا যেমন তারা আমাদেরকে লালন-পালন করেছেন ছোট বেলায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো রব, মূল খালিক মহান আল্লাহ পাক, তিনি রব্বুল আলামীন।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তানদের জন্য তার পিতা-মাতাকে সেই রুবুবিয়াতের (ربوبية) দায়িত্বটা দিয়ে দিয়েছেন লালন-পালন করার জন্য, তারা সে দায়িত্ব পালন করে মহান আল্লাহ পাক উনার চরিত্রে চরিত্রবান হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন বান্দাদেরকে তাদের হক্ব যথাযথ আদায় করেন, ঠিক পিতা-মাতা সন্তানের প্রতি যে হক্ব রয়েছে, সেটা তারা যথাযথ পালন করবে এবং করেছে, সেই পালন করার জন্যেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কাছে দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যেমন তোমাদেরকে ছোট বেলায় অর্থাৎ আমাদেরকে ছোটবেলায় যেমন লালন-পালন করা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এখন তাদেরকে লালন-পালন করুন। তাদের প্রতি (اِحْسَانٌ) ইহসান করুন। যত অসুবিধা রয়েছে সব অসুবিধা দূর করে দিয়ে তাদেরকে এতমিনান দান করুন।
কাজেই এই আয়াত শরীফে প্রত্যেক সন্তানের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ করে কয়েকটা নির্দেশ দিয়েছেন-
এক নাম্বার হচ্ছে- পিতা-মাতার কোন কাজের মধ্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে (اُفٍّ) উফ শব্দ বলা যাবে না।
দু’ নাম্বার হচ্ছে- তাদেরকে ধমক দিয়ে কর্কশ সূরে বা কঠোর ভাষায় কোন ব্যবহার করা যাবে না।
তিন নাম্বার হচ্ছে- খুব নরম সূরে, সম্মানিত ভাষায়- সম্মানিত সূরে, তা’যীম-তাকরীমের সহিত কথা বলতে হবে।
চার নাম্বার হচ্ছে- সবসময় তাদের জন্য অনুগত থাকতে হবে। তাদের ভালাইয়ের জন্য কোশেশ করতে হবে।
আর পঞ্চম হচ্ছে- সব সময়েই সন্তান যতদিন জীবিত থাকবে, সন্তান যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন পিতা-মাতার জন্য সে দোয়া করবে। এটা তার দায়িত্ব-কর্তব্য।
কোন কোন মুফাস্সিরীনে কিরাম, ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়া-ই-কিরাম বলেছেন, সন্তানের জন্য ওয়াজিব তার পিতা-মাতার জন্য সে যেন দোয়া করে। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব হচ্ছে তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। পিতা-মাতা চাই হায়াতে থাকুন অথবা ইন্তেকাল করুন, যে কোন অবস্থাতেই হোক না কেন, দোয়া করা তার জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












