পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
(রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ১৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১১ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১০ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
(ধারাবাহিক)
যিনি ইমামে আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি বেমেছাল, যার মেছাল নেই। আর যার ছানা-ছিফত করারও অপেক্ষা রাখে না। সেই ইমামে আযম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যিনি মা ছিলেন, তিনি সে জামানায় একজন আলেম উনার মাসয়ালা-মাসায়েল অনুসরণ করতেন। অর্থাৎ সেই আলেমের মুকাল্লিদ তিনি ছিলেন। সে সময় ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকে সমস্ত আলেমরা মানতো এবং যার যে কোন সমস্যা হতো সেটা তিনি সমাধান করে দিতেন। কিন্তু উনার মাতার আক্বীদা ছিল অন্য একজন আলেমের প্রতি, যার মাসয়ালা শুনে তিনি আমল করতেন।
কোন বিষয়ে দরকার হলেই ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকে উনার মাতা বলতেন যে, বাবা! তুমি অমুক আলেম সাহেবের কাছ থেকে মাসয়ালাটা জেনে আসো। অথচ দেখা গেছে, অনেক সময় ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি সেই মাওলানা সাহেবকে কোন মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করতেন। সেই আলেম সাহেব এই জন্য অনেক লজ্জিত হতেন যে, এটা কি করে সম্ভব, আপনার মতো লোক আমার কাছে মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন যে, দেখুন এটা আমার মায়ের নির্দেশ। আমার জানা আছে মাসয়ালা, তাহক্বীক্ব আছে, পূর্ণ তাহক্বীক্ব আছে, তারপরও যেহেতু আপনার কাছে জানার জন্য আমার মা নির্দেশ দিয়েছেন, আমি তাই এসেছি, আপনি বলে দিন।
সেই আলেম সে মাসয়ালা নিজে না জানলে ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে বলে দিতেন, আপনি মাসয়ালা বলে দিন, এটা এরকম হবে।
সেই আলেম সাহেব তাই বলতেন। সেটা আবার শুনে এসে ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মায়ের কাছে বলতেন, হে আমার মাতা! তিনি বলেছেন, মাসয়ালাটা এরূপ হবে।
দেখা গেছে, অনেকবার উনাকে যেতে হয়েছে মাসয়ালার জন্য। হাক্বীক্বত সেই আলেম সাহেবের অনেক বিষয় জানা ছিল না, তাহক্বীক্ব ছিলো না। সেটা তাহক্বীক্ব করে দিতেন স্বয়ং ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাহক্বীক্ব করে দেয়ার পর তিনি বলতেন, সেটা তার মুখ থেকে শুনে এসে উনার মাকে জানাতেন।
এখানে তিনি কতটুকু উনার মাতার হক্ব আদায় করেছেন এবং হক্ব আদায় করার জন্য কোশেশ করেছেন। সেটা বেমেছাল। যার জন্য সেই আলেম সাহেব লজ্জিত হতেন। কিন্তু ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি কোন চূ-চেরা, কীল ও কাল করতেন না। বলার সাথে সাথে সেই আলেম সাহেবের বাড়ীতে গিয়ে সেটা জেনে এসে জানাতেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই পিতা-মাতার হক্ব খুব কঠিন বিষয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












